ফের্‌তা

  • ও গিন্নী বদন তোল

    বাণী

    ও গিন্নী বদন তোল একটু হানো নয়না।
    আমি জুয়েলারীর দোকান হব গায়ে হব গয়না।।
    (তোমার) সিঁথের হব সিঁথিপাটি কেশে হেয়ার পিন
    চিরুনি হয়ে খোপায় বিঁধে রইব চিরদিন।
    টায়রা ঝাপটা লেসপিন তাহলে মন্দ হয় না।।
    টানা টিকলি কাঁটা হব ফুলের নয় গো চুলের
    টাপ মাকড়ি দুল হব গো একটু বেশি ঝুলের।
    কানের উপর কান হব গো নাকছাবি ঐ নাকের,
    কাঁচ পোকা আর খয়েরি টিপ হব ভুরূর ফাঁকে,
    নোলক বেসর তাও হব যা আজকাল লোক ছোঁয় না।।
    গলার হব হার নেকলেস গজমতির মালা,
    হাতে হব বাজু বন্দ, পৈঁচী চুড়ি বালা।
    তাগা, কেয়ুর, রুলি, শাঁখা, জসম, আংটি, খাড়ু
    তাবিজ হব নোয়া হব অনন্ত সূচারু।
    ভুলে গেছি — নথ নৈলে গিন্নীর মান রয় না।।
    নূপুর তোড়া হ্যাদে দেখো ভুলেই দেছি দেখি
    ঝুমকো ঢেঁড়ি চিকের কথা মাদুলাও বাকি,
    জাল পাটরি কি হই আর কী ফেলে রাখি
    বাদ কি গেল দাও লিস্টি মুখ ভার আর সয় না।।
    

    ‘গিন্নীর কাছে গয়নার ফর্দ’

  • ও তুই কারে দেখে ঘোমটা দিলি নতুন বউ বল গো

    বাণী

    ও তুই কারে দেখে ঘোমটা দিলি নতুন বউ বল গো
    তুই উঠলি রেঙে যেন পাকা কামরাঙ্গার ফল গো।।
    তোর মন আইঢাই কি দেখে কে জানে
    তুই চুন বলে দিস হলুদ বাটা পানে
    তুই লাল নটে শাক ভেবে কুটিস শাড়ির আঁচল গো।।
    তুই এ ঘর যেতে ও ঘরে যাস পায়ে বাধে পা
    বউ তোর রঙ্গ দেখে হাসছে ননদ জা।
    তুই দিন থাকিতে পিদিম জ্বালিস ঘরে
    ওলো রাত আসিবে আরো অনেক পরে
    কেন ভাতের হাঁড়ি মনে ক'রে উনুনে দিস জল গো।।
    
  • ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে

    বাণী

    	ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে।
    (ওসে)	কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে।।
    		দিন রাত্তির অঙ্ক কষে
    		পান্ হতে চুন কখন্ খসে,
    	স্ত্রী ব’লে আন্‌নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে।।
    	প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্‌তি বেণীর গুল্‌তি ঢিলে’
    	মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে।
    		যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই
    		তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই
    	ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্‌ল গিলে।।
    
  • ও বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল

    বাণী

    ও	বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল
    	দাদার তরে মন বুঝি তোর হয়েছে উতল।।
    তোর	দিব্যি দেখেছি স্বপনে
    যেন	দাদা কথা কইতেছে তোর সনে
    	দেখিস তোরা আমার স্বপন হবে না বিফল।।
    তোর	কান্নার সাগরে যখন উঠেছে জোয়ার
    	বৌদি লো তোর চাঁদ উঠিবার নাই রে দেরি আর।
    ও	বৌদি তোর চোখের জলের টানে
    	আমার দাদার সোনার তরী  আসতেছে উজানে
    দেখ	বাটনা ফেলে হাসছে দিদি চল ও ঘরে চল।।
    
