বাণী

	দে জাকাত, দে জাকাত, তোরা দে রে জাকাত।
	তোর দিল্‌ খুলবে পরে ওরে আগে খুলুক হাত।।
	দেখ পাক্‌ কোরআন শোন্‌ নবীজীর ফরমান
	ভোগের তরে আসেনি দুনিয়ায় মুসলমান।
তোর	একার তরে দেননি খোদা দৌলতের খেলাত।।
তোর	দর্‌ দালানে কাঁদে ভুখা হাজারো মুসলিম
আছে	দৌলতে তোর তাদেরও ভাগ, বলেছেন রহিম।
	বলেছেন রহমানুর রহিম, বলেছেন রসুলে করিম।
	সঞ্চয়ে তোর সফল হবে পাবি রে নাজাত।।
	এই দৌলত বিভব রতন যাবে না তোর সাথে
	হয়তো চেরাগ জ্বলবে না তোর গোরে শবেরাতে।
	এই জাকাতের বদলাতে পাবি বেহেশ্‌তী সওগাত।।

বাণী

দুঃখ অভাব শোক দিয়েছ হে নাথ তাহে দুঃখ নাই
তুমি যেন অন্তরে মোর বিরাজ করো সর্বদাই॥
	রোগের মাঝে অশান্তিতে
	তুমি থেকো আমার চিতে
তোমার নামের ভজন গীতে প্রাণে যেন শান্তি পাই॥
দুর্দিনেরি বিপদ এলে তোমায় যেন না ভুলি
তোমার ধ্যানে পর্বত প্রায় অটল থাকি, না দুলি।
	সুখের দিনে বিলাস ঘোরে
	ভুলতে নাহি দিও মোরে
আপনি ডেকে নিও কোলে দূরে যদি সরে যাই॥

বাণী

দাসী হতে চাই না আমি হে শ্যাম কিশোর বল্লভ,
আমি তোমার প্রিয়া হওয়ার দুঃখ লব।
	জানি জানি হে উদাসীন
	দুঃখ পাব অন্ত বিহীন
বঁধুর আঘাত মধুর যে নাথ সে গরবে সকল সব।।
তোমার যারা সেবিকা নাথ, আমি নাহি তাদের দলে,
সবর্নাশের আশায় আমি ভেসেছি প্রেম পাথার জলে।
	দয়া যে চায় যাচুক চরণ
	আমার আশা করব বরণ
বিরহে হোক মধুর মরণ, আজীবন সুদূরে রব।।

বাণী

দূর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে মসজিদেরই মিনারে।
এ কী খুশির অধীর তরঙ্গ উঠলো জেগে’ প্রাণের কিনারে।।
মনে জাগে হাজার বছর আগে
	ডাকিত বেলাল এমনি অনুরাগে,
তাঁর খোশ এলেহান, মাতাইত প্রাণ গলাইত পাষাণ ভাসাইত মদিনারে
		প্রেমে ভাসাইত মদিনারে।।
তোরা ভোল গৃহকাজ, ওরে মুসলিম থাম
চল খোদার রাহে, শোন, ডাকিছে ইমাম।
মেখে’ দুনিয়ারই খা, বৃথা রহিলি না-পাক,
চল মসজিদে তুই, শোন মোয়াজ্জিনের ডাক,
তোর জনম যাবে বিফলে যে ভাই এই ইবাদতে বিনা রে।।

বাণী

দেবযানীর মনে প্রথম প্রীতির কলি জাগে।
কাঁপে অধর-আঁখি অরুণ অনুরাগে।।
	নব-ঘন-পরশে
	কদম শিহরে যেন হরষে,
ভীরু বুকে তা’র তেমনি শিহরণ লাগে।।
দেব-গুরু-কুমার ভোলে সঞ্জীবনী-মন্ত্র,
তপোবনে তার জাগে ব্যাকুল বসন্ত।
	নব-সুর-ছন্দ
	আনিল অজানা আনন্দ,
পূজা-বেদী তার রাঙিল চন্দন-ফাগে।।
১. হরষণ

বাণী

দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত
শ্রান্তি মাঝে হরি শান্তি দাও দাও॥
কান্ডারি হে আমার, পার কর কর পার,
উত্তাল তরঙ্গ অশান্তি পারাবার,
অভাব দৈন্য শত হৃদি-ব্যথা-ক্ষত,
যাতনা সহিব কত প্রভু কোলে তুলে নাও।।
হে দীনবন্ধু করুণাসিন্ধু,
অম্বর ব্যাপি’ ঝরে তব কৃপা-বিন্দু,
মরুর্‌ মতন চেয়ে আছি নব ঘনশ্যাম —
আকুল তৃষ্ণা ল’য়ে প্রভু পিপাসা মিটাও॥