দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী
বাণী
দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী। শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে শ্মশান মাঝে শিব-দুলালী॥ আজ শান্ত সিন্ধু তীরে অশান্ত ঝড় থেমেছে রে, মা’র কালো রূপ উপ্চে পড়ে ছাপিয়ে ভুবন গগন-ডালি॥ আজ অভয়ার ওষ্ঠে জাগে শুভ্র করুণ শান্ত হাসি, আনন্দে তাই বসন ফেলি’ মহেন্দ্র ঐ বাজায়-বাঁশি, ঘুমিয়ে আছে বিশ্ব ভুবন মায়ের কোলে শিশুর মতন, পায়ের লোভে মনের বনে ফুল ফুটেছে পাঁচমিশালি॥
দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা
বাণী
দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা। সকাল সাঁঝে সকল কাজে জপি সে নাম নিরালা।। সেই নাম বসন-ভূষণ আমারি সেই নামে ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারি, সেই নাম লয়ে বেড়াই কেঁদে সেই নামে আবার জুড়াই জ্বালা।। সেই নামরেই নামাবলী গ্রহ তারা রবি শশী দোলে গগন কোলে। মধুর সেই নাম প্রাণে সদা বাজে, মন লাগে না সংসার কাজে সে নামে সদা মন মাতোয়ালা।। আদর-সোহাগ মান -অভিমান আপন মনে তার সাথে; কাঁদায়ে কাঁদি, পায়ে ধ'রে সাধি, কভু করি পূজা, কভু বুকে বাঁধি, আমার স্বামী সে ভুবন-উজালা।।
দূর প্রবাসে প্রাণ কাঁদে আজ
বাণী
দূর প্রবাসে প্রাণ কাঁদে আজ শরতের ভোর হাওয়ায়। শিশির-ভেজা শিউলি ফুলের গন্ধে কেন কান্না পায়।। সন্ধ্যা বেলার পাখির সম মন উড়ে যায় নীড়-পানে। নয়ন-জলের মালা গাঁথে বিরহিণী এক্লা, হায়।। কোন্ সুদূরে নওবতে কার বাজে সানাই যোগিয়ায়। টলমল টলিছে মন কমল-পাতে শিশির-প্রায়।। ফেরেনি আজ ঘরে কে হায় ঘরে যে আর ফিরবে না। কেঁদে কেঁদে তারেই যেন ডাকে বাঁশি, ‘ফিরে আয়’।।
দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
বাণী
দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান হে খোদা, এ যে তোমারই হুকুম, তোমারই ফরমান।। এমনি তোমার নামের আছর – নামাজ রোজার নাই অবসর, তোমার নামের নেশায় সদা মশগুল মোর প্রাণ।। তকদিরে মোর এই লিখেছ হাজার গানের সুরে নিত্য দিব তোমার আজান আঁধার মিনার-চূড়ে। কাজের মাঝে হাটের পথে রণ-ভূমে এবাদতে আমি তোমার নাম শোনাব, করব শক্তি দান।।
দেশপ্রিয় নাই শুনি ক্রন্দন সহসা
বাণী
‘দেশপ্রিয় নাই’ শুনি ক্রন্দন সহসা প্রভাতে জাগি’। আকাশে ললাট হানিয়া কাঁদিছে ভারত চির-অভাগী।। বহুদিন পরে আপনার ঘরে মা’র কোলে মাথা রাখি’, ঘুমাতে এসেছে শ্রান্ত সেননী, জাগায়ো না তারে ডাকি’। দেশের লাগিয়া দিয়াছে সকলি, দেয়নি নিজেরে ফাঁকি — তাহারি শুভ্র শান্ত হাসিটি অধরে রয়েছে লাগি’।। স্বার্থ অর্থ বিলাস বিভব গৌরব সম্মান মায়ের চরণে দিয়াছে সে-বীর অকাতরে বলিদান, রাজ-ভিখারির ছিল সম্বল শুধু দেহ আর প্রাণ তাই দিয়ে দিল শেষ অঞ্জলি দানবীর বৈরাগী।।
প্রথম খন্ড