একতাল

  • জবা কুসুম-সঙ্কাশ ঐ

    বাণী

    জবা কুসুম-সঙ্কাশ ঐ উদার অরুণোদয়।
    অপগত তমোভয় জয় হে জ্যোতির্ময়।।
    জননীর সম স্নেহ-সজল, নীল গাঢ় গগন-তল
    সুপেয় বারি প্রসুন ফল —
    তব দান অক্ষয়, অপহৃত সংশয়
    		জয় হে জ্যোতির্ময়।।
    
  • জয় বাণী বিদ্যাদায়িণী

    বাণী

    জয় বাণী বিদ্যাদায়িণী
    জয় বিশ্বলোক-বিহারিণী।।
    	সৃজন-আদিম তমঃ অপসারি'
    	সহস্রদল কিরণ বিথারি'
    আসিলে মা তুমি গগন বিদারি' মানস-মরাল-বাহিনী।।
    	ভারতে ভারতী মূক তুমি আজি
    	বীণাতে উঠিছে ক্রন্দন বাজি'
    ছিন্ন চরণ-শতদলরাজি কহিছে বিষাদ-কাহিনী।।
    	ঊর মা আবার কমলাসীনা, (মাগো)
    	করে ধর পুনঃ সে রুদ্রবীণা
    নব সুর তানে বানী দীনাহীনা জাগাও অমৃতভাষিণী
    			মা জাগাও অমৃতভাষিণী।।
    
  • জাগো হে রুদ্র জাগো রুদ্রাণী

    বাণী

    জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী,
    কাঁদে ধরা দুখ-জরজর!
    জাগো গৌরী, জাগো হর।।
    আজি শস্য-শ্যামা তোদের বন্যা
    অন্নবস্ত্র হীনা অরণ্যা
    সপ্ত সাগর অশ্রু-বন্যা,
    কাঁপিছে বুক থর থর।।
    আর সহিতে পারি না অত্যাচার,
    লহ এ অসহ ধরার ভার।
    গ্রাসিল বিশ্ব লোভ-দানব,
    হা হা স্বরে কাঁদিছে মানব,
    জাগো ভৈরবী জাগো ভৈরব
    ত্রিশূল খড়গ ধর ধর।।
    
  • ঝরে ঝরঝর কোন্ গভীর গোপন ধারা

    বাণী

    ঝরে ঝরঝর কোন্ গভীর গোপন ধারা এ শাঙনে।
    আজি রহিয়া রহিয়া গুমরায় হিয়া একা এ আঙনে
    ঘনিমা ঘনায় ঝাউ-বীথিকায় বেণু-বন-ছায় রে —
    ডাহুকীরে খুঁজি’ ডাহুক কাঁদে আঁধার-গহনে।।
    কেয়া-বনে দেয়া তুণীর বাঁধিয়া,
    গগনে গগনে ফেরে গো কাঁদিয়া।
    বেতস-বিতানে নীপ-তরুতলে
    শিখী নাচ ভোলে পুছ-পাখা টলে,
    মালতী-লতায় এলাইয়া বেণী কাঁদে বিষাদিনী রে —
    কাজল-আঁখি কে নয়ন মোছে তমাল-কাননে।।
    

    নাটক : ‘ঝিলিমিলি’

  • তুমি সুন্দর হতে সুন্দর মম

    বাণী

    তুমি সুন্দর হতে সুন্দর মম মুগ্ধ মানস-মাঝে।।
    ধ্যানে, জ্ঞানে, মম হিয়ার মাঝারে তোমারি মূরতি রাজে।।
    	তোমারি বিহনে হৃদয় আঁধার
    	তোমারি বিরহে বহে আঁখি-ধার,
    আকাশে বাতাসে নিখিল ভুবনে বেদনার বাঁশি বাজে — 
    পাব কি গো দেখা বারেকের তরে আমার জীবন-সাঁঝে।।
    
