বাণী

কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি।
যে কৃষ্ণ নাম জপেন ইন্দ্র-ব্রহ্মা-মহেশ্বর
যে নাম করে ধ্যান যোগী-ঋষি-সুরাসুর-নর,
এই অসীম বিশ্ব সীমা যাঁহার পায় নাকো খুঁজি -
আমি জীবনে মরণে যেন সেই নামই ভজি।।
যাঁর অনন্ত লীলা যাঁহার অনন্ত প্রকাশ
মধু কৈটভ মর কংসে যুগে যুগে করেন নাশ,
ন্যায় পাণ্ডবের হলেন সখা সারথি সাজি’
এই পাপ কুরুক্ষেত্রে কাঁদি তাঁহারেই খুঁজি’।।
যাঁর মুখে গীতা হাতে বাঁশি নূপুর রাঙা পায়
কভু শ্রীকৃষ্ণ গোকুলে কভু গোরা নদীয়ায়,
ফেরে প্রেম-যমুনার তীরে চির-রাধিকায় খুঁজি’
মোর মন গোপিনী উন্মাদিনী সেই নামে মজি’।।

বাণী

কার অনুরাগে শ্রী-মুখ উজ্জ্বল!
কার সঙ্গে মধুনিশি যাপিলে চঞ্চল।।
	তব আঁখি মনোহর
	যুগল নিষাদ শর,
প্রখর সে-আঁখি কেন সকরুণ ছলছল।।
যে পায়ের নূপুর শুনি’ কুহু পঞ্চমে বোলে,
হে নিপট, চঞ্চল সে-পা কেন নাহি চলে।
	কোন্ ধনি দিল বঁধূ
	সুর-গরল মধু,
কোন্ সুধা মাগি’ রস-নিধি হইলে বিফল।।

বাণী

	কলমা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি
	ঝিনুকের বুকে লুকিয়ে থাকে যেমন মোতি।।
	ঐ কলমা জপে যে ঘুমের আগে
	ঐ কলমা জপিয়া যে প্রভাতে জাগে,
	দুখের সংসার যার সুখময় হয়, তা’র —
তার	মুসিবত আসে নাকো, হয় না ক্ষতি।।
	হরদম জপে মনে কলমা যে জন
	খোদায়ী তত্ত্ব তা’র রহে না গোপন
	দিলের আয়না তার হয়ে যায় পাক সাফ
	আল্লার রাহে তার রহে মতি।
সদা	আল্লার রাহে তার রহে মতি।।
	এসমে আজম হতে কদর ইহার
	পায় ঘরে ব’সে খোদা রসুলের দিদার
	তাহারি হৃদয়াকাশে সাত বেহেশত নাচে
	আল্লার আরশে হয় আখেরে গতি।
তার	আল্লার আরশে হয় আখেরে গতি।

বাণী

কেন চঞ্চল অঞ্চল দুলিয়া ওঠে রহি’ রহি’।
মুহু মুহু কুহু কুহু কুহু যে কহে এলে কে বিরহী।।
কেন নূপুর বেজে ওঠে ছন্দে
দোলা লাগে অঙ্গে আনন্দে,
দখিন হাওয়া কেন অধীর হল হেন —
কুসুমের কানে যায় কি কথা কহি’।।

বাণী

কেউ		ভোলে না কেউ ভোলে অতীত দিনের স্মৃতি
কেউ		দুঃখ ল’য়ে কাঁদে কেউ ভুলিতে গায় গীতি।।
কেউ		শীতল জলদে হেরে অশনির জ্বালা
কেউ		মুঞ্জরিয়া তোলে তার শুষ্ক কুঞ্জ–বীথি।।
হেরে		কমল–মৃণালে কেউ কাঁটা কেহ কমল।
কেউ		ফুল দলি’ চলে কেউ মালা গাঁথে নিতি।।
কেউ		জ্বালে না আর আলো তার চির–দুখের রাতে,
কেউ		দ্বার খুলি’ জাগে চায় নব চাঁদের তিথি।।

বাণী

		কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন।
(তার)		রূপ দেখে দেয় বুক পেতে শিব যার হাতে মরণ বাঁচন।।
			কালো মায়ের আঁধার কোলে
			শিশু রবি শশী দোলে
(মায়ের)	একটুখানি রূপের ঝলক স্নিগ্ধ বিরাট নীল–গগন।।
		পাগলী মেয়ে এলোকেশী নিশীথিনীর দুলিয়ে কেশ
		নেচে বেড়ায় দিনের চিতায় লীলার রে তার নাই কো শেষ।
			সিন্ধুতে মা’র বিন্দুখানিক
			ঠিকরে পড়ে রূপের মানিক
		বিশ্বে মায়ের রূপ ধরে না মা আমার তাই দিগ্‌–বসন।।