দু’হাতে ফুল ছড়ায়ে
বাণী
দু’হাতে ফুল ছড়ায়ে মন রাঙায়ে ধরায় আসি। প্রথম যৌবনেরই ঘুম ভাঙাতে বাজাই বাঁশি।। আমি কই, দেখরে চেয়ে, নেইরে জরা আজিও চির নূতন — সেই পুরাতন বসুন্ধরা, মাধবী চাঁদের চোখে আঁকা আজো বাঁকা হাসি।। ফুটাই আশার কোলে শুকনো ডালে অবসাদ আসে যবে সাধ ফুরালে, আমি কই, এই ত’ সুরাপাত্র-পুরা রস-পিয়াসী।।
নাটক : ‘হরপার্বতী’ (কন্দর্পের গান)
দোল ফাগুনের দোল লেগেছে
বাণী
দোল ফাগুনের দোল লেগেছে, আমের বোলে দোলন-চাঁপায়। মৌমাছিরা পলাশ-ফুলের গেলাশ ভ’রে মউ পিয়ে যায়।। শ্যামল পাতার কোলে কোলে আবির-রাঙা কুসুম দোলে, দোয়েল শ্যামা লহর তোলে কৃষ্ণচূড়ার ফুলেল শাখায়।। বন-গোপিনী ফুল ছুঁড়ে ঐ খেলে হোরী দখিন-বায়ে, হলদে পাখি দোদুল দুলে সোনাল শাখায় আদুল গায়ে। ভাঁট-ফুলের ঐ নাট-দেউলে রঙিন প্রজাপতি দুলে, মন ছুটে যায় দূর গোকুলে, বৃন্দাবনে প্রেম যমুনায়।।
দুলে চরাচর হিন্দোল-দোলে
বাণী
দুলে চরাচর হিন্দোল-দোলে বিশ্বরমা দোলে বিশ্বপতি-কোলে।। গগনে রবি-শশী গ্রহ-তারা দুলে, তড়িত-দোলনাতে মেঘ ঝুলন ঝুলে। বরিষা-শত-নরী দুলিছে মরি মরি, দুলে বাদল-পরী কেতকী-বেণী খোলে।। নদী-মেঘলা দোলে, দোলে নটিনী ধরা, দুলে আলোক নভ-চন্দ্রাতপ ভরা। করিয়া জড়াজড়ি দোলে দিবস-নিশা, দোলে বিরহ-বারি, দোলে মিলন-তৃষা। উমারে লয়ে বু’কে শিব দুলিছে সুখে, দোলে অপরূপ রূপ-লহর তোলে।।
দুধে আলতায় রঙ যেন তার
বাণী
দুধে আলতায় রঙ যেন তার সোনার অঙ্গ ছেয়ে (সে) ভিন্ গেরামের মেয়ে। চাঁদের কথা যায় ভুলে লোক তাহার মুখে চেয়ে, ভিন্ গেরামের মেয়ে। ও পারে ওই চরে যখন চুল খুলে সে দাঁড়ায়, কালো মেঘের ভিড় লেগে যায় আকাশের ওই পাড়ায়, পা ছুঁতে তার নদীর জলে (ও ভাই) জোয়ার আসে ধেয়ে।। চোখ তুলে সে মেঘের পানে ভুরু যখন হানে, অম্নি ওঠে রামধনু গো সেই চাহনির টানে। কপালের সে ঘাম মুছে গো আঁচল যখন খুলে, ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায়, দরিয়া ওঠে দুলে। আমি চোখের জলে খুঁজি তারেই (ও ভাই) দুখের তরী বেয়ে।।
দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে
বাণী
দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে কিশোরী-কিশোর চাহে দুঁহু দোঁহার মুখপানে চন্দ্র ও চকোর, যেন চন্দ্র ও চকোর প্রেম-আবেশে বিভোর।। মেঘ-মৃদঙ বাজে সেই ঝুলনের ছন্দে রিম ঝিম বারিধারা ঝরে আনন্দে হেরিতে যুগল শ্রীমুখ চন্দে গগনে ঘেরিয়া এলো ঘন-ঘটা ঘোর।। নব নীরদ দরশনে চাতকিনী প্রায় ব্রজ-গোপিনী শ্যামরূপে তৃষ্ণা মিটায় গাহে বন্দনা-গান দেব-দেবী অলকায় ঝরে বৃষ্টিতে সৃষ্টির প্রেমাশ্রু-লোর।।