  • তোমাদের দান তোমাদের বাণী

    বাণী

    তোমাদের দান, তোমাদের বাণী পূর্ণ করিল অন্তর।
    তোমাদের রস-ধারায় সিনানি’ হ’ল তনু শুচি-সুন্দর।।
    	শান্ত উদার আকাশের ভাষা
    	মলিন মর্তে অমৃত পিপাসা,
    দিলে আনি’, দিলে অভিনব আশা — গগন-পবন-সঞ্চর।।
    	বুলায়ে মায়ার অঞ্জন চোখে
    	ল’য়ে গেলে দূর কল্পনা-লোকে,
    রাঙাল কানন পলাশে অশোকে — তোমাদের-মায়া-মন্তর।।
    	ফিরদৌসের পথ-ভোলা পাখি
    	আনন্দ-লোকে গেলে সবে ডাকি’,
    ধূলি-ম্লান মন গেলে রঙে মাখি’ — ছানিয়া সুনীল অম্বর।।
    
  • তোমার প্রেমে সন্দেহ মোর

    বাণী

    তোমার প্রেমে সন্দেহ মোর দুর কর নাথ ভক্তি দাও।
    যেখানে হোক তুমি আছ — এই বিশ্বাস শক্তি দাও।।
    	যে কোন জনমে আমি
    	পাইব পাব তোমায় আমি
    অবিশ্বাসের আঁধার রাতে তোমায় পাওয়ার পথ দেখাও।।
    শত দুঃখ ব্যথার মাঝে এইটুকু দাও শন্তি নাথ।
    কাঁদিবে তুমি আমার দুঃখে আজকে যতই দাও আঘাত।।
    	হয়ত কোটি জনম পরে
    	পাব তোমায় আমার করে,
    তোমায় আমায় মিলন হবে এই আশাতেই মন দোলাও।।
    
  • তোর বিদায়-বেলার বন্ধুরে

    বাণী

    তোর বিদায়-বেলার বন্ধুরে দেখে নে নয়ন পুরে’।
    সে যায় মিশে’ ঐ কোন্ দূরে দিন শেষের’ — শেষ সুরে।।
    	ঘুমের মাঝে বন্ধু তোর
    	ছিঁড়বে বাহুর বাঁধন-ডোর,
    যাবে নয়ন, রবে নয়ন-লো — যায় রে বিহগ যায় উড়ে।।
    	(তুই) বহাবি নদী কেঁদে
    	পাষাণে হৃদয় বেঁধে,
    তবু যেতে হবে তায় অসহায় অচিন্ পুরে।।
    

    নাটক : ‘সাবিত্রী’

  • দারুণ পিপাসায় মায়া-মরীচিকায়

    বাণী

    	দারুণ পিপাসায়
    	মায়া-মরীচিকায়
    চাহিতে এলি জল বনের হরিণী।
    	দগ্ধ মরুতল
    	কে তোরে দেবে জল
    ঝরিবে আঁখি-নীর তোরই নিশিদিনই।।
    নিবায়ে গৃহ-দীপ আপন-নিশাসে
    আলেয়ার পিছে এলি সুখ-আশে,
    	সে-সুখ অবসান
    	সুমুখেতে শ্মশান —
    পিছনে অন্ধকার চির-নিশীথিনী।।
    কেন তুই বনফুল বিলাস-কাননে
    করিয়া পথ ভুল এলি অকারণে।
    	ছিঁড়ে সাঁঝে তোরে
    	মালা গাঁথি’ ভোরে
    দ’লিল বিলাসী পথ-ধূলি সনে।
    সন্ধ্যা-গোধূলির রাঙা রূপে ভুলে’
    আসিলি এ কোথায় তমসার কূলে।
    	শ্রাবণ-মেঘ হায়
    	ভাবিয়া কুয়াশায়
    হারালি পথ তোর রে হতভাগিনী।।
    
  • দুঃখ সাগর মন্থন শেষ ভারতলক্ষ্মী আয় মা আয়

    বাণী

    দুঃখ সাগর মন্থন শেষ ভারতলক্ষ্মী আয় মা আয়
    কবে সে ডুবিলি অতল পাথারে উঠিলি না আর হায় মা হায়॥
    	মন্থনে শুধু উঠে হলাহল
    	শিব নাই পান কে করে গরল
    অমৃত ভান্ড লয়ে আয় মাগো জ্বলিয়া মরি বিষের জ্বালায়॥
    হরিৎ ক্ষেত্রে সোনার শস্যে দুলে না আর তোর আঁচল
    শুকায়েছে মাগো মায়ের স্তন্য গাভীর দুগ্ধ নদীর জল।
    	চাই না মোক্ষ চাই মা বাঁচিতে
    	অক্ষয় আয়ু লয়ে ধরণীতে
    চাই প্রাণ চাই ক্ষুধায় অন্ন মুক্ত আলোকে মুক্ত বায়॥
    
