কলঙ্ক আর জোছনায় মেশা তুমি সুন্দর চাঁদ
বাণী
কলঙ্ক আর জোছনায় মেশা তুমি সুন্দর চাঁদ জাগালে জোয়ার ভাঙ্গিলে আবার সাগর-কুলের বাঁধ।। তিথিতে তিথিতে সুদূর অতিথি ভোলাও জাগাও ভুলে যাওয়া স্মৃতি এড়াইতে গিয়ে পরানে জড়াই তোমার রূপের ফাঁদ।। চাহি না তোমায় তবু তোমারেই ভাবি বাতায়নে বসি’ আমার নিশীথে তুমি আনিয়াছ শুল্কা চতুর্দশী। সুন্দর তুমি তবু হয় মনে আছে কলঙ্ক জোছনার সনে মুখোমুখি বসে কাঁদে তাই বুকে সাধ আর অবসাদ।।
কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া
বাণী
কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি। ‘ফিরে যাও চপল পথিক’, দু’লে কয় কুসুম-কলি। দু’লে কয় কুসুম-কলি॥ ফেলিছে সমীর দীরঘ শ্বাস — আসিবে না আর এ মধুমাস, কহে ফুল, ‘জনম জনম এমনি গিয়াছ ছলি’। জনম জনম গিয়াছ ছলি’॥ কাঁদে বায়, ‘নিদাঘ আসে আমি যাই সুদূর বাসে’, ফুটে ফুল হাসিয়া ভাসে, ‘প্রিয়তম যেয়োনা চলি’। ওগো প্রিয়তম যেয়োনা চলি’॥
কারো ভরসা করিসনে তুই
বাণী
কারো ভরসা করিসনে তুই (ও মন) এক আল্লার ভরসা কর। আল্লা যদি সহায় থাকেন (ও তোর) ভাবনা কিসের, কিসের ডর।। রোগে শোকে দুঃখে ঋণে নাই ভরসা আল্লা বিনে রে তুই মানুষের সহায় মাগিস (তাই) পাস্নে খোদার নেক্-নজর।। রাজার রাজা বাদশাহ্ যিনি গোলাম হ তুই সেই খোদার, বড় লোকের দুয়ারে তুই বৃথাই হাত পাতিস্নে আর। তোর দুখের বোঝা ভারি হ’লে ফেলে প্রিয়জনও যায় রে চ’লে সেদিন ডাক্লে খোদায় তাঁহার রহম (ওরে) ঝরবে রে তোর মাথার ’পর।।
কাঁদিতে এসেছি আপনার ল’য়ে
বাণী
কাঁদিতে এসেছি আপনার ল’য়ে কাঁদাতে আসিনি হে প্রিয়, তোমারে। এ মম আঁখি-জল১ আমরি নয়নের২, ঝরিবে না এ জল তোমার দুয়ারে।। ভালো যদি বাসি একাকী বাসিব বিরহ-পাথারে একাকী ভাসিব, কভু যদি ভুলে আসি তব কূলে, চমকি’ চলিয়া যাব দূর পারে।। কাঁটার বনে মোর ক্ষণেকের তরে ফুটেছে রাঙা ফুল শুধু লীলা-ভরে, মালা হয়ে কবে৩ দুলিবে গলে কা’র। জাগিব একাকী ল’য়ে স্মৃতি কাঁটার কেহ জানিবে না, শুকাল কে কোথা কা’র ফুলে কা’রে সাজালে দেবতা, নিশীথ-অশ্রু মোর ঝরিবে বিরলে তব সুখ-দিনে হসির মাঝারে।।
১. মম আঁখি-বারি, ২. থাকুক আমারি, ৩. গলে
কালো মেয়ের পায়ের তলায়
বাণী
কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন। (তার) রূপ দেখে দেয় বুক পেতে শিব যার হাতে মরণ বাঁচন।। কালো মায়ের আঁধার কোলে শিশু রবি শশী দোলে (মায়ের) একটুখানি রূপের ঝলক স্নিগ্ধ বিরাট নীল–গগন।। পাগলী মেয়ে এলোকেশী নিশীথিনীর দুলিয়ে কেশ নেচে বেড়ায় দিনের চিতায় লীলার রে তার নাই কো শেষ। সিন্ধুতে মা’র বিন্দুখানিক ঠিকরে পড়ে রূপের মানিক বিশ্বে মায়ের রূপ ধরে না মা আমার তাই দিগ্–বসন।।