বঁধু মিটিলনা সাধ ভালবাসিয়া

বাণী

বঁধু		মিটিলনা সাধ ভালোবাসিয়া তোমায়।
তাই		আবার বাসিতে ভালো আসিব ধরায়।।
		আবার বিরহে তব কাঁদিব
		আবার প্রণয়–ডোরে বাঁধিব,
শুধু		নিমেষেরি তরে আঁখি দুটি ভ’রে —
		তোমারে হেরিয়া ঝ’রে যাব অবেলায়।।
যে		গোধূলি–লগ্নে নববধূ হয় নারী,
সেই		গোধূলি–লগ্নে বঁধু দিল আমারে গেরুয়া শাড়ি।
বঁধু		আমার বিরহ তব গানে
		‌‌সুর হয়ে কাঁদে প্রাণে প্রাণে,
		আমি নিজে নাহি ধরা দিয়ে —
		সকলের প্রেম নিয়ে দিনু তব পায়।।

এলো রে এলো ঐ রণ-রঙ্গিণী

বাণী

এলো রে এলো ঐ রণ-রঙ্গিণী শ্রীচন্ডী, চন্ডী এলো রে এলো ঐ
অসুর সংহারিতে বাঁচাতে উৎপীড়িতে
ধ্বংস করিতে সব বন্ধন বন্দী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী, এলো রে এলো ঐ॥
দনুজ দলনে চামুন্ডা এলো ঐ প্রলয় অগ্নি জ্বালি নাছিছে
তাথৈ তাথৈ তাতা থৈ থৈ দুর্বলে বলে মা মাভৈঃ মাভৈঃ
মুক্তি লভিবি সব শৃঙ্খল বন্দী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী, এলো রে এলো ঐ॥
রক্ত-রঞ্জিত অগ্নি শিখায় করালী কোন্ রসনা দেখা যায়।
পাতাল তলের যত মাতাল দানব পৃথিবীতে এসেছিল হইয়া মানব
তাদের দন্ড দিতে আসিয়াছে চন্ডীকা সাজিয়া চন্ডী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী এলো রে॥

অম্বরে মেঘ-মৃদঙ বাজে

বাণী

অম্বরে মেঘ-মৃদঙ বাজে জলদ-তালে
লাগিল মাতন ঝড়ের নাচন ডালে ডালে।।
	দিগন্তের ঐ দুর্গ-মূলে
	ধূলি-গৈরিক কেতন দুলে
কে দুরন্ত আগল খুলে ঘুম ভাঙালে।।
থির সাগরের নীল তরঙ্গে আনন্দেরি
সেই নাচনের তালে তালে বাজিল ভেরি।
	মাভৈঃ মাভৈঃ ডাক শুনি যার
	পথ ছেড়ে দে রথ এল তাঁর।
দুর্দিনে সে বজ্র-শিখার আগুন জ্বালে।।

রেশ্‌মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে

বাণী

রেশ্‌মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরম কথা
পথের মাঝে চম্‌কে’ কে গো থম্‌কে’ যায় ঐ শরম-নতা।।
	কাঁখ-চুমা তার কলসি-ঠোঁটে
	উল্লাসে জল উল্‌সি’ ওঠে,
	অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে
			বায় যেন হায় নরম লতা।।
অ-চকিতে পথের মাঝে পথ-ভুলানো পরদেশিকে
হান্‌লে দিঠি পিয়াস-জাগা পথ্‌বালা এই উর্বশীকে!
	শূন্য তাহার কন্যা হিয়া
	ভর্‌ল বঁধুর বেদ্‌না নিয়া,
	জাগিয়ে গেল পর্‌দেশিয়া
			বিধুর বধূর মধুর ব্যথা।।

পরদেশি বঁধুয়া এলে কি এতদিনে

বাণী

পরদেশি বঁধুয়া, এলে কি এতদিনে
আসিলে এতদিন কেমনে পথ চিনে।।
তোমারে খুঁজিয়া কত রবি-শশী
অন্ধ হইল প্রিয় নিভিল তিমিরে
তব আশে আকাশ-তারা দ্বীপ জ্বালি'
জাগিয়াছে নিশি ঝুরিয়া শিশিরে।
শুকায়েছে স্বরগ দেবতা তোমা বিনে।।
কত জনম ধরি' ছিলে বল পাসরি'
এতদিনে বাঁশরি বাজিল কি বিপিনে।।

এতো একা চন্দ্রমণি সে

বাণী

এতো একা চন্দ্রমণি সে মানিকের ডালা।
এ সারা বনে একটি কুসুম, সে কুসুমের মালা।।
হাসলে কন্যা ফুটে ওঠে পৃথিবীতে ফুল
সে কাঁদ্‌লে পরে ভেঙ্গে পড়ে সাত সাগরের কূল,
ইন্দ্রলোকে দেখেনি কেউ তেমন দেব-বালা।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)