পিলু

  • যাবি কে মদিনায় আয়

    বাণী

    যাবি কে মদিনায় আয় ত্বরা করি'।
    তোর খেয়া ঘাটে এলো পুণ্য তরী।।
    আবুবকর, উমর খাত্তাব, উসমান, আলী হায়দর
    দাঁড়ি এ সোনার তরণীর, পাপী সব নাই নাই আর ডর।
    এ তরীর কাণ্ডারি আহমদ, পাকা সব মাঝি ও মাল্লা,
    মাঝিদের মুখে সারিগান শোন ঐ 'লা শরীক আল্লাহ'।
    পাপ-দরিয়ার তুফানে আর নাহি ডরি।।
    ঈমানের পারানি কড়ি আছে যার আয় এ সোনার নায় —
    ধরিয়া দ্বীনের রশি কলেমার জাহাজ-ঘাটায়।
    ফিরদাউস হ’তে ডাকে হুরী-পরী।।
    
  • যেদিন লব বিদায়

    বাণী

    		যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে।
    		ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।।
    শেয়র:	শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার
    		দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার!
    		‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।।
    শেয়র:	এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে,
    		উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে;
    		টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।
    
  • রিমি ঝিম্ রিমি ঝিম্ ঐ নামিল দেয়া

    বাণী

    রিমি ঝিম্ রিমি ঝিম্ ঐ নামিল দেয়া।
    শুনি’		শিহরে কদম, বিদরে কেয়া।।
    			ঝিলে শাপলা কমল
    			ওই মলিল দল,
    		মেঘ-অন্ধ গগন, বন্ধ খেয়া।।
    		বারি-ধারে কাঁদে চারিধার
    		ঘরে ঘরে রুদ্ধ দুয়ার,
    		তেপান্তরে নাচে একা আলেয়া।।
    কাঁদে 	চখাচখি, কাঁদে বনে কেকা
    		দীপ নিভায়ে কাঁদি আমি একা,
    আজ 		মনে পড়ে সেই মন দেয়া-নেয়া।।
    
  • রুমুঝুম রুমুঝুম্ কে এলে নূপুর পায়

    বাণী

    রুমুঝুম রুমুঝুম্ কে এলে নূপুর পায়
    ফুটিল শাখে মুকুল ও রাঙা চরণ-ঘায়।।
    সে নাচে তটিনী-জল টলমল টলমল,
    বনের বেণী উতল ফুলদল মুরছায়।।
    বিজরি-জরীর আঁচল ঝলমল ঝলমল
    নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়।
    তালীবন থৈ তাথৈ করতালি হানে ঐ, (হায় রে হায়)
    ‌‌‘কবি, তোর তমালী কই’ — শ্বসিছে পুবালি-বায়।।
    
  • শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি

    বাণী

    শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি।
    রঙ নে, রঙ দে, মদির আনন্দে, আয় লো বৃন্দাবনী গোরী।।
    আয় চপল যৌবন-মদে মাতি অল্প-বয়সী কিশোরী।।
    রঙ্গিলা গালে তাম্বুল-রাঙা ঠোঁটে হিঙ্গুল রঙ লহ ভরি;
    ভুরু-ভঙ্গিমা সাথে রঙ্গিম হাসি পড়ুক মুহু মুহু ঝরি’।।
    আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লাগে লাল,
    কৃষ্ণচূড়ার পাশে অশোক গালে-গাল।
    আকুল করে ডাকি’ বকুল বনের পাখি,
    যমুনার জল লাল হ’ল আজ আবির, ফাগের রঙে ভরি।।১
    

    ১. শ্যাম অঙ্গ আজি রঙে রঙে রাঙা হয়ে কি শোভা ধরেছে মরি! মরি!

  • সখি বাঁধো লো বাঁধো লো

    বাণী

    সখি বাঁধো লো বাঁধো লো ঝুলনিয়া।।
    নামিল মেঘলা ঘোর বাদরিয়া।।
    চল কদম তমাল তলে গাহি কাজরিয়া
    চল লো গৌরী শ্যামলিয়া।।
    বাদল-পরীরা নাচে গগন-আঙিনায়,
    ঝমাঝম বৃষ্টি-নূপুর পায়।
    শোনো ঝমঝম বৃষ্টি নূপুর পায়
    এ হিয়া মেঘ হেরিয়া ওঠে মাতিয়া।।
    মেঘ-বেণীতে বেঁধে বিজলি-জরীন্‌ ফিতা,
    গাহিব দু’লে দু’লে শাওন-গীতি কবিতা,
    শুনিব বঁধুর বাঁশি বন-হরিণী চকিতা,
    দয়িত-বুকে হব বাদল-রাতে দয়িতা।
    পর মেঘ-নীল শাড়ি ধানী-রঙের চুনরিয়া,
    কাজলে মাজি’ লহ আঁখিয়া।।
    
  • সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে

    বাণী

    সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে তুমি আমারে ছুঁইয়াছিলে।
    অনুরাগ–কুম্কুম দিলে দেহে মনে, বুকে প্রেম কেন নাহি দিলে।।
    বাঁশি বাজাইয়া লুকালে তুমি কোথায় —
    যে ফুল ফোটালে সে ফুল শুকায়ে যায়
    কী যেন হারায়ে প্রাণ করে হায় হায় —
    কী চেয়েছিলে — কেন কেড়ে নাহি নিলে।।
    জড়ায়ে ধরিয়া কেন ফিরে গেলে বল কোন্ অভিমানে,
    কেন জাগে নাকো আর সে মাধুরী রস–আনন্দ–প্রাণে।
    	তোমারে বুঝি গো বুঝেছিনু আমি ভুল
    	এসেছিলে তুমি ফোটাতে প্রেম–মুকুল,
    কেন আঘাত করিয়া প্রিয়তম, সেই ভুল নাহি ভাঙাইলে।।
    
  • স্বপনে এসো নিরজনে

    বাণী

    (প্রিয়া) স্বপনে এসো নিরজনে।
    (প্রিয়া) আধো রাতে চাঁদের সনে।।
    	রহিব যখন মগন ঘুমে
    	যেয়ো নীরবে নয়ন চুমে’,
    মধুকর আসে যেমন গোপনে মল্লিকা চামেলি বনে।।
    	বাতায়নে চাঁপার ডালে
    	এসো কুসুম হয়ে নিশীথ কালে,
    ভীরু কপোতী সম এসো হৃদয়ে মম বাহুর মালা হয়ে বাসর শয়নে।।