তব চলার পথে আমার গানের
বাণী
তব চলার পথে আমার গানের ফুল ছড়িয়ে যাই গো। তারা ধুলায় প’ড়ে কেঁদে বলে ‘তোমার পরশ (আল্তা) হ’তে চাই গো।। ওরা রাঙা হ’য়ে অনুরাগের রসে তোমার চরণ-তলে পড়ে খ’সে, ওদের দ’লে যেও, নাই যদি হয় বক্ষে তেমার ঠাঁই গো।। ওরা বুক পেতে দেয় পায়ের কাছে, অশ্রু-টলমল, বলে ‘ধূলির পথে চলো না গো, ফুলেরপেথে চল।’ (তুমি) চরণ ফেল কেন ভয়ে ভয়ে বিরহ মোর ফুটেছে ফুল হ’য়ে, কাঁটা আছে আমার বুকে, ফুলে কাঁটা নাই গো।।
তুম প্রেমকে হো ঘনশ্যাম
বাণী
তুম প্রেমকে হো ঘনশ্যাম ম্যায় প্রেম কি শ্যাম-প্যায়ারী। প্রেমকা গান তুমহারে দান ম্যায় হুঁ প্রেম-ভিখারি।। হৃদয় বিচমে যমুনা তীর তুমহারি মুরলী বাজে ধীর, নয়ন নীর কি বহত যমুনা প্রেম সে মাতোয়ারী।। যুগ যুগ হোয়ে তুমহারি লীলা মেরে হৃদয় বনমে, তুমহারে সুন্দর-মন্দির মোহন সোহত মেরে মনমে। প্রেম-নদী নীর নিত বহি যায় তুমহারে চরণ কো কবহুঁ না পায়, রোয়ে শ্যাম-প্যায়ারী সাথ ব্রিজনারী আও মুরলীধারী।।
তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে
বাণী
তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে যেন ঊষার কোলে রাঙা-রবি দোলে।। কূল মখ্লুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এলো ঐ কলেমা শাহাদাতের্ বাণী ঠোঁটে, কে এলা ঐ খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এলো ঐ আকাশ-গ্রহ-তারা পড়ে লুটে, কে এলা ঐ পড়ে দরুদ ফেরেশ্তা, বেহেশ্তে সব দুয়ার খোলে।। মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে-জন ‘এক আল্লাহ্ ছাড়া প্রভু নাই’ কহিল যে-জন, মানুষের লাগি’ চির-দীন্ বেশ ধরিল যে-জন বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে-জন এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী ব্যথিত-মানবের ধ্যানের ছবি আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল্ মুক্তি-কলোরোলে।।
তুমি যে আমার আধখানি চাঁদ
বাণী
তুমি যে আমার আধখানি চাঁদ, আধখানি ঐ আকাশে। তুমি হাস যবে মোর বুকে থাকি’ ঝলকে জোছনা হাসে।। কত বেদনায় মোর হিয়াতল ঘন হয়ে আসে যেন দীঘিজল, তারি বুকে তুমি অমল কমল — দুলিছ দখিনা বাতাসে।। আমি যে বাঁধিনু খেলাঘরখানি, তুমি যে পুতুল তারি, বাহিব সেথায় তরণী আমার — তুমি যে অসীম বারি। পথগুলি মোর মিশিল যেথায় আসিনু ফিরিয়া সেই মোহনায়, ভালোবাসা তব জীবনে আমার সৌরভ হ’য়ে ভাসে।।