চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম
বাণী
চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম আসিলে মোর জীবনে। নীরব মনের উপবন মর্মরি’ উঠিল অধীর হরষণে।। যে মুকুল ঘুমায়ে ছিল পত্রপুটে অনুরাগে ফুল হয়ে উঠিল ফুটে, তনুর কূলে কূলে ছন্দ উঠিল দুলে আকুল শিহরণে।। অলকানন্দা হ’তে রসের ধারা তুমি আনিলে বহি’, অশান্ত সুরে একি গাহিলে গান, হে দূর বিরহী। মায়ামৃগ তুমি হেসে চ’লে যাও তব কূলে যে কাঁদে তারে ফিরে নাহি চাও, কত বন ভূমিরে আঁখি-নীরে ভাসাও — হে উদাসীন আনমনে।।
চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান
বাণী
চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান চ্যল্। ফ্যত্হেকি হো ফৌজ তুম্ ব্যহর্ কি হো মৌজ তুম্ ব্যখত্কে হো অওজ তুম্ তুম্মে হ্যায় জোর ব্যল্।। চাক হ্যায় শ্যব কি ন্যকাব ছোড় দো গ্যফল্যত কা খবাব, নিকলা ওহ লো আফতাব — তুম্ভি হো গ্যরমে অ্যস্যল।। ফ্যয়লনে কো বেকরার সুরতে নূর অ্যওর নার, জ্যল জ্যলা আফজা পুকার — জলমকি ব্যনফ্যর অ্যম্যল।। চ্যল মচাকে শোর সাফে দুশম্যন কো তোড় ফোড় উঠ খ্যড়ে হো সুব্ আজাঁ গ্যফিলিয়ত্ কো ছোড়, হিম্মত না হারানা আযায়ে গ্যর অ্যয্যল।।
চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়
বাণী
চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায় আজিকে যে রাজাধিরাজ কা'ল সে ভিক্ষা চায়।। অবতার শ্রীরামচন্দ্র যে জানকীর পতি তারও হলো বনবাস রাবণ করে দুর্গতি। আগুনেও পুড়িল না ললাটের লেখা হায়।। স্বামী পঞ্চ পাণ্ডব, সখা কৃষ্ণ ভগবান দুঃশাসন করে তবু দ্রৌপদীর অপমান পুত্র তার হলো হত যদুপতি যার সহায়।। মহারাজ হরিশচন্দ্র, রাজ্য দান ক'রে শেষ শ্মশান-রক্ষী হয়ে লভিল চণ্ডাল-বেশ বিষ্ণু-বুকে চরণ-চিহ্ন, ললাট-লেখা কে খণ্ডায়।।
চম্পা-বনে বেণু বাজে
বাণী
চম্পা-বনে বেণু বাজে — বাজে বাজে। কে গো চঞ্চল? এলে মনোহর সাজে — কিশোর নাটুয়ার১ সাজে।। আঁখি মেলিয়া চাহে মালতীর কলি ভবন-শিখী নাচে ‘কে গো’ বলি’, ছড়ায় সমীরণ ফুল-অঞ্জলি — তোমার পথ-মাঝে।। নূপুর শুনি বনে নাচে কুরঙ্গ মানস-গঙ্গায় জাগে-তরঙ্গ, সরসীতে কমলিনী থরথর অঙ্গ — রক্তিম হ’ল লাজে।। লুকায় ফুলধনু মেঘের কোলে রাখিয়া কপোল চাঁদের কপোলে, হেরে তরুণ রসরাজে।।
১. মনোহর