বাণী

সন্ধ্যা–গোধূলি লগনে কে
রাঙিয়া উঠিলে কারে দেখে।।
হাতের আলতা পড়ে গেল পায়ে
অস্ত–দিগন্ত বনান্ত রাঙায়ে,
আঁখিতে লজ্জা, অধরে হাসি —
কেন অঞ্চলে মালা ফেলিলে ঢেকে।।
চিরুনি বিনোদ বিনুনীতে বাঁধে
দেখিলে সে কোন সুন্দর চাঁদে,
হৃদয়ে ভীরু প্রদীপ শিখা
কাঁপে আনন্দে থেকে থেকে।।

বাণী

আনন্দ রে আনন্দ, আনন্দ আনন্দ,
দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা ছড়িয়ে এলো আনন্দ।
ঘরে ফেরার বাজল বাঁশি, বইছে বাতাস সুমন্দ॥
আমার মায়ের মুখে হাসি, শরত-আলোর কিরণরাশি,
কমল বনে উঠছে ভাসি, মায়ের গায়ের সুগন্ধ॥
উঠলো বেজে দিগ্বিদিকে ছুটির মাদল মৃদঙ্গ,
মনের আজি নাই ঠিকানা, যেন বনের কুরঙ্গ।
দেশান্তরী ছেলেমেয়ে, মায়ের কোলে এলো ধেয়ে,
শিশির নীরে এলো নেয়ে স্নিগ্ধ অকাল বসন্ত॥

বাণী

জাগো বিরাট ভৈরব যোগ সমাধি মগ্ন।
ভুবনে আনো নব দিনের শুভ প্রভাত লগ্ন।।
	অনন্ত শয্যা ছাড়ি’ অলখ লোকে
	এসো জ্যোতির পথে,
দেব-লোকের তিমির-কারা-প্রাচীর কর ভগ্ন।।
ভয়হীন, দ্বিধাহীন উদার আনন্দে,
তোমার আবির্ভাব হোক প্রবল ছন্দে।
হোক মানব স্বপ্রাকশ আপন স্বরূপে
বিরাট রূপে, সফল কর আমার সোহং স্বপ্ন।।

সঙ্গীতালেখ্য : ‘ষট ভৈরব’

বাণী

আল্লার নাম মুখে যাহার বুকে আল্লার নাম।
এই দুনিয়াতেই পেয়েছে সে বেহেশ্‌তের আরাম।।
সে সংসারকে ভয় করে না নাই মৃত্যুর ডর
দুনিয়াকে শোনায় শুধু আনন্দেরি খবর
দিবানিশি পান করে সে কওসরেরি জাম —
		পান করে কওসরেরি জাম।।

ইসলামী নক্সা : ‘আল্লার রহম’

বাণী

		কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ।
ওরে		আমায় নিয়ে যাও রে নদী সেই সে কন্যার দেশ রে।।
		পরনে তার মেঘ-ডম্বুর উদয়-তারার শাড়ি
ওরে		রূপ নিয়ে তার চাঁদ-সুরুজে করে কাড়াকাড়ি রে
আমি		তারি লাগি রে
		আমি তারি লাগি বিবাগী ভাই আমার চির-পথিক বেশ।।
		পিছ্‌লে পড়ে চাঁদের কিরণ নিটোল তারি গায়ে
ওরে		সন্ধ্যা-সকাল আসে তারি’ আল্‌তা হতে পায়ে রে।
ও সে		রয় না ঘরে রে
ও সে		রয় না ঘরে ঘুরে’ বেড়ায় ময়নামতীর চরে
তা’রে		দেখ্‌লে মরা বেঁচে ওঠে জ্যান্ত মানুষ মরে রে
ও সে		জল-তরঙ্গে বাজে রে তার সোনার চুড়ির রেশ।।

বাণী

	পিও পিও হে প্রিয় শরাব পিও
	চোখে রঙের নেশা লেগে সব অবসাদ হোক রমনীয়।।
	জীবনের নহবতে বাজুক সানাই
	আঁধার এ দুনিয়ায় জ্বলুক রোশনাই
আজি	আবছা আলোয় যারে লাগবে ভালো
	তারি গলায় চাঁদের মালা পরায়ে দিও।।
আজি	লেগে অনুরাগে রঙ শিরাজির
	প্রাণে প্রাণে লহর বহুক রস-নদীর
সেই	মধুর ক্ষনে বঁধু নিরজনে
	ভালোবাসি' দুটি কথা মোরে বলিও।।