বাণী

দোলন চাঁপা বনে দোলে —
	দোল-পূর্ণিমা-রাতে চাঁদের সাথে।
শ্যাম পল্লব কোলে যেন দোলে রাধা
	লতার দোলনাতে॥
যেন দেব-কুমারীর শুভ্র হাসি
ফুল হয়ে দোলে ধরায় আসি’
আরতির মৃদু জ্যোতি প্রদীপ-কলি
	দোলে যেন দেউল-আঙিনাতে॥
বন-দেবীর ওকী রুপালি ঝুমকা
	চৈতি সমীরণে দোলে —
রাতের সলাজ আঁখি-তারা
	যেন তিমির আঁচলে।
ও যেন মুঠিভরা চন্দন-গন্ধ
দোলে রে গোপিনির গোপন আনন্দ,
ও কী রে চুরি করা শ্যামের নূপুর —
	চন্দ্র-যামিনীর মোহন হাতে॥

বাণী

[ওমা — ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম মা — ওমা — মা-মা-মা]
		দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি
		এ ভুঁড়ি তো নয় ভূধর যেন উদর প্রদেশ জুড়ি॥
		ক্রমেই ভুঁড়ির পরিধি মা যাচ্ছে ছেড়ে দেহের সীমা
		আমার হাত পা রইল বাঙালি ওমা পেট হল ভোজপুরী॥
		উপুড় হতে নারি মাগো সর্বদা চিৎপাৎ
		ভয় লাগে কাৎ হলেই বুঝি হব কুপোকাৎ
		শালীরা কয় হায় রে বিধি রোলার বিয়ে করলেন দিদি
		গুঁড়ি ভেবে ঠেস দেয় কেউ কেউ দেয় সুড়সুড়ি॥
(আর)		ভুঁড়ি চলে আগে আগে আমি চলি পিছে
		কুমড়ো গড়ান গড়িয়ে পড়ি নামতে সিঁড়ির নীচে।
		পেট কি ক্রমে ফুলে ফেঁপে উঠবে মাগো মাথা ছেপে
(ওগো)	কেউ নাদা কয় কেউ গম্বুজ (বলে) কেউবা গোবর ঝুড়ি।
		গাড়িতে মা যেই উঠেছি ভুঁড়ি লাগায় লম্ফ
		ভুমিকম্পের চেয়েও ভীষণ আমার ভুঁড়ি কম্প।
		সার্ট ক্রমে পেটে এঁটে গেঞ্জি হয়ে গেল সেঁটে
		দে ভুঁড়ির ময়দা ফেটে হাত পা গুলো ছুড়ি
		হালকা হয়ে মনের সুখে হাত পা গুলো ছুড়ি
		এই ভুঁড়ির ময়দা ফেটে দে
		ফায়দা কি আর এই ভুঁড়িতে ময়দা ফেটে দে
		হালকা হয়ে মনের সুখে ওমা, হাত-পাগুলো ছুড়ি॥

বাণী

দুধে আলতায় রঙ যেন তার সোনার অঙ্গ ছেয়ে
		(সে) ভিন্ গেরামের মেয়ে।
চাঁদের কথা যায় ভুলে লোক তাহার মুখে চেয়ে,
		ভিন্ গেরামের মেয়ে।
ও পারে ওই চরে যখন চুল খুলে সে দাঁড়ায়,
কালো মেঘের ভিড় লেগে যায় আকাশের ওই পাড়ায়,
পা ছুঁতে তার নদীর জলে (ও ভাই) জোয়ার আসে ধেয়ে।।
চোখ তুলে সে মেঘের পানে ভুরু যখন হানে,
অম্‌নি ওঠে রামধনু গো সেই চাহনির টানে।
কপালের সে ঘাম মুছে গো আঁচল যখন খুলে,
ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায়, দরিয়া ওঠে দুলে।
আমি চোখের জলে খুঁজি তারেই (ও ভাই) দুখের তরী বেয়ে।।

বাণী

দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য্য, হে উদার নাথ,
			দাও প্রাণ।
দাও অমৃত মৃত জনে,
দাও ভীত –চিত জনে, শক্তি অপরিমাণ।
			হে সর্বশক্তিমান।।
দাও স্বাস্থ্য, দাও আয়ু,
স্বচ্ছ আলো, মুক্ত বায়ু,
দাও চিত্ত অ–নিরুদ্ধ, দাও শুদ্ধ জ্ঞান।
			হে সর্বশক্তিমান।।
দাও দেহে দিব্য কান্তি,
দাও গেহে নিত্য শান্তি,
দাও পুণ্য প্রেম ভক্তি, মঙ্গল কল্যাণ।
ভীতি নিষেধের ঊর্ধে স্থির,
রহি যেন চির — উন্নত শির
যাহা চাই যেন জয় করে পাই, গ্রহণ না করি দান।
			হে সর্বশক্তিমান।।

বাণী

	দিল দোলা ওগো দিল দোলা
কোন	দখিন হাওয়া গজল-গাওয়া
		কুসুম-ছাওয়া বনে।
ওঠে	চমকি চমকি পরান ক্ষণে ক্ষণে।।
	ফুল-বঁধুদের মধু যেচে' বেড়ায় হিয়া নেচে' নেচে'
	দেখেছিলাম স্বপনে যায় পেয়েছি তায় আজকে জাগরণে।।
	কুল ছাপিয়ে মন-তটিনী নটিনীর বেশে, দুলে' দুলে' যায় ভেসে'।
	বস-ভুষণ আজি শাসন নাহি মানে খুশির তুফানে।
চাই	কুঞ্জপথে ঝ'রে যেতে ঝরা ফুলের সনে।।

বাণী

দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী কোরানের মধু-বাণী।
আয়েশা খাতুন শোনেন বসিয়া, নয়নে ঝরিছে পানি।।
	বে-দ্বীন দিওয়ানা হ’য়ে
	কাঁদে যে কোরান ল’য়ে,
বিশ্ববাসী আনিল ঈমান যে পাক কোরান মানি’।।
চন্দ্র-তারকা-গ্রহ আদি ঐ তরুলতা মরু-বায়,
কোরানের সেই আয়াত শুনিয়া লুটায় নবীর পায়।
	কোরানে জাগাও ওরে
	জ্ঞান-গরিমায় মোরে,
মরিতে আমায় দিও গো ল’য়ে বক্ষে কোরানখানি।