বাণী

সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে হেসেছ বুকে মোর মধু-হাসিনী।
পরেছ গলায় আমার দেওয়া ফুল সে কি গো সবি ভুল বিজন-বাসিনী।।
		যেচেছ কত না আদর সোহাগ
		ক্ষণে অভিমান ক্ষণে অনুরাগ,
কত প্রিয় নামে ডেকেছ আমায় সে কি গো গেছ ভুলে মধুভাষিণী।।
		আমার সাধ-আশ-সাধনা-সুখ-হাসি
		তোমার সনে প্রিয় সকলি গেছে ভাসি,
কেন ফেলে দিলে নিরাশার কূলে, কোন্ অপরাধে বল উদাসিনী।।

বাণী

বউ কথা কও, বউ কথা কও, কও কথা অভিমানিনী
সেধে সেধে কেঁদে কেঁদে যাবে কত যামিনী।।
সে কাঁদন শুনি হের নামিল নভে বাদল
এলো পাতার বাতায়নে যুঁই চামেলী কামিনী।।
আমার প্রাণের ভাষা শিখে ডাকে পাখি পিউ কাঁহা
খোঁজে তোমায় মেঘে মেঘে আঁখি মোর সৌদামিনী।।

বাণী

জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী।
শিব-জটা হতে সুরধুনী স্রোতে ঝরি’ শতধারে ভাসাও অবনি।
দিবা দ্বিপ্রহরে প্রথম বেলা কাফি-সিন্ধুর তীরে কর খেলা
দীপ্ত নিদাঘে সারঙ্গ রাগে অগ্নি ছড়ায় তব জটাব ফণী॥
কভু ধানশ্রীতে মায়া রূপ ধর,
জ্ঞানী শিবের তেজ কোমল কর
পিলু বারোঁয়ার বিষাদ ভোলানো
নূপুরের চটুল ছন্দ আনো
বাগীশ্বরী হ’য়ে মহিমা শান্তি ল’য়ে
আসো গভীর যবে হয় রজনী॥
বরষার মল্লারে মেঘে তুমি আসো,
অশনিতে চমকাও, বিদ্যুতে হাসো
সপ্ত সুরের রঙে সুরঞ্জিতা ইন্দ্রধনু-বরণী॥

বাণী

পেয়ে কেন নাহি পাই হৃদয়ে মম
হে চির-সুদূর প্রিয়তম॥
		তুমি আকাশের চাঁদ
আমি	পাতিয়া সরসী-ফাঁদ
জনম	জনম কাঁদি কুমুদীর সম॥
		নিখিলের রূপে রূপে
		দেখা দাও চুপে চুপে
এলে না মূরতি ধরি তুমি নিরুপম॥

বাণী

নাচে	সুনীল দরিয়া আজি দিল্-দরিয়া পূর্ণিমা চাঁদেরে পেয়ে।
	কূলে তার ঝুমুর ঝুমুর ঘুঙুর বাজে মিঠে আওয়াজে
				নাচে জল্-পরীর মেয়ে।।
	তার জল-ছলছল্ কূলে কূলে
	ফেনিল যৌবন ওঠে দু’লে,
	চাঁদিনী উজল্ তনু ঝলমল্
		পরানে উছল জাগে জোয়ার —
		আধো ঘুমে আসে তার নয়ন ছেয়ে।।
	জল-বালা মুক্তা-মালা গাঁথে নিরালা চাঁদের তরে,
	কাজল-বরণী তরুণী তটিনী চলেছে ধেয়ে।।

বাণী

গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল
অপরূপ ঘনশ্যাম নব তরুণ তমাল॥
বিশাখার পটে আঁকা মধুর নিরুপম
কান্ত ললিতার শ্রীরাধা প্রীতম
রুক্মিণী-পতি হরি যাদব ভূপাল॥
যশোদার স্নেহডোরে বাঁধা ননীচোর
নন্দের নয়ন-আনন্দ-কিশোর
শ্রীদাম-সুদাম-সখা গোঠের রাখাল॥
কংস-নিসূদন কৃষ্ণ মথুরাপতি
গীতা উদ্‌গাতা পার্থসারথি
পূর্ণ ভগবান বিরাট বিশাল॥