বাণী

দীনের হতে দীন দুঃখী অধম যেথা থাকে
ভিখারিনী বেশে সেথা দেখেছি মোর মাকে
		মোর অন্নপূর্ণা মাকে॥
অহংকারের প্রদীপ নিয়ে স্বর্গে মাকে খুঁজি
মা ফেরেন ধূলি পথে যখন ঘটা করে পূজি
ঘুরে ঘুরে দূর আকাশে প্রণাম আমার ফিরে আসে
যথায় আতুর সন্তানে মা কোল বাড়ায়ে ডাকে॥
নামতে নারি তাদের কাছে সবার নীচে যারা
তাদের তরে আমার জগন্মাতা সর্বহারা।
অপমানের পাতাল তলে লুকিয়ে যারা আছে
তোর শ্রীচরণ রাজে সেথা নে মা তাদের কাছে
আনন্দময় তোর ভুবনে আনব কবে বিশ্বজনে
আমি দেখব জ্যোতির্ময়ী রূপে সেদিন তমসাকে
		আমার অন্নপূর্ণা মাকে॥

বাণী

	দারুণ পিপাসায়
	মায়া-মরীচিকায়
চাহিতে এলি জল বনের হরিণী।
	দগ্ধ মরুতল
	কে তোরে দেবে জল
ঝরিবে আঁখি-নীর তোরই নিশিদিনই।।
নিবায়ে গৃহ-দীপ আপন-নিশাসে
আলেয়ার পিছে এলি সুখ-আশে,
	সে-সুখ অবসান
	সুমুখেতে শ্মশান —
পিছনে অন্ধকার চির-নিশীথিনী।।
কেন তুই বনফুল বিলাস-কাননে
করিয়া পথ ভুল এলি অকারণে।
	ছিঁড়ে সাঁঝে তোরে
	মালা গাঁথি’ ভোরে
দ’লিল বিলাসী পথ-ধূলি সনে।
সন্ধ্যা-গোধূলির রাঙা রূপে ভুলে’
আসিলি এ কোথায় তমসার কূলে।
	শ্রাবণ-মেঘ হায়
	ভাবিয়া কুয়াশায়
হারালি পথ তোর রে হতভাগিনী।।

বাণী

দোলা লাগিল দখিনার বনে বনে
বাঁশরি বাজিল ছায়ানটে মনে মনে॥
	চিত্তে চপল নৃত্যে কে
	ছন্দে ছন্দে যায় ডেকে;
যৌবনের বিহঙ্গ ঐ ডেকে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে॥
বাজে বিজয়-ডঙ্কা তারই এলো তরুণ ফাল্গুনী,
জাগো ঘুমন্ত – দিকে দিকে ঐ গান শুনি’।
	টুটিল সব অন্ধকার –
	খোলো খোলো বন্ধ দ্বার;
বাহিরে কে যাবি আয় সে শুধায় জনে জনে॥