তোমার নূরের রওশনি মাখা
বাণী
তোমার নূরের রওশনি মাখা নিখিল ভুবন, অসীম গগন। তোমার অনন্ত জ্যোতির ইশারা গ্রহ-তারা-চন্দ্র-তপন।। তোমার রূপের ইঙ্গিত খোদা ফুটিছে বনের কুসুমে সদা, তোমার নূরের ঝলক হেরি’ মেঘে বিজলি চমকে যখন।। প্রাণের খুশি শিশুর হাসি মধুর তোমার রূপ দেয় প্রকাশি’, তোমার জ্যোতির সমুদ্রে খোদা আলোর ঝিনুক মোর এ দু’টি নয়ন।। ধানের খেতে নদী-তরঙ্গে দুলে তোমার রূপ মধুর ভঙ্গে, নিতি দেখা দাও হাজার রঙ্গে অরূপ নিরাকার তুমি নিরঞ্জন।।
তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম
বাণী
তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম, আমারি মতন দিবস-নিশি জপিতে শ্যাম-নাম।। কৃষ্ণ-কলঙ্কেরি জ্বালা, মনে হ’ত মালতীর মালা চাহিয়া কৃষ্ণ-প্রেম জনমে জনমে আসিতে ব্রজধাম।। কত অকরুণ তব বাঁশরির সুর তুমি হইলে শ্রীমতী ব্রজ-কুলবতী বুঝিতে নিঠুর। তুমি যে-কাঁদনে কাঁদায়েছ মোরে আমি কাঁদাতাম তেমনি ক’রে বুঝিতে, কেমন লাগে এই গুরু-গঞ্জনা এ প্রাণ-পোড়ানি অবিরাম।।
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ
বাণী
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ, ডুবিয়া যাই এখন। দিনের আলোকে ভুলিও তোমার রাতের দুঃস্বপন।। তুমি সুখে থাক আমি চলে যাই, তোমারে চাহিয়া ব্যথা যেন পাই, জনমে জনমে এই শুধু চাই — না-ই যদি পাই মন।। ভয় নাই রাণী রেখে গেনু শুধু চোখের জলের লেখা, জলের লিখন শুকাবে প্রভাতে, আমি চলে যাব একা! ঊর্ধ্বে তোমার প্রহরী দেবতা, মধ্যে দাঁড়ায়ে তুমি ব্যথাহতা, — পায়ের তলার দৈত্যের কথা ভুলিতে কতক্ষণ।।