মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে
বাণী
মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে নিত্য হেরি নাথ সন্ধ্যায় প্রভাতে।। চন্দ্র, সূর্য, দীপ গগন-থালা শ্বেত মেঘ-চন্দন, তারার মালা মলয় সমীর পূজা-ধূপের গন্ধ ঝরা ফুল-অঞ্জলি ধরণীর হাতে।। শঙ্খ বাজায় তব সাগর-কল্লোল বজ্র রবে ঘন ঘন্টার রোল বিগ্রহ নিখিল সৃষ্টি-আঙিনায়। (তব) শান্ত সত্ব-পাখা প্রণব-ওঙ্কার ঝমঝম বৃষ্টিতে ঝাঁঝর ঝঙ্কার। দেবদাসী সম কোটি গ্রহ ঘুরে ঘুরে তোমার বন্দনা-নৃত্যে মাতে।।
আমার যাবার সময় হলো
বাণী
আমার যাবার সময় হলো, দাও বিদায়। মোছ আঁখি, দুয়ার খোলো, দাও বিদায়।। ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে ঝরে ধূলায় ভোর বেলাতে আমায় তারা ডাকে সাথে - আয় রে আয়। সজল করুণ নয়ন তোলো, দাও বিদায়।। অন্ধকারে এসেছিলাম থাকতে আঁধার যাই চ’লে; ক্ষণিক ভালোবেসেছিলেম চিরকালের না-ই হ’লে। হ’লো চেনা হ’লো দেখা নয়ন-জলে রইলো লেখা দূর বিরহের ডাকে কেকা বরষায় ফাগুন স্বপন ভোলো ভোলো,দাও বিদায়।।
বন-বিহঙ্গ যাও রে উড়ে
বাণী
বন-বিহঙ্গ যাও রে উড়ে মেঘ্না নদীর পাড়ে দেখা হলে আমার কথা কইয়ো গিয়া তারে। কোকিল ডাকে বকুল-ডালে, যে-মালঞ্চে সাঁঝ-সকালে রে, আমার বন্ধু কাঁদে সেথায় গাঙেরি কিনারে।। গিয়া তারে দিয়া আইস আমার শাপ্লা-মালা আমার তরে লইয়া আইস তাহার বুকের জ্বালা। সে যেন রে বিয়া করে, সোনার কন্যা আনে ঘরে রে, আমার পাটের জোড় পাঠাইয়া দিব সে-কন্যারে।।