বাণী
নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া বালিকা-কুঁড়ির মালিকা গাঁথিয়া আমি একেলা জাগি রজনী বঁধু,এলো না তো কই সৃজনী, বিজনে বসিয়া রচিলাম বৃথা বনফুল দিয়া ব্যজনী। কৃষ্ণচূড়ার কলিকা অফুট আমি তুলি আনিবৃথা রচিনু মুকুট, মোর হৃদয়ের রাজা এলো না, মোর হৃদি-সিংহাসন শূন্য রহিল আমি যাহার লাগিয়া বাসর সাজাই সে ভাবে মিছে এ খেলনা (সখি)। সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে সখি, আমি মরণের তীরে ব'সে তা'রে ডাকি হেসে যায় বঁধু আনঘরে সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে। সে-যে পাষাণের মুরতি বৃথা পূজা-আরতি নিবেদন করি তার পায়: সাধে কি গো বলে সবে পাষাণ গলেছে কবে? তবু মন পাষাণেই ধায় (সখি রে)। আমি এবার মরিয়া পুরুষ হইব,বঁধু হবে কুলবালা দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা, বিরহিণীর কি যে জ্বালা তখনি বুঝিবে কালা। দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা।।