সেদিন নিশীথে মোর কানে কানে
বাণী
সেদিন নিশীথে মোর কানে কানে যে কথাটি গেছ বলে প্রথম মুকুল হয়ে সেই বাণী মালতী লতায় দোলে।। সে-কথাটি আবার শুনিবে বলিয়া আড়ি পাতে চাঁদ মেঘে লুকাইয়া চাহে চুপি চুপি পিয়াসি পাপিয়া ঘন পল্লব তলে।। বসে আছি সেই মালতী বিতানে আজ তুমি নাই কাছে — ম্লান মুখে পথ চাহে ফুলগুলি আঁধার বকুল গাছে। দখিনা বাতাস করে হায় হায় ঝরিছে কুসুম শুকনো পাতায় নিবু নিবু হল তোমার আশায় চাঁদের প্রদীপ জ্বলে।।
ফুল-ফাগুনের এলো মরশুম
বাণী
ফুল-ফাগুনের এলো মরশুম বনে বনে লাগল দোল্। কুসুম-সৌখিন দখিন হাওয়ার চিত্ত গীত-উতরোল।। অতনুর ঐ বিষ-মাখা শর নয় ও-দোয়েল শ্যামার শিস্, ফোটা ফুলে উঠ্ল ভ’রে কিশোরী বনের নিচোল।। গুল্বাহারের উত্তরী কার জড়াল তরু-লতায়, মুহু মুহু ডাকে কুহু তন্দ্রা-অলস, দ্বার খোল। রাঙা ফুলে ফুল্ল-আনন দোলে কানন-সুন্দরী, বসন্ত তার এসেছে আজ বরষ পরে পথ-বিভোল্।
সাধ জাগে মনে পর-জীবনে
বাণী
সাধ জাগে মনে পর-জীবনে (আমি) তব কপোলে যেন তিল হই। ভালবাসিয়া মোরে দিল্ দিবে তুমি (যেন) আমি তোমার মত বে-দিল্ হই।। মোর দেওয়া যে হার নিলে না অকরুণা (যেন) হয়ে সে হার তব বক্ষে রই।। যাহারে ভালবেসে তুমি চাহ না মোরে মরিয়া আসি যেন তাহারি রূপ ধ’রে (তুমি) হার মানিবে আমি হ’ব জয়ী।। হৃদি নিঙাড়ি মম আল্তা হব পায়ে অধরে হব হাসি রূপ-লাবনি গায়ে আমার যাহা কিছু তোমাতে হবে হারা (প্রিয়) তুমি জানিবে না আমা বৈ।।
আজ উদার আকাশে ছুটির
বাণী
আজ উদার আকাশে ছুটির শঙ্খ-ঘণ্টা বাজায় কে। প্রবাসীর মন উচাটন, শোনে — ‘দীপ জ্বাল্, উলু দে’।। আর মন লাগে নাকো কাজে, শ্রবণের কাছে চুড়ি-কঙ্কণ বাজে। এলোমেলো বায়ে এলো, কবরীর সৌরভ এলো যে।। কোথা আনন্দ-নন্দিনী কার চন্দন বুঝি ঘষে; মন মেতে ওঠে মৌমাছি-সম, নন্দন-মধু রসে। তৃতীয়া চাঁদের রসকলি পরি’ বৈষ্ণবী সেজে এলো বিভাবরী; বাউল-হৃদয়! চল্ রে বাহিরে, হাতে একতারা নে।।
দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
বাণী
দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান হে খোদা, এ যে তোমারই হুকুম, তোমারই ফরমান।। এমনি তোমার নামের আছর – নামাজ রোজার নাই অবসর, তোমার নামের নেশায় সদা মশগুল মোর প্রাণ।। তকদিরে মোর এই লিখেছ হাজার গানের সুরে নিত্য দিব তোমার আজান আঁধার মিনার-চূড়ে। কাজের মাঝে হাটের পথে রণ-ভূমে এবাদতে আমি তোমার নাম শোনাব, করব শক্তি দান।।