বাণী

পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায় লহ আমার শেষ আরতি।
ওগো আমার পরম-পতি, ওগো আমার পরম-পতি।।
		বহু সে-কাল বাহির-দ্বারে
		দাঁড়িয়ে আছি অন্ধকারে,
এবার দেহের দেউল ভেঙে দেখ্‌ব নিঠুর, তোমার জ্যোতি।।
আমি তোমায় চেয়েছিলাম, শুধু এই সে অপরাধে,
ধ্যান ভেঙেছ আমার, ফেলে নিত্য নূতন মায়ার ফাঁদে।
	আজ	মায়ার ঘরে আগুন জ্বেলে
		পালিয়ে গেলাম পাখা মেলে,
জীবন যাহার মিথ্যা স্বপন মরণে তার নাই ক ক্ষতি।।
কেটে দিলাম নিঠুর হাতে যে বাঁধনে বেঁধেছিলে,
রইল না আর আমার ব’লে কোনো স্মৃতি এ-নিখিলে।
		আবার যদি তোমার মায়ায়
		রূপ নিতে হয় নূতন কায়ায়,
তোমার প্রকাশ রুদ্ধ যেথায় সেথায় যেন না হয় গতি।।

বাণী

		আল্লা নামের শিরনি তোরা কে নিবি কে আয়।
মোরা 	শিরনি নিয়ে পথে হাঁকি (নিতে) কেহ নাহি চায়।।
			এই শিরনির গুণে ওরে শোন
			শিরিণ্ হবে তোর তিক্ত মন রে
		রাঙা হবে ভাঙা হৃদয় এই শিরনির মহিমায়।।
		ধররে প্রাণের তশ্‌তরি তোর আরশ পানে মেলে,
		খোদার খিদে মিটবে রে ভাই এই শিরনি খেলে।
			তোদের পেট পুরিলি ধূলামাটি খেয়ে
			করলি হেলা আল্লার নাম পেয়ে
তোরা 	কাবা পাবার দরজা পাবি আয় আল্লা নামের দরজায়।।

বাণী

তুমি আমার চোখের বালি, ওগো বনমালী।
আমার চোখে পড়ল কখন, তোমার রূপের কালি।।
(চোখ)	চাইলে ও-রূপ সইতে নারি
	নয়ন মুদেও রইতে নারি,
তোমার লীলা, প্রিয়জনে কাঁদাও খালি।।
কাঁদিয়ে আমায় করলে কানা, কানাই একি লীলা,
এবার ম’রে আর জনমে যেন হই কুটিলা।
	তোমার নয়ন-মণি রাইকে নিয়ে
	রাখব ঘরে দুয়ার দিয়ে
চোখে চোখে সেদিন যেন হয় মিতালি।।

বাণী

মাগো আমি তান্ত্রিক নই তন্ত্র মন্ত্র জানি না মা।
আমার মন্ত্র যোগ-সাধনা ডাকি শুধু শ্যামা শ্যামা।।
	যাই না আমি শ্মশান মশান
	দিই না পায়ে জীব বলিদান,
খুঁজতে তোকে খুজি না মা অমাবস্যা ঘোর ত্রিযামা।।
ঝিল্লী যেমন নিশীথ রাতে একটানা সুর গায় অবিরাম
তেমনি করে নিত্য আমি জপি শ্যামা তোমারি নাম।
	শিশু যেমন অনায়াসে
	জননীরে ভালোবাসে,
তেমনি সহজ সাধনা মোর তাতেই পাব তোর দেখা মা।।

বাণী

ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান আসিবে আজি বন্ধু মোর!
স্বপন মাখিয়া সোনার পাখায় আকাশে উধাও চিত-চকোর।।
		হিজল-বিছানো বন-পথ দিয়া
		রাঙায়ে চরণ আসিবে গো পিয়া।
নদীর পারে বন-কিনারে ইঙ্গিত হানে শ্যাম কিশোর।।
		চন্দ্রচূড় মেঘের গায়
		মরাল-মিথুন উড়িয়া যায়,
নেশা ধরে চোখে আলো-ছায়ায় বহিছে পবন গন্ধ-চোর।।

বাণী

শুক্লা জোছনা তিথি, ফুল্ল পুষ্পবীথি গন্ধ-বন-গীতি আকুল উপবন।
চিত্ত স্মপ্নাতুর, তঙ্গ চুর চুর মাগে হৃদি-পুর সুন্দর-পরশন।।
	চন্দন-গন্ধিত মন্দ দখিনা-বায়
	নন্দন-বাণী ফুলে ফুলে ক’য়ে যায়,
তনুমন জাগে রাঙা অনুরাগে, মনে লাগে আজ (আজি মাধবী) বাসর-জাগরণ।।

নাটকঃ ‘সাবিত্রী’