মিশ্র বারোয়াঁ

  • ও কে কলসি ভাসায়ে জলে

    বাণী

    ও কে কলসি ভাসায়ে জলে আনমনে।
    তীরে ব’সে কী ভাবে আর ঢেউ গণে।।
    নিয়ে শিথিল আঁচল খেলে উতল সমীর
    তার আল্‌তা পায়ের মুছে নেয় নদী-নীর,
    খুলে কবরী জড়ায় হাতের কাঁকনে।।
    সে জল্‌কে আসার ছলে নদী-তীরে
    শুধু ওপার পানে চাহে ফিরে ফিরে,
    খুলে পায়ের নূপুর ফেলে দেয় সে নীরে —
    আসে ঘরে ফিরে নিয়ে জল নয়নে।।
    
  • পথ চলিতে যদি চকিতে

    বাণী

    পথ চলিতে যদি চকিতে কভু দেখা হয়, পরান-প্রিয়!
    চাহিতে যেমন আগের দিনে তেমনি মদির চোখে চাহিও।।
    		যদি গো সেদিন চোখে আসে জল,
    		লুকাতে সে জল করিও না ছল,
    যে-প্রিয় নামে ডাকিতে মোরে সে-নাম ধরে বারেক ডাকিও।।
    		তোমার বঁধু পাশে (হায়) যদি রয়,
    		মোরও প্রিয় সে, করিও না ভয়,
    কহিব তা’রে, ‘আমার প্রিয়ারে আমারো অধিক ভালোবাসিও’।।‌
    		বিরহ-বিধুর মোরে হেরিয়া,
    		ব্যথা যদি পাও যাব সরিয়া,
    রব না হ’য়ে পথের কাঁটা, মাগিব এ বর মোরে ভুলিও।।
    

  • সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়

    বাণী

    সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায় তুমি ফিরিলে না ঘরে,
    আঁধার ভবন জ্বলেনি প্রদীপ মন যে কেমন করে।।
    	উঠানে শূন্য কলসির কাছে
    	সারাদিন ধরে ঝ’রে প’ড়ে আছে
    তোমার দোপাটি গাঁদা ফুলগুলি যেন অভিমান ভরে।।
    বাসন্তী রাঙা শাড়িখানি তব ধূলায় লুটায় কেঁদে,
    তোমার কেশের কাঁটাগুলি বুকে স্মৃতির সমান বেঁধে।
    	যাইনি বাহিরে আজ সারাদিন
    	ঝরিছে বাদল শ্রান্তিবিহীন
    পিয়া পিয়া ব’লে ডাকিছে পাপিয়া এ বুকের পিঞ্জরে।।