ত্রিংশ কোটি তব সন্তান ডাকে তোরে
বাণী
ত্রিংশ কোটি তব সন্তান ডাকে তোরে ভুলে আছিস দেশ জননী কেমন ক’রে॥ ব্যথিত বুকে মাগো তোমার মন্দির গড়ি করি পূজা আরতি মাগো যুগ যুগ ধরি’ ধূপ পুড়িয়া মাগো চন্দন শুকায়ে যায় এসো মা এসো পুন রানীর মুকুট প’রে॥ দুঃখের পসরা মা আর যে বহিতে নারি কাঁদিয়া কাঁদিয়া শুকায়েছে আঁখি-বারি এ গ্লানি লাজ মাগো সহিতে নাহি পারি বিশ্ব বন্দিতা এসো দুখ-নিশি-ভোরে॥ অতীত মহিমা ল’য়ে এসো মহিমাময়ী হীনবল সন্তানে কর মা ভুবনজয়ী দুখ তপস্যা মা কবে তব হবে শেষ আয় মা নব আশা রবির প্রদীপ ধ’রে॥
পথে পথে কে বাজিয়ে চলে বাঁশি
বাণী
পথে পথে কে বাজিয়ে চলে বাঁশি হ’ল বিশ্ব-রাধা ঐ সুরে উদাসী।। শুনে ঐ রাখালের বেণু আসে ছুটে আলোক-ধেনু, ঐ নীল গগনে রাঙা মেঘে ওড়ে গো-খুর রেণু, ওসে শ্যাম-পিয়ারী গোপ-ঝিয়ারি গ্রহ তারার রাশি।। সেই বাঁশির অন্বেষণে যত মন-বধু যায় বনে, তাদের প্রেম যমুনায় বান ডেকে যায় কুল খোয়ায় গোপনে। তারা রাস দেউলে রসের বাউল আনন্দ-ব্রজবাসী।।
বকুল চাঁপার বনে কে মোর
বাণী
বকুল চাঁপার বনে কে মোর চাঁদের স্বপন জাগালে — অনুরাগের সোনার রঙে হৃদয়-গগন রাঙালে।। ঘুমিয়ে ছিলাম কুমুদ-কুঁড়ি বিজন ঝিলের নীল জলে পূর্ণ শশী তুমি আসি’ আমার সে ঘুম ভাঙালে।। হে মায়াবী তোমার ছোঁয়ায় সুন্দর আজ আমার তনু তোমার মায়া রচিল মোর বাদল মেঘে ইন্দ্র ধনু। তোমার টানে হে দরদি দোল খেয়ে যায় কাঁদন-নদী কূল হারা মোর ভালোবাসা আজকে কূলে লাগালে।।
বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন
বাণী
বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন, হে দেবতা! সেথা আর কেহ নাই আমরা দু’জন, কহিব কথা।। বাহির ভুবনে তব কত পূজারি সেথায় মনের কথা কহিতে নারি, তাই হৃদয় দেউলে রেখে’ দিয়েছি আগল — সেথা তোমার চরণ-তলে জানাব গোপন প্রাণের ব্যথা।। পূজা-মন্দির হ’তে এসে চুপে চুপে হে দেবতা! সাজায়েছি প্রিয় রূপে! সবার সমুখে তাই মালা দিতে লাজ পাই — প্রেমের বাসর ঘরে পরাব বরণ-মালা, হব প্রণতা।।
জনম জনম তব তরে কাঁদিব
বাণী
জনম জনম তব তরে কাঁদিব। যত হানিবে১ হেলা ততই সাধিব।। তোমারি নাম গাহি’ তোমারি প্রেম চাহি’, ফিরে ফিরে নিতি তব চরণে আসিব।।২ জানি জানি বঁধু, চাহে যে তোমারে, ভাসে সে চিরদিন নিরাশা-পাথারে। তবু জানি হে স্বামী৩ কোন্ সে-লোকে আমি, তোমারে পাব বুকে বাহুতে বাঁধিব।।
১. যত করিবে, ২. ফিরে ফিরে আমি তব চরণে আসিব, ৩. জীবন-স্বামী