মোরা বিহান-বেলা উঠে রে ভাই চাষ করি এই মাটি
বাণী
মোরা বিহান-বেলা উঠে রে ভাই চাষ করি এই মাটি। যে মাটির বুকে আছে পাকা ধানের সোনার কাঠি॥ ফসল বুনে রোদের তাতে উঠি যখন ঘেমে সদয় হয়ে আকাশ বেয়ে বৃষ্টি আসে নেমে (ওরে) মুচকি হেসে বৌ এনে দেয় পান্তা ভাতের বাটি॥ আশ মেটে না চারা ধানের পানে চেয়ে চেয়ে মরাই ভ’রে থাকবে ওরাই আমার ছেলে মেয়ে। (আমি) চাই না স্বর্গ, পাই যদি এই পাকা ধানের আটি (রে ভাই)॥ জল নিতে যায় আড়চোখে চায় বৌ-ঝি নদীর কূলে খুশিতে বুক ভ’রে ওঠে, খাটুনি যাই ভুলে। এ মাঠ নয় ভাই বৌ পেতেছে ঠান্ডা শীতল পাটি॥
হে মোহাম্মদ এসো এসো
বাণী
হে মোহাম্মদ এসো এসো আমার প্রাণে আমার মনে। এসো সুখে এসো দুখে আমার বুকে মোর নয়নে।। আমার দিনের সকল কাজে যেন তোমার স্মৃতি বাজে, এসো আমার ঘুমের মাঝে — এসো আমার জাগরণে।। কোরান দিলে, দিলে ঈমান, বেহেশ্তের দিশা দিলে, পাপে তাপে মগ্ন আমায় খোদার রাহে ডেকে নিলে। তোমায় আমি ভুলব কিসে আছ আমার রুহে মিশে, আমি তোমার প্রেমের পাগল রেখো আমায় ঐ চরণে।।
ঘুমাও ঘুমাও দেখিতে এসেছি
বাণী
ঘুমাও,ঘুমাও,দেখিতে এসেছি ভাঙাতে আসিনি ঘুম কেউ জেগে কাঁদে,কারো চোখে নামে নিদালির মৌসুম॥ দেখিতে এলাম হ'য়ে কুতুহলী চাঁপা-ফুল দিয়ে তৈরী পুতুলী দেখি,শয্যায় স্তূপ হ'য়ে আছে জোছনার কুমকুম আমি নই, ঐ কলঙ্কী চাঁদ নয়নে হেনেছে চুম্ ।। রাগ করিও না, অনুরাগ হ'তে রাগ আরো ভালো লাগে, তৃষ্ণাতুরের কেউ জল চায় কেউ বা শিরাজি মাগে। মনে কর, আমি লোলুপ বাতাস চোর-জোছনা, ফুলের সুবাস ভয় নাই, আমি চলে যাই ডাকি' নিশীথিনী নিঃঝুম।।
এলো ঐ বনান্তে পাগল বসন্ত
বাণী
এলোঐ বনান্তে পাগল বসন্ত বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রেচঞ্চল তরুণ দুরন্ত।। বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর পান্ডু কপোলে জাগে রঙ নব অনুরাগে রাঙা হ’ল ধূসর দিগন্ত।। কিশলয়ে পর্ণে অশান্ত ওড়ে তার অঞ্চল প্রান্ত পলাশ কলিতে তার ফুল ধনু লঘু ভার ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।। এলোমেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে অকারণ মন-মাঝে বিরহের বেণু বাজে জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।।
গত রজনীর কথা পড়ে মনে
বাণী
গত রজনীর কথা পড়ে মনে রজনীগন্ধার মদির গন্ধে। এই সে ফুলেরই মোহন-মালিকা জড়ায়ে ছিল সে কবরী-বন্ধে।। বাহুর বল্লরী জড়ায়ে তার গলে আধেক আঁচলে বসেছি তরুতলে, দুলেছে হৃদয় ব্যাকুল ছন্দে।। মুখরা ‘বউ কথা কও’ ডেকেছে বকুল-ডালে, লাজে ফুটেছে লালী গোলাপ-কুঁড়ির গালে। কপোলের কলঙ্ক মোর মেটেনি আজো যে সই জাগিছে তা’রি স্মৃতি চাঁদের কপোলে ঐ, কাঁদিছে নন্দন আজি নিরানন্দে।।১
১. হাসিছে নন্দন আমি পরমানন্দে।।