বাণী

	চিকন কালো বেদের কুমার কোন্‌ পাহাড়ে যাও?
কোন্‌	বন-হরিণীর পরান নিতে বাঁশরি বাজাও?
	তুমি শিস্‌ দিয়ে গান গাও
	তুমি কুটিল চোখে চাও।।
	তীর-ধনুক নিয়ে সারাবেলা
	ও শিকারি, এ কি খেলা?
শাল গাছেরই ডাল ভাঙিয়া একটু বাতাস খাও।।
কাঁকর-ভরা কাঁটার পথে (আজ) নাই শিকারে গেলে,
অশথ্‌-তলে বাজাও বাঁশি (তোমার) হাতের ধনুক ফেলে’।
	তোমার কালো চোখের কাজল নিয়ে
	ঝিল উঠেছে ঝিল্‌মিলিয়ে, ঝিল্‌মিলিয়ে।
ঐ কমল ঝিলের শাপলা নিয়ে বাঁশিখানি দাও।।

বাণী

চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এ নয়ন পানে।
জানিতে নাইকো বাকি, সই ও আঁখি কি যাদু জানে।।
একে ঐ চাউনি বাঁকা সুর্মা আঁকা তা’য় ডাগর আঁখি রে
বধিতে তা’য় কেন সাধ? যে মরেছে ঐ নয়ন বাণে।
			মরেছে ঐ আঁখির বাণে।।
চকোর কি প’ড়ল ধরা পীযূষ ভরা ঐ মুখ-চাঁদে (রে),
কাঁদিছে নার্গিসের ফুল লাল কপোলের কমল-বাগানে।
জ্বলিছে দিবস রাতি মোমের বাতি রূপের দেওয়ালি (রে),
নিশিদিন তাই কি জ্বলি’ পড়ছ গলি’ অঝোর নয়ানে।
মিছে তুই কথার কাঁটায় সুর বিঁধে হায় হার গাঁথিস কবি (রে)।
বিকিয়ে যায় রে মালা এই নিরালা আঁখির দোকানে।।

বাণী

চির-আপনার তুমি হে হরি।
তুমি ভুলো না যদি আমি রই পাশরি’।।
আমি ভুলিয়া যদি কভু রহি ঘুমে
তুমি ঘুম ভাঙাও মোর আঁখি চুমে,
তুমি আমি এক তরীতে তরি।।
আমার বাঁধন মোচন মাঝে
হরি হে তোমারও মুকুতি রাজে,
তুমি জীবনে আমার আছ প্রাণ ধরি’।।

বাণী

চাঁপার কলির তুলিকায়, কাজল লেখায় শ্রীমতী শ্রীহরির ছবি আঁকে।
রাই ছবি আঁকে পটে গো, যারে হেরে নিতি গোঠে যেতে
যমুনার তটে গো, সে বংশী বাজায়ে মঞ্জির পায়ে
নাচে ছায়া বটে গো, রাই ছবি আঁকে পটে গো।
আঁকিয়া শ‍্যামের মূরতি আঁকিল না রাধা শ্রীচরণ ,
রাধা চরণ আঁকে না, তুলি তুলিয়া রাখে চরণ আঁকে না।
তখন ললিতা বলে- ‘রাধা! রাধা! রাধা!
তুই আঁকলি না কেন চরণ রাধা!’
‘জীবন মরণ যে চরণে বাঁধা, আঁকলি না কেন চরণ রাধা —
বিশ্বের ত্রাণ বৃন্দাবনের ধ‍্যানজ্ঞান ব্রজগোপী সাধা’ —
‘আঁকলি না কেন চরণ রাধা’ —!
তখন রাধা কেঁদে বলে- ‘ওগো ললিতা —
সখি আঁকিলে চরণ যাবে সে পালায়ে আমি হব পদদলিতা।
পলায়ে যাবে গো মথুরায়, আবার পালায়ে যাবে গো —
চির চপল সে মথুরায় আবার পালায়ে যাবে গো —
থাক লুকানো হৃদয়ে শ্রীচরণ।’

বাণী

চম্পা পারুল যূথী টগর চামেলা।
আর সই, সইতে নারি ফুল-ঝামেলা।।
	সাজায়ে বন-ডালি,
	বসে রই বন-মালি
যা'রে দিই এ ফুল সেই হানে হেলাফেলা।।
	কে তুমি মায়া-মৃগ
	রতির সতিনী গো
ফুল নিতে আসিলে এ বনে অবেলা।।
	ফুলের সাথে প্রিয়
	ফুল মালরে নিও
তুমিও এক সই, আমিও একেলা।।

বাণী

চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান চ্যল্।
ফ্যত্‌হেকি হো ফৌজ তুম্
ব্যহর্ কি হো মৌজ তুম্
ব্যখত্‌কে হো অওজ তুম্
		তুম্‌মে হ্যায় জোর ব্যল্।।
চাক হ্যায় শ্যব কি ন্যকাব
ছোড় দো গ্যফল্যত কা খবাব,
নিকলা ওহ লো আফতাব —
		তুম্‌ভি হো গ্যরমে অ্যস্যল।।
ফ্যয়লনে কো বেকরার
সুরতে নূর অ্যওর নার,
জ্যল জ্যলা আফজা পুকার —
		জলমকি ব্যনফ্যর অ্যম্যল।।
চ্যল মচাকে শোর সাফে দুশম্যন কো তোড় ফোড়
উঠ খ্যড়ে হো সুব্ আজাঁ গ্যফিলিয়ত্ কো ছোড়,
হিম্মত না হারানা আযায়ে গ্যর অ্যয্যল।।