বাণী

		চোখের বাঁধন খুলে দে মা খেলব না আর কানামাছি।
আমি		মার খেতে আর পারি না মা এবার বুড়ি ছুঁয়ে বাঁচি।।
			তুই পাবি অনেক মেয়ে ছেলে
			যাদের সাধ মেটেনি খেলে খেলে,
তুই		তাদের নিয়েই খেল না মা গো শ্রান্ত আমি রেহাই যাচি।
		দুঃখ-শোক-ঋণ-অভাব ব্যাধি মায়ার খেলুড়িরা মিলে,
		শত দিকে শত হাতে আঘাত হানে তিলে তিলে।
			চোর হয়ে মা আর কত দিন 
			ঘুরব ভবে শান্তিবিহীন,
তোর		অভয় চরণ পাই না কেন মা তোর এত কাছে আছি।।

বাণী

চাঁদের পিয়ালাতে আজি জোছনা-শিরাজি ঝরে।
ঝিমায় নেশায় নিশীথিনী সে-শরাব পান ক’রে।।
	সবুজ বনের জল্‌সাতে
	তৃণের গালিচা পাতে,
উতল হাওয়া বিলায় আতর চাঁপার আতরদানি ভ’রে।।
সাদা মেঘের গোলাব-পাশে ঝরিছে গোলাব-পানি,
রজনীগন্ধার গেলাসে রজনী দেয় সুরা আনি’।
	কোয়েলিয়া কুহু কুহু
	গাহে গজল মুহু মুহু,
সুরের নেশা সুরার নেশা লাগে আজি চরাচরে।।

বাণী

চঞ্চল সুন্দর নন্‌দ্‌ কুমার গোপী চিতচোর প্রেম্‌ মনোহর নওল কিশোর।
বাজতাহি মন্‌মে বাঁশুরি কি ঝন্‌কার, নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার।।
শ্রবণ-আনন্দ্‌ বিছুয়া কি ছন্দ রুনুঝুনু বোলে
নন্দ্‌কে আঙ্গ্‌নামে নন্দন চন্দ্রমা গোপাল বন্‌ ঝুমত্‌ ঝুমত্‌ ডোলে,
ডগমগ ডোলে, রাঙ্গা পাঁউ বোলে লঘু হোকে বিরাট ধরতী কা ভার।।
রূপ নেহারনে আয়ে লূকছুপ্‌ দেওতা
কোই গোপ গোপী বনা কোই বৃকশ লতা,
নদী হো বহে লাগে আনন্দ্‌কে আঁসু যমুনা জল সুঁ —
প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজোয়ে, পূজা কর্‌নে কো ফুল লিয়ে আয়ে বন্‌ডার।।

বাণী

চল	মন আনন্দ-ধাম।
	চল মন আনন্দ-ধাম রে,
	চল আনন্দ-ধাম।।
	লীলা-বিহার প্রেম লোক
	নাই রে সেথা দুঃখ শোক,
সেথা	বিহরে চির-ব্রজ-বালক — 
	বন্‌শিওয়ালা শ্যাম রে
	চল আনন্দ-ধাম।।
	নাহি মৃত্যু নাহি ভয়
	নাহি সৃষ্টি, নাহি লয়,
খেলে	চির-কিশোর চির-অভয় —
	সঙ্গীত ওম্ না রে
	চল আনন্দ ধাম।।
	নাহি চরাচর নাহি রে ব্যোম
	লীলা-সাথী গ্রহ রবি ও সোম,
	সঙ্গীত ‘ওম্’ নাম রে
	চল আনন্দ ধাম।।

১. অবাঙ্‌মনস-গোচরম্‌

বাণী

চাঁপা রঙের শাড়ি আমার যমুনা-নীর ভরণে গেল ভিজে।
ভয়ে মরি আমি, ঘরে ননদী, কহিব শুধাইলে কি যে।।
	ছি ছি হরি, একি খেল লুকোচুরি
	একেলা পথে পেয়ে কর খুন্‌সুড়ি,
রোধিতে তব কর ভাঙিল চুড়ি — ছলকি গেল কলসি যে।।
	ডাঁশা কদম্ব দিবে বলি হরি
	ডাকিলে-তরুতলে কেন ছল করি’,
কাঁচা বয়সী পাইয়া শ্রী হরি — মজাইলে, মজিলে নিজে।।

বাণী

কোরাস্	:	চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক।
			চীন ভারতের জয় হোক! ঐক্যের জয় হোক! সাম্যের জয় হোক।
			ধরার অর্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে,
			কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে।
পুরুষ কন্ঠ	:	সহিব না আজ এই অবিচার —
কোরাস্	:	খুলিয়াছে আজি চোখ॥
			প্রাচীন চীনের প্রাচীর মহাভারতের হিমালয়
			আজি এই কথা যেন কয় —
			মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে-ইহা কি সত্য নয় ?
			হইব সর্বজয়ী আমরাই সর্বহারার দল,
			সুন্দর হবে শান্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল।
পুরুষ কন্ঠ	:	আমরা আনিব অভেদ ধর্ম —
কোরাস্	:	নব বেদ-গাঁথা-শ্লোক॥