বাণী

নাচে তেওয়াড়ী চৌবেজী দৌবে পাঁড়ে
তালে তালে ভুঁড়ি নাড়ে (হাঁরে)।।
নাচে কাবলিওয়ালা আগা হেলায় দাড়ি
নাচে ইয়া গোঁফওয়ালা প’রে ঘাঘরি শাড়ি।
নাচে পান্ডাজী ধপাস্ ধপাস্
নাচে যুপী বুড়ি থপাস্  থপাস্
ফোঁপরা ঢেঁকিতে যেন চাল কাঁড়ে।।
নাচে তাড়তা হিড়িম্বে শূর্পণখা
নাচে উচ্চিংড়ে আরশোলা গুবরে পোকা
নাচে কিক্কড় কাল্লু গামা, নাচিছে ধুচুনি নাচিছে ধামা
নাচিছে ডুয়েট ঘটোৎকচ গোপাল ভাঁড়ে।।
নাচে নানা মিঞা হায় হায় ঘুরিয়ে লুঙ্গি
নাচে মাদ্রাজি উড়িয়া মগ বার্মিজ ফুঙ্গি
তাকিয়ার খোল পরে বল নাচে
সায়েবের সাথে মেম পাছে পাছে
ঘুরে ঘুরে যেন গরু ধান মাড়ে।।

বাণী

আমার ভুবন কান পেতে রয় প্রিয়তম তব লাগিয়া
দীপ নিভে যায়, সকলে ঘুমায় মোর আঁখি রহে জাগিয়া।।
	তারারে শুধাই, ‘কত দেরি আর
	কখন আসিবে বিরহী আমার?’
ওরা বলে, ‘হের পথ চেয়ে তার নয়ন উঠেছে রাঙিয়া’।।
আসিতেছে সে কি মোর অভিসারে কাঁদিয়া শুধাই চাঁদে
মোর মুখপানে চেয়ে চেয়ে চাঁদ নীরবে শুধু কাঁদে।
	ফাগুন বাতাস করে হায় হায়
	বলে, বিরহিণী তোর নিশি যে পোহায়
ফুল বলে, ‘আর জাগিতে নারি গো ঘুমে আঁখি আসে ভাঙিয়া’।।

বাণী

তুমি যেয়ো না তুমি যেয়ো না।
মিলনের সাধ না মিটিতে চাঁদ বিদায় চেয়ো না।।
	শোনো গো আমার বক্ষের মাঝে
	সাত সাগরের ক্রন্দন বাজে,
জোয়ারের তরী এখনই বন্ধু ভাটার স্রোতে বেয়ো না।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ আমার সনে
লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।।
গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্‌নি রাঙা, চরণ লেগে
যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে,
চপল হাসি চম্‌কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।।
রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’
ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি।
হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে।
মনের মাঝে যেম্‌নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্‌নি মুনি,
ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।

বাণী

ওগো	এলে কি শ্যামল পিয়া কাজল মেঘে
	চাঁচর চিকুর ওড়ে পবন বেগে॥
	তোমার লাবনি ঝ’রে পড়িছে অবনি-পরে
	কদম শিহরে কর-পরশ লেগে॥
	তড়িৎ ত্বরিত পায়ে বিরহী-আঁখিরে ছায়ে তরাসে লুকায়।
	চলিতে পথের মাঝে ঝুমুর ঝুমুর বাজে নূপুর দু’পায়।
	অশনি হানার ছলে প্রিয়ারে ধরাও গলে,
ওগো	রাতের মুকুল কাঁদে কুসুম জেগে॥

বাণী

ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি ঘুম দিয়ে যেয়ো,
বাটা ভ’রে পান দেবো গাল ভ’রে খেয়ো।
		ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।
ঘুম আয় রে, দুষ্টু খোকায় ছুঁয়ে যা
চোখের পাতা লজ্জাবতী লতার মত নুয়ে যা,
		ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।
মেঘের মশারিতে রাতের চাঁদ পড়ল ঘুমিয়ে,
খোকার চোখের পাপড়ি পড়ুক ঘুমে ঝিমিয়ে।
শুশুনি শাক খাওয়াব, ঘুম পাড়ানি আয়
ঝিঁঝিঁ পোকার নূপুর খোল, খোকা ঘুম যায়,
		ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।

চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’