দে দোল্ দে দোল্ ওরে দে দোল্
বাণী
দে দোল্ দে দোল্ ওরে দে দোল্ দে দোল্ জাগিয়াছে ভারত সিন্ধু তরঙ্গে কল-কল্লোল।। পাষাণ গলেছে রে অটল টলেছে রে জেগেছে পাগল রে ভেঙেছে আগল।। বন্ধন ছিল যত হল খানখান রে পাষাণ পুরীতে ডাকে জীবনেরি বান রে মৃত্যু ক্লান্ত আজি কুড়াইয়া প্রাণ রে দুর্মদ যৌবন আজি উতরোল।। অভিশাপ রাত্রির আয়ু হল ক্ষয় রে আর নাহি অচেতন আর নাহি ভয় রে আজও যাহা আসেনি আসিবে সে জয় রে আনন্দ ডাকে দ্বারে খোল দ্বার খোল।।
দোপাটি লো লো করবী
বাণী
দোপাটি লো, লো করবী, নেই সুরভি রূপ আছে রঙের পাগল রূপ পিয়াসি সেই ভালো আমার কাছে।। গন্ধ ফুলের জলসাতে তোর গুণীর সভায় নেইকে আদর গুল্ম বনে দুল হয়ে তুই, দুলিস একা ফুল গাছে।। লাজুক মেয়ে পল্লী বধূ জল নিতে যায় একলাটি করবী নেয় কবরীতে বেণীর শেষে দোপাটি গন্ধ ল'য়ে স্নিগ্ধ মিঠে আলো ক'রে থাকিস ভিটে, নেই সুবাস, আছে গায়ে কাঁটা, সেই গরবে মন নাচে।।
দুখের সাহারা পার হয়ে আমি চলেছি
বাণী
দুখের সাহারা পার হয়ে আমি চলেছি ক্বাবার পানে। পড়িব নামাজ মা'রফাতের আরফাত ময়দানে।। খোদার ঘরের দিদার পাইব, হজ্জের পথের জ্বালা জুড়াইব, (মোর) মুর্শিদ হয়ে হজরত পথ দেখান সুদূর পানে।। রোজা রাখা মোর সফল হইবে, পাবো পিয়াসার পানি; আবে জম্জম্ তৌহিদ পিয়ে ঘুচাব পথের গ্লানি। আল্লার ঘর তওয়াফ করিয়া কাঁদিব সেথায় পরান ভরিয়া, ফিরিব না আর, কোরবানি দেবো এই জান সেইখানে।।
দুঃখ অভাব শোক দিয়েছ হে নাথ
বাণী
দুঃখ অভাব শোক দিয়েছ হে নাথ তাহে দুঃখ নাই তুমি যেন অন্তরে মোর বিরাজ করো সর্বদাই॥ রোগের মাঝে অশান্তিতে তুমি থেকো আমার চিতে তোমার নামের ভজন গীতে প্রাণে যেন শান্তি পাই॥ দুর্দিনেরি বিপদ এলে তোমায় যেন না ভুলি তোমার ধ্যানে পর্বত প্রায় অটল থাকি, না দুলি। সুখের দিনে বিলাস ঘোরে ভুলতে নাহি দিও মোরে আপনি ডেকে নিও কোলে দূরে যদি সরে যাই॥