বাণী

বাঁশির কিশোর লুকায়ে হেরিছে একেলা।
পিয়াল বনের পথে নিরালা সাঁঝের বেলা।
হেলে দুলে চলে কে কাঁখে গাগরি,
কাহার ঝিয়ারি, ও কাহার পিয়ারি ওই নবীনা নাগরি।।
নূপুর মিনতি করে কাঁদিয়া কাঁদিয়া
আমারে রাখিও চরণে বাঁধিয়া,
পিয়া পিয়া ব'লে ডেকে ওঠে পাপিয়া।
অঙ্গ জড়ায়ে দোলে আনন্দে ঘাগরি।।
চাঁদের মুখে যেন চন্দন মাখিয়া
কাজল কালো চোখের কলঙ্ক আঁকিয়া
আকাশ সম ওরে রেখেছে ঢাকিয়া নীলাম্বরী।।

বাণী

তোমার মনে ফুট্‌বে যবে প্রথম মুকুল
প্রিয় হে প্রিয় আমারে দিও সে প্রেমের ফুল।।
	দীরঘ বরষ মাস তাহারই আশে
	জাগিয়া রব তব দুয়ার পাশে
বহিবে কবে ফুল-ফোটানো দখিনা বাতাস অনুকূল।।
আর কারে দাও যদি আমার সে ধ্যানের কুসুম
ক্ষতি নাই, ওগো প্রিয়, ভাঙুক, এ অকরুণ ঘুম।
	গুঞ্জরি’ গুঞ্জরি’ ভ্রমর সম
	কাঁদিব তোমারে ঘিরি’, প্রিয়তম।
হুতাস বাতাস সম কুসুম ফুটায়ে চলে যাব দূরে বেভুল।।

বাণী

নিরজন ফুলবন, এসো প্রিয়া
রহি’ রহি’ বলে কোয়েলিয়া।।
পথ পানে চাহি, নাহি নিদ নাহি
ঝরা ফুল জড়ায়ে ঝুরে হিয়া।।

বাণী

এবার	নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন।
	নিত্যা হয়ে রইবি ঘরে, হবে না তোর বিসর্জন।।
	সকল জাতির পুরুষ-নারীর প্রাণ
	সেই হবে তোর পূজা-বেদী মা তোর পীঠস্থান:
সেথা	শক্তি দিয়ে ভক্তি দিয়ে পাতবে মা তোর সিংহাসন।।
সেথা	রইবে নাকো ছোয়াছুয়ি উচ্চ-নীচের ভেদ,
	সবাই মিলে উচ্চারির মাতৃ-নামের বেদ।
মোরা	এক জননীর সন্তান সব জানি,
	ভাঙব দেয়াল, ভুলব হানাহানি
	দীন-দরিদ্র রইবে না কেউ সমান হবে সর্বজন,
	বিশ্ব হবে মহাভারত, নিত্য-প্রেমের বৃন্দাবন।।

বাণী

ঝরা ফুল দ’লে কে অতিথি
সাঝেঁর বেলা এলে কানন-বীথি।।
চোখে কি মায়া ফেলেছে ছায়া
যৌবন মদির দোদুল কায়া
তোমার ছোঁয়ায় নাচন লাগে দখিন হাওয়ায়
লাগে চাদেঁর স্বপন বকুল চাঁপায়,
কোয়েলিয়া কুহরে কু কু গীতি।।

বাণী

নমস্তে বীণা পুস্তক হস্তে দেবী বীণাপাণি।
শতদল-বাসিনী সিদ্ধি-বিধায়িনী সরস্বতী বেদবাণী।।
	এসো আমল ধবল শুভ সাত্ত্বিকী বর্ণে,
	হংস-বাহনে লীলা উৎপল কর্ণে,
এসো বিদ্যারূপিণী মা শারদা ভারতী এসো ভীতজনে বরাভয় দানি।।
	শুদ্ধ জ্ঞান দাও শুভ্র আলোক
	অজ্ঞান তিমির অপগত হোক।
মৃতজনে সঙ্গীত-অমৃত দাও মা বীণাতে মাভৈঃ ঝঙ্কার হানি।