চোখে চোখে চাহ যখন
বাণী
চোখে চোখে চাহ যখন তোমরা দু’টি পাখি। সেই চাহনি দেখি আমি অন্তরালে থাকি’।। মনে জাগে, অনেক আগে এম্নি গভীর অনুরাগে, আমার পানে চাইত কেহ এম্নি অরুণ-আঁখি।। ঘুমাও যখন তোমরা দু’জন পাখায় বেঁধে পাখা, আমি দূরে জেগে থাকি, যায় না কাঁদন রাখা। পরশ যেন লেগে আছে শূন্য আমার বুকের কাছে, তোমার মতন ঘুমাত কেউ এই বুকে মুখ রাখি’।।
কেহ বলে তুমি রূপ সুন্দর
বাণী
কেহ বলে তুমি রূপ সুন্দর, কেহ বলে তুমি জ্যোতি! আমি জানি প্রভু তুমি যে আমার চির-জনমের পতি।। কেহ বলে তুমি চিরদিন দূরে রহ কেহ বলে, আছে অন্তরে অহরহ, যার যাহা সাধ ডাকে সেই নামে (প্রভু) তোমার নাহিক ক্ষতি।। অন্ধ দেখে না চন্দ্র-সূর্য তবু জানে আলো আছে, (আমি) দেখিনি, তবুও তোমার প্রকাশ সহজ-আমার কাছে রূপ কি অরূপ কাহারেও নাহি দুষি, নাই দেখি ফুল সুরভি পেয়েই খুশি, (আমি) অঞ্জলি ভরি’ অমৃত চাই, পাত্রে নাহিক মতি।।
পরো সখি মধুর বধূ-বেশ
বাণী
পরো সখি মধুর বধূ-বেশ বাঁধো আকুল চাঁচর কেশ।। বাঁকা ভুরুর মাঝে পর খয়েরি টিপ বকুল-বেলার হার, ছাড় মলিন বাস শাড়ি চাঁপা রং পর পর আবার। অধর রাঙাও সলাজ হাসিতে মোছ নয়ন-ধার — বিদেশী বন্ধু তোমারে স্মরিয়া ফিরে এলো নিজ দেশ।। মিলন-দিনে আর সাজে না মুখ-ভার ভোলো ভোলো অভিমান, মধুরে ডাক কাছে তায়, জুড়াও তাপিত প্রাণ। অরুণ-রাঙা হোক অনুরাগের রঙে করুণ সজল নয়ান — মরম বীণায় উঠুক বাজিয়া মিলন-মধুর রেশ।।