  • দুর্গম গিরি কান্তার মরু

    বাণী

    দুর্গম গিরি, কান্তার–মরু, দুস্তর পারাবার হে!
    লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার।।
    দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ —
    ছিঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল, কার আছে হিম্মত।
    কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত,
    এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।।
    তিমির রাত্রি, মাতৃ–মন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
    যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
    ফেনাইয়া ওঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
    ইহাদেরে পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।।
    অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরণ,
    কান্ডারী, আজি দেখিব তোমার মাতৃ–মুক্তি–পণ।
    ’হিন্দু না ওরা মুসলিম’– ওই জিজ্ঞাসে কোন্‌ জন,
    কান্ডারী, বল, ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা’র।।
    গিরি–সংকট, ভীরু যাত্রীরা, গরজায় গুরু বাজ —
    পশ্চাৎ পথ যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ।
    কান্ডারী, তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ মাঝ?
    করে হানাহানি, তবু চল টানি’– নিয়েছ যে মহাভার।।
    ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান —
    আসি’ অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান!
    আজি পরীক্ষা জাতির অথবা জাতেরে করিবে ত্রাণ,
    দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুঁশিয়ার।।
    

  • নাহি ভয় নাহি ভয়

    বাণী

    নাহি ভয় নাহি ভয়।
    মৃত্যু সাগর মন্থন শেষ আসে মৃত্যুঞ্জয়।।
    কৃষ্ণাতিথির তিমির হরণ
    আসিল কৃষ্ণ তিমির বরণ,
    দিকে দিকে ঐ গাহে জনগণ —
    জয় হে জ্যোতির্ময়।।
    দলিত হৃদয়-শতদলে তাঁর
    আঁখি-জল-ঘেরা আসন বিথার,
    ব্যথা-বিহারীরে দেখিবি কে আয়।
    ধ্বংসের মাঝে বংশী বাজায়,
    নিখিলের হৃদি বেদনা-আভায় —
    নবীন অভ্যুদয়।।
    
  • নিত্য শুদ্ধ কল্যাণ রূপে আছ তুমি

    বাণী

    নিত্য শুদ্ধ কল্যাণ রূপে আছ তুমি মোর সাথে।
    সান্দ্র নিবিড় সন্ধ্যায় যেই পথ ভুলি’, ধর হাতে।।
    	প্রদোষে স্বরগ-পাশে
    	তোমার করুণা ভাসে,
    স্নিগ্ধ শান্ত চাঁদ হ’য়ে, প্রভু, আঁধারে পথ দেখাতে।।
    মান তাজিয়া যে যায় প্রভু তোমার চরণ-তলে,
    পূর্ণ-রূপে নেমে আস তার হৃদয়-পদ্ম-দলে।
    	অবতার হও ভুপালিতে প্রভু
    	প্রেম-যমুনার পারে রহ কভু,
    দগ্ধ-পরানে বিরাজ হে স্বামী, দুঃখ-জ্বালা জুড়াতে।।
    
  • পরজনমে দেখা হবে প্রিয়

    বাণী

    পরজনমে দেখা হবে প্রিয়।
    ভুলিও মোরে হেথা ভুলিও।।
    এ জনমে যাহা বলা হ’ল না,
    আমি বলিব না, তুমিও ব’লো না।
    জানাইলে প্রেম করিও ছলনা,
    যদি আসি ফিরে, বেদনা দিও।।
    হেথায় নিমেষে স্বপন ফুরায়,
    রাতের কুসুম প্রাতে ঝ’রে যায়,
    ভালো না বাসিতে হৃদয় শুকায়,
    বিষ-জ্বালা-ভরা হেথা অমিয়।।
    হেথা হিয়া ওঠে বিরহে আকুলি’
    মিলনে হারাই দু’দিনেতে ভুলি’,
    হৃদয়ে যথায় প্রেম না শুকায়
    সেই অমরায় মোরে স্মরিও।।
    
