মর্সিয়া

  • এলো শোকের সেই মোহর্‌রম কারবালার

    বাণী

    এলো শোকের সেই মোহর্‌রম কারবালার স্মৃতি ল’য়ে।
    কাঁদিছে বিশ্বের মুসলিম সেই ব্যথায় বেতাব হয়ে।।
    মনে পড়ে আসগরে আজি পিয়াসা দুধের বাচ্চায়
    পানি চাহিয়া পেল শাহাদৎ হোসেনের বুকে র’য়ে।।
    একহাতে বিবাহের কাঙন একহাতে কাশেমের লাশ,
    বেহোঁশ্ খিমাতে সকিনা অসহ বেদনা স’য়ে।।
    পাশে শহীদ কাঁদে বীর জব্বার পানির মশক মুখে
    হল শহীদ কাঁদে জয়নব কুলসুম আকুল হয়ে।।
    শূন্য পিঠে কাঁদে দুলদুল্ হজরত হোসেন শহীদ্,
    ঝরিতেছে শোকের বারিষ্ আসমান জমিন ছেয়ে।।
    
  • ওগো মা — ফাতেমা ছুটে আয়

    বাণী

    ওগো মা — ফাতেমা ছুটে আয়, তোর দুলালের বুকে হানে ছুরি।
    দ্বীনের শেষ বাতি নিভিয়া যায় মাগো, বুঝি আঁধার হ’ল মদিনা-পুরী।।
    	কোথায় শেরে খোদা, জুলফিকার কোথা,
    	কবর ফেঁড়ে এসো কারবালা যথা —
    তোমার আওলাদ বিরান হ’ল আজি, নিখিল শোকে মরে ঝুরি’।।
    কোথায় আখেরী নবী, চুমা খেতে তুমি, যে গলে হোসেনের
    সহিছ কেমনে? সে গলে দুশমন হানিছে শমসের।
    	রোজ্‌হাশরে নাকি কওসরের পানি
    	পিয়াবে তোমরা গো গোনাহ্‌গারে আনি,
    দেখ না কি চেয়ে, দুধের ছেলেমেয়ে পানি বিহনে মরে পুড়ি।।
    
  • ফোরাতের পানিতে নেমে

    বাণী

    ফোরাতের পানিতে নেমে 
    ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর নয়নে রে।।
    দু'হাতে তুলিয়া পানি 
    ফেলিয়া দিলেন অমনি — পড়িল কি মনে রে।।
    দুধের ছাওয়াল আসগর এই পানি চাহিয়ে রে,
    দুশ্‌মনের তীর খেয়ে বুকে ঘুমাল খুন পিয়ে রে;
    শাদীর নওশা কাশেম শহীদ এই পানি বিহনে রে।।
    এই পানিতে মুছিল রে হাতের মেহেদী সকিনার,
    এই পানিরই ঢেউয়ে ওঠে, তারি মাতম্‌ হাহাকার;
    শহীদানের খুন মিশে আছে, এই পানিরই সনে রে।।
    বীর আব্বাসের বাজু শহীদ হ'ল এরি তরে রে,
    এই পানির বিহনে জয়নাল খিয়াম তৃষ্ণায় মরে রে;
    শোকে শহীদ হ'লেন হোসেন জয়ী হয়েও রণে রে।।