চারু চপল পায়ে যায়
বাণী
চারু চপল পায়ে যায় যুবতী গোরী।। আঁচলের পাল তুলে সে চলে ময়ূর-পঙ্খি-তরী।। আয়রে দেখবি যদি ভাদরের ভরা নদী, চলে কে বে-দরদি — ভেঙে কূল গিরি-দরি।। মুখে চাঁদের মায়া কেশে তমাল-ছায়া, এলোচুলে দুলে দুলে নেচে চলে হাওয়া-পরী।। নয়ন-বাণে মারে প্রাণে চরণ-ছোঁয়ায় জীবন দানে, মায়াবিনী যাদু জানে — হার মানে ঊর্বশী অপ্সরী।।
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা
বাণী
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা, চাঁদের চেয়েও জ্যোতি। তুমি দেখাইলে মহিমান্বিতা নারী কী শক্তিমতী।। শিখালে কাঁকন চুড়ি পরিয়াও নারী, ধরিতে পারে যে উদ্ধত তরবারি, না রহিত অবরোধের দুর্গ, হতো না এ দুর্গতি।। তুমি দেখালে নারীর শক্তি স্বরূপ – চিন্ময়ী কল্যাণী, ভারত জয়ীর দর্প নাশিয়া মুছালে নারীর গ্লানি। তুমি গোলকুন্ডার কোহিনূর হীরা সম আজো ইতিহাসে জ্বলিতেছে নিরুপম, রণরঙ্গিণী ফিরে এসো, তুমি ফিরিয়া আসিলে, ফিরিয়া আসিবে লক্ষী ও সরস্বতী।।
চোখের নেশার ভালোবাসা
বাণী
চোখের নেশার ভালোবাসা সে কি কভু থাকে গো জাগিয়া স্বপনের স্মৃতি স্মরণে কে রাখে গো।। তোমরা ভোল গো যা’রে চিরতরে ভোল তা’রে মেঘ গেলে আবছায়া থাকে কি আকাশে গো।। পুতুল লইয়া খেলা খেলেছ বালিকা বেলা খেলিছ পরাণ ল’য়ে তেমনি পুতুল খেলা। ভাঙ্গিছ গড়িছ নিতি হৃদয়–দেবতাকে গো। চোখের ভালোবাসা গ’লে শেষ হ’য়ে যায় চোখের জলে বুকের ছলনা সেকি নয়ন জলে ঢাকে গো।।
চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে
বাণী
চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।। বাজে পায়ে পাঁইজোর ঘুঙুর ঝুমুর ঝুমুর গাহে পাপিয়া পিয়া পিয়া শুনি সে সুর শত পরান হতে চায় ঐ চরণে নূপুর হৃদি হতে চায় চাবি তাহার আঁচলে।। পথিকে বধিতে কি নদীতে সে জলকে যায় ছল চল বলি তাহার কলসিতে জল ছ’লকে যায় কাজল-ঘন চোখে বিজলি জ্বালা ঝলকে যায় মন-পতঙ্গ ধায় ঐ আঁখির অনলে শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।।