  • পলাশ ফুলের মউ পিয়ে ঐ

    বাণী

    পলাশ ফুলের মউ পিয়ে ঐ বউ-কথা-কও উঠ্ল ডেকে।
    শিশ্ দিয়ে যায় উদাস হাওয়া নেবু-ফুলের আতর মেখে।।
    	এমন পূর্ণ চাঁদের রাতি
    	নেই গো আমার জাগার সাথী,
    ফুল-হারা মোর কুঞ্জ-বীথি — কাঁটার স্মৃতি গেছে রেখে।।
    	শূন্য মনে এক্‌লা গুণি
    	কান্না-হাসির পান্না-চুণী,
    বিদায়-বেলার বাঁশি শুনি — আস্‌ছে ভেসে ওপার থেকে।।
    

    ১. শঙ্করা মিশ্র — দাদ্‌রা, ২. সাথে।

  • বিদায় সন্ধ্যা আসিল ওই

    বাণী

    বিদায়–সন্ধ্যা আসিল ওই ঘনায় নয়নে অন্ধকার।
    হে প্রিয়, আমার, যাত্রা–পথ অশ্রু–পিছল ক’রোনা আর।।
    		এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল
    		তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল
    তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার।।
    		হেথা কেহ কারো বোঝে না মন
    		যারে চাই হেলা হানে সে’ জন
    যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাই হৃদি ভালোবাসার।
    		তুমি বুঝিবেনা কি অভিমান
    		মিলনের মালা করিল ম্লান
    উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার।।
    
  • বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার

    বাণী

    বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার।
    হে প্রিয়, আমার, যাত্রা-পথ অশ্রু-পিছল ক’রো না আর॥
    	এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল
    	তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল
    তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার॥
    	হেথা কেহ কারো বোঝে না মন
    	যারে চাই হেলা হানে সে’ জন
    যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাহি হৃদি ভালোবাসার।
    	তুমি বুঝিবে না কি অভিমান
    	মিলনের মালা করিল ম্লান
    উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার॥
    
  • বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে

    বাণী

    বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে শান্তি ত’ নাহি পাই।
    রূপ ধরে এসো, দাঁড়াও সুমুখে, দেখিয়া আঁখি জুড়াই॥
    	আমার মাঝারে যদি তুমি রহ
    	কেন তবে এই অসীম বিরহ
    কেন বুকে বাজে নিবিড় বেদনা মনে হয় তুমি নাই॥
    চাঁদের আলোকে ভরে না গো মন, দেখিতে চাই যে চাঁদ,
    ফুলর গন্ধ পাইলে, জাগে যে ফুল দেখিবার সাধ।
    	(ওগো) সুন্দর, যদি নাহি দেবে ধরা
    	কেন প্রেম দিলে বেদনায় ভরা
    রূপের লাগিয়া কেন প্রাণ কাঁদে রূপ যদি তব নাই॥
    
  • বুনো ফুলের করুণ সুবাস

    বাণী

    বুনো ফুলের করুণ সুবাস ঝুরে।
    নাম-না-জানা গানের পাখি, তোমার গানের সুরে।।
    	জানাতে হায় এলে কোথা
    	বনের ছায়ার মনের ব্যথা,
    তরুর ছায়া ফেলে এলে মরুর বুকে উড়ে।।
    এলে চাঁদের তৃষ্ণা নিয়ে কৃষ্ণা তিথির রাতে,
    পাতার বাসা ফেলে এলে সজল নয়ন-পাতে।
    	ওরে পাখি, তোর সাথে হায়
    	উড়তে নারি দূর অলকায়,
    বন্ধনে যে বাঁধা আমি মলিন মাটির পুরে।।
    
  • বৃন্দাবনী কুমকুম আবির রাগে

    বাণী

    বৃন্দাবনী কুমকুম আবির রাগে যেন মোর অন্তর বাহির রাঙ্গে।।
    		রস-যমুনা যেন বহে
    		কভু মধুর মিলনে কভু বিধুর বিরহে,
    রস-তৃষাতুরা ব্রজ-নাগরী যেন গাগরিতে সেই রস মাগে।।
    যেন মোর কুঞ্জ-দুয়ারে,
    ভাব-বিলাসিনী শ্রীমতী আসে অভিসারে।
    		যেন মোর নিবিড় ধ্যানে
    		মুরলী-ধ্বনি শুনি কানে,
    বিরহের বরষায় আশা-নীপ-শাখায় যেন ঝুলনের দোলা লাগে।।