বাণী

ওগো ঠাকুর! বলতে পার কোথায় তোমার দেশ।
সেই দেশেতে যাব আমি করবো দুখের শেষ।।
	কাঁদবো তোমার পায়ে ধ’রে
	আমার বাবা-মায়ের তরে,
দেখতে নারি ঠাকুর, তাদের আর এ দীন বেশ।।

নাটকঃ ‘নরমেধ’

বাণী

নিরজন ফুলবন, এসো প্রিয়া
রহি’ রহি’ বলে কোয়েলিয়া।।
পথ পানে চাহি, নাহি নিদ নাহি
ঝরা ফুল জড়ায়ে ঝুরে হিয়া।।

বাণী

ওগো	এলে কি শ্যামল পিয়া কাজল মেঘে
	চাঁচর চিকুর ওড়ে পবন বেগে॥
	তোমার লাবনি ঝ’রে পড়িছে অবনি-পরে
	কদম শিহরে কর-পরশ লেগে॥
	তড়িৎ ত্বরিত পায়ে বিরহী-আঁখিরে ছায়ে তরাসে লুকায়।
	চলিতে পথের মাঝে ঝুমুর ঝুমুর বাজে নূপুর দু’পায়।
	অশনি হানার ছলে প্রিয়ারে ধরাও গলে,
ওগো	রাতের মুকুল কাঁদে কুসুম জেগে॥

বাণী

নিশি-পবন! নিশি-পবন! ফুলের দেশে যাও
ফুলের বনে ঘুমায় কন্যা তাহারে জাগাও — যাও যাও যাও।।
মৌ-টুস্‌টুস্‌ মুখখানি তার ঢেউ-খেলানো চুল
(ওরে) ভোমরার ঝাঁক-ঘেরা যেন ভোরের পদ্ম-ফুল
হাসিতে তার মাঠের সরল বাঁশির আভাস পাও
				যাও যাও যাও।।
চাঁপা ফুলের পুত্‌লি-ঘেরা চাঁপা রঙের শাড়ি
তারেই দেখতে আকাশ-গাঙে (ওরে) চাঁদ দেয় রে পাড়ি।
তার একটুখানি চোখের আদল বাদল-মেঘে পাও।
				যাও যাও যাও।।
	ধীরে ধীরে জাগাইয়ো তায়
	ঝরা-কুসুম ফেলিয়া গায়
জাগলে কন্যা যেন রে মোর পত্রখানি দাও —
				যাও যাও যাও।।

বাণী

মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা
তোরেই সে ডোর খুলতে হবে।
খুলিয়া মায়া ডোর মুছিবি আঁখি লোর
(আমি) আকুল হয়ে মা কাঁদব যবে।।
ওমা তোর কালী নাম যখনই মনে হয়
মনের কালিমা অমনি হয় লয়,
অভাবে দুঃখে শোকে আমার কিবা ভয়;
আমি যে গর্ব করি তোরই গরবে।।
শত অপরাধ করে দিনের খেলায়
ছুটে আসি তোর কোলে সন্ধ্যাবেলায়;
সংসার পথে মা মাখি যতই ধূলি,
মুছিয়ে রাঙা হাতে কোলে নিবি তুলি।
আমি সেই ভরসাতে মা হাসি খেলি ভবে।।

বাণী

গাঙে জোয়ার এলো ফিরে তুমি এলে কই
খিড়কি দুয়ার খুলে পথ-পানে চেয়ে' রই।।
	কালো জামের ডালের ফাঁকে
	আমায় দেখে কোকিল ডাকে,
আজও কেন যায় না দেখা তোমার নায়ের ছই।।
চুল বেঁধে আজ সেজেগুজে পিদিম জ্বালাই সাঁঝে,
ঠাকুরঝিরা মুচকি হাসে, আমি মরি লাজে।
	বাদলা রাতে বৃষ্টি ঝরে
	মন যে আমার কেমন করে,
আমার চোখের জলে বন্ধু মাঠ করে থই-থই।।