বাণী

সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে তুমি আমারে ছুঁইয়াছিলে।
অনুরাগ–কুম্কুম দিলে দেহে মনে, বুকে প্রেম কেন নাহি দিলে।।
বাঁশি বাজাইয়া লুকালে তুমি কোথায় —
যে ফুল ফোটালে সে ফুল শুকায়ে যায়
কী যেন হারায়ে প্রাণ করে হায় হায় —
কী চেয়েছিলে — কেন কেড়ে নাহি নিলে।।
জড়ায়ে ধরিয়া কেন ফিরে গেলে বল কোন্ অভিমানে,
কেন জাগে নাকো আর সে মাধুরী রস–আনন্দ–প্রাণে।
	তোমারে বুঝি গো বুঝেছিনু আমি ভুল
	এসেছিলে তুমি ফোটাতে প্রেম–মুকুল,
কেন আঘাত করিয়া প্রিয়তম, সেই ভুল নাহি ভাঙাইলে।।

বাণী

জয় বিগলিত করূণা রূপিণী গঙ্গে
জয় কলুষহারিণী পতিতপাবনী
নিত্যা পবিত্রা যোগী-ঋষি সঙ্গে॥
হরি শ্রীচরণ ছুঁয়ে আপন-হারা,
পরম প্রেমে হ’লে দ্রবীভূত ধারা;
ত্রিলোকের ত্রিতাপ পাপ তুমি নিলে মা,
নির্মলে, তোমার পবিত্র অঙ্গে॥

বাণী

ঈদের খুশির তুফানে আজ ভাসলো দো জাহান
এই তুফানে ডুবু ডুবু জমিন ও আসমান।।
ঈদের চাঁদের পানসি ছেড়ে বেহেশত হতে
কে পাঠালো এত খুশি দুখের জগতে
শোন ঈদগাহ হতে ভেসে আসে তাহারি আজান।।

রেকর্ড-নাটিকা:‘ঈদুল ফেতর’

বাণী

বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্‌।
সাঁঝের বেলায় সাজবে যখন জ্বাল্‌বে যখন দীপ্॥
	দুলিয়ে দিও দোলন্ খোঁপায়
	আমের মুকুল বকুল চাঁপায়,
মেখ্‌লা ক’রো কটি-তটে শিউরে-ওঠা নীপ্॥
কর্ণ-মূলে দুল দুলিও দুলাল চাঁপার কুঁড়ি,
বন্-অতসীর কাঁকন প’রো, কনক-গাঁদার চুড়ি।
	আধখানা চাঁদ গরব ভরে
	হাসে হাসুক আকাশ ’পরে,
তুমি বাকি আধখানা চাঁদ ধরার মণি-দীপ্॥

বাণী

	মদিনায় যাবি কে আয় আয়।
উড়িল নিশান দিনের বিষাণ বাজিল যাহারে দরওয়াজায়।।
	হিজরাত ক’রে যে দেশে
	ঠাঁই পেলেন হজরত এসে
	খেলিতেন যথায় হেসে 
	হাসান হোসেন ফাতেমায়।।
হজরতের চার আসহাব যথা করলেন খেলাফত,
মসজিদে যাঁর প্রিয় মোহাম্মদ করতেন এবাদত;
ফুটল যথায় প্রথম ধীর খালেদের হিম্মত,
খোশ এলেহান দিতেন আজান বেলাল যথায়।।
	যার পথের ধূলির মাঝে
	নবীজীর চরণের ছোঁয়া বাজে,
	তৌহিদেরি ধ্বনি বাজে
	যার আসমানে, যার লু হাওয়ায়।।

বাণী

কেন চাঁদিনী রাতে মেঘ আসে ছায়া ক’রে।
সুখের বাসরে কেন, প্রাণ ওঠে বিষাদে ভ’রে।।
কেন মিলন রাতে, সলিল আঁখি পাতে,
কেন ফাগুন প্রাতে, সহসা বারি ঝরে।।
ডাকিয়া ফুলবনে, থাকে সে আনমনে,
কাঁদায় নিরজনে, কাঁদে কে কিসের তরে।।