‘কালী কালী’ মন্ত্র জপি
বাণী
‘কালী কালী’ মন্ত্র জপি ব’সে শোকের ঘোর শ্মশানে। মা অভয়ার নাম গুণে শান্তি যদি পাই এ প্রাণে।। এই শ্মশানে ঘুমিয়ে আছে যে ছিল মোর বুকের কাছে, সে হয়ত আবার উঠবে জেগে মা ভবানীর নাম-গানে।। সকল সুখ শান্তি আমার নিল হ’রে যে-পাষাণী, শূন্য বুকে বন্দী ক’রে রাখব আমি তারেই আনি’। মোর, যাহা প্রিয় মাকে দিয়ে জাগি আশার দীপ১ জ্বালিয়ে, মা’র সেই চরণের নিলাম শরণ, যে-চরণে মা আঘাত হানে।।২
১. বুকে চিতা, ২. যে চরণে প্রলয় আনে
ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ
বাণী
ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ আয় রে। জাফ্রানি রঙের পরাব পিরান তোর গায় রে।। আস্মানে যেতে চায় তারা হয়ে আমার নয়ন-তারা (তোর) খেলার সাথি কাঁদে শাপ্লার ফুল, ফিরে আয় পথ-হারা, দু’নয়ন ঘুমে ঢুলে, হৃদয় ঘুমায় না, কাছে পেতে চায় রে।। চোখের কাজল তোর চাঁদ-মুখে লেগেছে, (আয়) মুছাব আঁচলে দেখ্ মায়ের তোর স্নেহের সাগর আছে উথলে, (মোর) মনের ময়না! ঘরে মন রয় না, পথ চেয়ে’ রাত কেটে যায় রে।।
চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’
নৃত্যময়ী নৃত্যকালী নিত্য নাচে
বাণী
নৃত্যময়ী নৃত্যকালী নিত্য নাচে হেলে দুলে। তার রূপের ছটায়, নাচের ঘটায় শম্ভু লুটায় চরণ-মূলে।। সেই নাচেরি ছন্দ-ধারা, চন্দ্র, রবি, গ্রহ, তারা, সেই, নাচনের ঢেউ খেলে যায় সিন্ধু জলে পত্রে ফুলে।। সে মুখ ফিরায়ে নাচে যখন ধরায় দিবা হয় রে তখন, এ বিশ্ব হয় তিমির-মগন মুক্তকেশীর এলোচুলে।। শক্তি যথায়, যথায় গতি; মা সেথাই নাচে মূর্তিমতী কবে দেখব সে নাচ অগ্নি-শিখায় আমার শবে চিতার কূলে।।