এ কোন মধুর শরাব দিলে
বাণী
এ কোন্ মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি, নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হল আঁখি।। তৌহিদের শিরাজি নিয়ে ডাকলে সবায় যারে পিয়ে, নিখিল জগৎ ছুটে এলো রইল না কেউ বাকি।। বসলো তোমার মহ্ফিল দূর মক্কা মদিনাতে, আল্-কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে। নরনারী বাদশা ফকির তোমার রূপে হয়ে অধীর যা ছিল নজ্রানা দিল রাঙা পায়ে রাখি’।
পরমাত্মা নহ তুমি মোর
বাণী
পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর। হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥ তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা, প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥ দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল, মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল। আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥
শ্রাবণ রাতের আঁধারে নিরালা ব’সে
বাণী
শ্রাবণ রাতের আঁধারে নিরালা ব’সে আছি বাতায়নে রেবা নদীর খরস্রোত বহে বেগে আমার মনে॥ দিগন্তে করুণ কাতর শুনি কার ক্রন্দন স্বর ভেসে বন-মর্মর ঝরঝর সজল উতল পুবালি পবনে॥ বিরহী যক্ষ কাঁদে একাকী কোথায় কোন্ দূর চিত্রকূটে আমার গানে যেন তার বেদনার সকরুণ ভাষা ফুটে। আমার মনের অলকায় কোন্ বিরহিণী পথ চায় মালবিকার আঁখি-ধার ঝরে হায় অঝোর ধারায় মোর নয়নে॥
দে জাকাত দে জাকাত তোরা
বাণী
দে জাকাত, দে জাকাত, তোরা দে রে জাকাত। তোর দিল্ খুলবে পরে ওরে আগে খুলুক হাত।। দেখ পাক্ কোরআন শোন্ নবীজীর ফরমান ভোগের তরে আসেনি দুনিয়ায় মুসলমান। তোর একার তরে দেননি খোদা দৌলতের খেলাত।। তোর দর্ দালানে কাঁদে ভুখা হাজারো মুসলিম আছে দৌলতে তোর তাদেরও ভাগ, বলেছেন রহিম। বলেছেন রহমানুর রহিম, বলেছেন রসুলে করিম। সঞ্চয়ে তোর সফল হবে পাবি রে নাজাত।। এই দৌলত বিভব রতন যাবে না তোর সাথে হয়তো চেরাগ জ্বলবে না তোর গোরে শবেরাতে। এই জাকাতের বদলাতে পাবি বেহেশ্তী সওগাত।।
কলহংসিকা বাহনা পদ্মিনী-পাণি
বাণী
কলহংসিকা বাহনা পদ্মিনী-পাণি মণি মঞ্জীরা শোভনা, ছন্দিতা বাণী। বন্দে দামিনী-বর্ণা রাধা বৃন্দা-বন-চন্দে মত্ত-ময়ূর-ছন্দে নাচে কৃষ্ণ প্রেমানন্দে।। পল্লব-ঘন চক্ষে ঝরে অশ্রু-রস-ধারা পূব হাওয়াতে বংশী ডাকে আয় রে পথ-হারা, রুমঝুম ঝুম্ মঞ্জীর বাজে কঙ্কণ মণি বন্ধে।। রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ ঝিম্ কেকা-বন ঘন বর্ষে তৃষ্ণ-তৃপ্ত আত্মা নাচে নন্দালোক হর্ষে, ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর তাল বাজে শূন্যে মেঘ মন্দ্রে।।