চম্পা-বনে বেণু বাজে
বাণী
চম্পা-বনে বেণু বাজে — বাজে বাজে। কে গো চঞ্চল? এলে মনোহর সাজে — কিশোর নাটুয়ার১ সাজে।। আঁখি মেলিয়া চাহে মালতীর কলি ভবন-শিখী নাচে ‘কে গো’ বলি’, ছড়ায় সমীরণ ফুল-অঞ্জলি — তোমার পথ-মাঝে।। নূপুর শুনি বনে নাচে কুরঙ্গ মানস-গঙ্গায় জাগে-তরঙ্গ, সরসীতে কমলিনী থরথর অঙ্গ — রক্তিম হ’ল লাজে।। লুকায় ফুলধনু মেঘের কোলে রাখিয়া কপোল চাঁদের কপোলে, হেরে তরুণ রসরাজে।।
১. মনোহর
চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম
বাণী
চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম (কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম) বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম।। নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতজা, হায় হায় মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্ঝিম্।। নলে যেম্নি দম্ দি অম্নি নল-দময়ন্তী লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু (ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে) শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায় (এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়) চন্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায় প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে) (দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম।। আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!
চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম
বাণী
চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম। জানে আমায় চেনে আমায় মুসলিম আমার নাম।। অন্ধকারে আজান দিয়ে ভাঙনু ঘুমঘোর, আলোর অভিযান এনেছি রাত করেছি ভোর; এক সমান করেছি ভেঙে উচ্চ নীচ তামাম।। চেনে মোরে সাহারা গোবি দুর্গম পর্বত, মন্থন করেছে সাগর, আমার সিন্ধু রথ; বয়েছি আফ্রিকা ইউরোপ আমারই তাঞ্জাম।। পাক মুলুকে বসিয়েছি খোদার মসজিদ, জগৎ সাক্ষী পাপীদেরকে পিইয়েছি তৌহীদ্; বিরান বনে রচেছি রে হাজার নগর গ্রাম।।
চল্ চল্ চল্
বাণী
চল্ চল্ চল্। চল্ চল্ চল্। ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল নিম্নে উতলা ধরণী-তল অরুণ প্রাতের তরুণ দল চল্ রে চল্ রে চল্ চল্ চল্ চল্।। ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত আমরা টুটাব তিমির রাত বাধার বিন্ধ্যাচল। নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মাশান আমরা দানিব নূতন প্রাণ বাহুতে নবীন বল। চল্ রে নও জোয়ান শোন্ রে পাতিয়া কান মৃত্যু-তোরণ-দুয়ারে-দুয়ারে জীবনের আহবান। ভাঙ্ রে ভাঙ্ আগল চল্ রে চল্ রে চল্ চল্ চল্ চল্।।
চাষ কর দেহ জমিতে
বাণী
চাষ কর দেহ জমিতে হবে নানা ফসল এতে। নামাজে জমি ‘উগালে’ রোজাতে জমি ‘সামালে’, কলেমায় জমিতে মই দিলে চিন্তা কি হে এই ভবেতে।। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাতে বীজ ফেল্ তুই বিধি-মতে, পাবি ‘ঈমান’ ফসল তাতে — আর রইবি সুখেতে।। নয়টা নালা আছে তাহার ওজুর পানি সিয়াত যাহার, ফল পাবি নানা প্রকার — ফসল জন্মিবে তাহাতে।। যদি ভালো হয় সে-জমি হজ্ জাকাত লাগাও তুমি, আরো সুখে থাকবে তুমি — কয় নজরুল এসলামেতে।।
লেটো : ‘চাষার সঙ’