বাণী

গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে
তোমার বনে ফুল ফুটেছে যায় ক'য়ে তাই ডেকে।।
	তোমার ভ্রমর দূতের কাছে
	যে বারতা লুকিয়ে আছে —
দখিন হাওয়ায় তারি আভাস শুনি থেকে থেকে।।
দল মেলেছে তোমার মনের মুকুল এতদিনে —
সেই কথাটি পাখিরা গায় বিজন বিপিনে।
	তোমার ঘাটের ঢেউগুলি হায়
	আমার ঘাটে দোল দিয়ে যায় —
লতায় পাতায় জোছনা দিয়ে সেই কথা চাঁদ লেখে।।

বাণী

আয় ঘুম আয় ঘুম আয় মোর গোপাল ঘুমায়
বহু রাত্রি হল আর জাগাসনে মায়।।
কোলে লয়ে তোরে ধীরে ধীরে দোলাবো
ঘুম-পাড়ানিয়া গান তোরে শোনাবো
গায়ে হাত বুলাবো পাঙ্খা ঢুলাবো
মন ভুলাবো কত রূপকথায়।।
তোরে	কে বলে চঞ্চল একচোখো সে
মোর	শান্ত গোপাল থাকে গোষ্ঠে ব’সে
তোরে	কে বলে ঝড় তোলে থির যমুনায়
সে যেদিন রাত ঘোরে তার মা’র পায় পায়।।

বাণী

আর কত দুখ্ দেবে, বল মাধব বল বল মাধব বল।
দুখ্ দিয়ে যদি সুখ পাও তুমি কেন আঁখি ছলছল॥
	তব শ্রীচরণ তলে আমি চাহি ঠাঁই,
	তুমি কেন ঠেল বাহিরে সদাই;
আমি কি এতই ভার এ জগতে যে, পাষাণ তুমিও টল॥
ক্ষুদ্র মানুষ অপরাধ ভোলে তুমি নাকি ভগবান,
তোমার চেয়ে কি পাপ বেশি হ’ল (মোরে) দিলে না চরণে স্থান।
	হে নারায়ণ! আমি নারায়ণী সেনা,
	মোরে কুরুকুল দিতে ব্যথা কি বাজে না,
(যদি) চার হাতে মেরে সাধ নাহি মেটে দু’চরণ দিয়ে দ’ল॥

বাণী

খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
	শূন্যে মহা আকাশে
	মগ্ন লীলা বিলাসে,
ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে।।
তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
	নিত্য তুমি, হে উদার
	সুখে দুখে অবিকার,
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে।।

বাণী

গগনে সঘন চমকিছে দামিনী
মেঘ-ঘন-রস রিমঝিম বরষে।
একেলা ভবনে বসি’ বাতায়নে
পথ চাহে বিরহিণী কামিনী।।
পূবালি পবন বহে দাদুরি ডাকে,
অভিসারে চলে খুঁজে’ কাহাকে।
বৈরাগিনী সাজে উন্মনা যামিনী।।

বাণী

কুল রাখ না–রাখ সে তুমি জান।
গোকুলে তোমার কাজ কুল ভোলানো।।
মহতের পিরিতি বালির বাঁধ সম।
কভু হাতে দাও দড়ি কভু চাঁদ আন।।
কভু তুমি রাধার, চন্দ্রাবলীর কভু
তুমি যখন যা’র তখন তা’র দিকে টান।
রাজার অপরাধের নালিশ কোথায় করি।
তুমি জান শুধু বাঁশিতে মন–ভেজানো।।