আমি কৃষ্ণচূড়া হতাম যদি হতাম ময়ূর-পাখা, (সখা হে)! তোমার বাঁকা চূড়ায় শোভা পেতাম ওগো শ্যামল বাঁকা।। আমি হলে গোপীচন্দন, শ্যাম, অলকা-তিলকা হতাম; শ্যাম, ও-চাঁদমুখে অলকা-তিলকা হতাম। শ্রীঅঙ্গের পরশ পেতাম হ’লে কদম-শাখা।। আমি বৃন্দাবনে বন-কুসুম হতাম যদি কালা, কণ্ঠ ধ’রে ঝ’রে যেতাম হয়ে বনমালা। আমি নূপুর যদি হতাম হরি কাঁদতাম শ্রীচরণ ধরি’ ব্রজবুলি হলে রেইত বুকে চরণ-চিহ্ন আঁকা।।
রাগঃ গৌড়-সারঙ মিশ্র
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা
নাচে শ্যাম সুন্দর গোপাল নটবর সুঠাম মনোহর মধুর ভঙ্গে ঘিরি' সে চরণ ঘুরিছে অগণন গ্রহ-তারা গোপী সম রঙ্গে।। হেরিয়া তাহারি নৃত্যের হিল্লোল পবন উন্মন সাগরে জাগে দোল সে নাচে বিবশ নিশীথ দিবস জাগে হিন্দোল আলো-আঁধার তরঙ্গে।। সে নাচে বৃষ্টি হয় কোটি সৃষ্টি নির্ঝর সম ঝরে ছন্দ সে নাচ হেরিয়া বন্ধন টুটে গো জাগে অনন্ত আনন্দ। ষড় ঋতু ঘুরে' ঘুরে' হেরে সেই নৃত্য প্রেমাবেশে মাতোয়ারা নিখিলের চিত্ত তাই এ ত্রিভুবন হলো না রে পুরাতন পেল চির-যৌবন নাচি' তারি' সঙ্গে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
(মা) আয় মা উমা! রাখ্ব এবার ছেলের সাজে সাজিয়ে তোরে। (ওমা) মা’র কাছে তুই রইবি নিতুই, যাবি না আর শ্বশুর ঘরে।। মা হওয়ার মা কী যে জ্বালা বুঝবি না তুই গিরি-বালা তোরে না দেখলে শূন্য এ বুক কী যে হাহাকার করে।। তোরে টানে মা শঙ্কর-শিব আসবে নেমে জীব-জগতে, আনন্দেরই হাট বসাব নিরানন্দ ভূ-ভারতে। না দেখে যে মা, তোর লীলা হ’য়ে আছি পাষাণ-শীলা আয় কৈলাসে তুই ফির্বি নেচে বৃন্দাবনের নূপুর প’রে।।
রাগঃ
তালঃ একতাল
মা-মা-মা-মা-মা-মাগো এবারের পূজা মাগো দশভূজা বড় দুর্গতিময়। পড়েছিস এ.বি.সি.ডি? বুঝিস ব্ল্যাক আউট কারে কয়? ব্ল্যাক আউট মানে যত কালো ছিল বাহির হয়েছে মাগো যত আলো ছিল যত ভালো ছিল, সকলেরে বলে ভাগো। ডাইনে বাঁ ধারে ভীষণ আঁধারে হাঁটু কাঁপে আর হাঁটি আমড়ার মত হয়ে আছি মাগো চামড়া এবং আঁটি। নন্দী ভৃঙ্গী সিঙ্গি যাইলে তাহারাও ভয় পাবে তাদের দিব্য দৃষ্টি লয়েও মাগো আঁধারে হোঁচট খাবে। বলি বিগ্রহ তোর কে দেখিতে যাবে মা কুগ্রহের ফেরে বিড়ি খেয়ে ফেরে গুন্ডারা যদি দেয় মাগো ভুঁড়ি ফেড়ে। মা তুই বর দেওয়ার আগেই বর্বরেরা এসে ঠেসে ধরে নিয়ে যাবে চিত্রগুপ্তের দেশে। চোঁয়া ঢেকুর ওঠে মা মেকুর ডাকিলে কেঁদে উঠি ওঙা ওঙা; ঢেঁকির আওয়াজ শুনলে মাগো ভয়ে খাড়া হয়ে ওঠে রোঁয়া। সত্য পথে মা চলিতে পারি না পথে কাদা রাখে ফেলে উচিত কথা মাগো বলিতে পারি না চিৎ করে দেয় ফেলে। এ চিতে শক্তি দে মা চিৎ করবো ভয়কে বলবো এবার তোরে খাব দে মা মাগো মা।।
নাট্য-গ্রন্থঃ ‘ব্লাক আউট’
ব্ল্যাক আউট নাট্যগ্রন্থের এই পাঠকে, আদি রেকর্ডের (এন. ২৭২০৬) পাঠের তুলনায়, স্বতন্ত্র গান হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
[অগ্রন্থিত নজরুল, সংকলন ও সম্পাদনাঃ ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, ডি.এম. লাইব্রেরি, কলকাতা, ২০০৩]
রাগঃ
তালঃ ফের্তা
আজি মনে মনে লাগে হোরি আজি বনে বনে জাগে হোরি।। ঝাঁঝর করতাল খরতালে বাজে বাজে কঙ্কন চুড়ি মৃদুল আওয়াজে লচকিয়া আসে মুচকিয়া হাসে প্রেম-উল্লাসে শ্যামল গোরী।। কদম্ব তমাল রঙে লালে লাল লাল হলো কৃষ্ঞ ভ্রমর ভ্রমরী রঙের উজান চলে কালো যমুনা-জলে আবির রাঙা হলো ময়ূর-ময়ূরী।। মোর হৃদি-বৃন্দাবন যেন রাঙে রাধা শ্যাম-যুগল চরণ-রাগে ও চরণ-ধূলি যেন ফাগ হ’য়ে নিশিদিন অন্তরে পড়ে মোর ঝরি’।।
রাগঃ পিলু-খাম্বাজ
তালঃ আদ্ধা
শিল্পীঃ ইলা বসু
ঐ ঘর ভোলানো সুরে কে গান গেয়ে যায় দূরে। তার সুরের সাথে সাথে মোর মন যেতে চায় উড়ে।। তা'র সহজ গলার তানে১ সে ফুল ফোটাতে জানে, তা'র সুরে ভাটির-টানে নব জোয়ার আসে ঘুরে।। তা'র সুরের অনুরাগে বুকে প্রণয়-বেদন জাগে; বনে ফুলের আগুন লাগে, ফুল সুধায় ওঠে পুরে।। বুঝি সুর-সোহাগে ওরি, পায় যৌবন কিশোরী, হিয়া বুঁদ হয়ে গো নেশায় তার পায়ে পায়ে ঘুরে।।
১. গানে
রাগঃ পিলু–ভৈরবী
তালঃ কাহার্বা
শিল্পীঃ সাবিহা মাহ্বুব
Nazrulgeeti.org is the largest portal in the world about Nazrulgeeti. Anything and everything about Nazrulgeeti will be found in this portal. All lyrics, used raag and taal, audio/video, swaralipi and unknown stories behind the song, everything will be available here. The collection is growing every day. Be with us and help spread Nazrulgeeti worldwide.
Developed, Owned and Maintained by Mamunur Rahman Khan