  • ও সে বাঁশরি বাজায়

    বাণী

    ও সে		বাঁশরি বাজায় হেলে দুলে যায়
    		গোঠে শ্যামরায় নওল কিশোর।
    		জোছনা পিয়াসে চাঁদ মুখ পাশে।
    		ঘোরে গোপিনীর নয়ন-চকোর।।
    		নীল উৎপল ভ্রমে মধুকর
    		উড়ে চলে সাথে, ছাড়ি’ সরোবর,
    		অঙ্গে গোপী-চন্দন বাস
    		লুটিয়া পলায় সমীর-চোর।।
    		চরণ-কমলে ভ্রমরের প্রায় —
    		সোনার নূপুর গুঞ্জরিয়া যায়।
    		শ্যামেরে নবীন নীরদ ভাবিয়া
    		নাচিছে ময়ূর কলাপ মেলিয়া,
    		ঢেউ তুলে যেন চলে রূপের সায়র।।
    
  • ও-তুই যাস্‌নে রাই-কিশোরী কদমতলাতে

    বাণী

    ও-তুই যাস্‌নে রাই-কিশোরী কদমতলাতে,
    সেথা ধরবে বসন-চোরা ভূতে, পারবিনে আর পালাতে॥
    	সে দেখলে কি আর রক্ষে আছে,
    	ও-তোর বসন গিয়ে উঠ্‌বে গাছে,
    ওলো গোবর্ধন-গিরিধারী সে — পারবিনে তায় টলাতে॥
    	দেখতে পেলে ব্রজবালা,
    	ঘট কেড়ে সে ঘটায় জ্বালা,
    (ওলো) নিজেই গ’লে জল হ’বি তুই পারবিনে তায় গলাতে॥
    	ঠেলে ফেলে অগাধ-নীরে
    	সে হাসে লো দাঁড়িয়ে তীরে,
    শেষে ভাসিয়ে নিয়ে প্রেম-সাগরে ওলো দোলায় নাগরদোলাতে॥
    
  • ওকে ট'লে ট'লে চলে একলা গোরী

    বাণী

    ওকে ট'লে ট'লে চলে একলা গোরী
    নব-যৌবনা নীল-বাসনা কাঁখে গাগরি।।
    মদির মন্দ বায় অঞ্চল দোলে
    খোঁপা খুলে দোলে আকুল কবরী।
    তারে ছল ছল দূরে ডাকে নদী
    তা'রিনাম যপে পাপিয়া নিরবধি
    ডাকে বনের কিশোর বাজায়ে বাঁশরি।।
    
  • ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল

    বাণী

    ওগো	ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল।
    	হাসির বদল দোলে সেথায় অশ্রুকণার দুল।।
    		রোদের দাহে বালুচরে
    		মরা নদী কেঁদে মরে
    	গাইতে এসে কাঁদছে ব'সে বাণ-বেঁধা বুলবুল।।
    	ভোর-গগনে পূর্ণ চাঁদের এমনি মলিন মুখ,
    	ঝড়ের কোলে এমনি দোলে প্রদীপ-শিখার বুক।
    		ম্লান-মাধুরী মালার ফুলে
    		এমনি নীরব কান্না দোলে,
    	করুণ তুমি নির্জনের দেবীর সমতুল।।
    
  • ওরে আজ ভারতের নব যাত্রা পথের

    বাণী

    ওরে	আজ ভারতের নব যাত্রা পথের
    	বাঁশি বাজলো, বাজলো বাঁশি
    	ফেলে তরুর ছায়া ভুলে ঘরের মায়া
    	এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥
    	তারা আকাশকে আজ চাহে লুটে নিতে
    	তারা মন্থর ধরায় চাহে দুলিয়ে দিতে
    	তারা তরুণ তরুণ প্রাণ জাগায় মৃতে
    	সাহস জাগায় চিতে তাদের অট্টহাসি॥
    	মোরা প্রাচীরের পরে রে প্রাচীর তুলে
    	ভাই হয়ে ভাইকে হায় ছিলাম ভুলে।
    	আজ ভেঙে প্রাচীর হল ঘরের বাহির
    	একই অঙ্গনে দাঁড়ালো উন্নত শির
    	এলো মুক্ত গগন তলে প্রাণ পিয়াসি
    	এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥
    
  • ওরে দেখে যা তোরা নদীয়ায়

    বাণী

    ওরে দেখে যা তোরা নদীয়ায়
    গোরার রূপে এলো ব্রজের শ্যামরায়॥
    	মুখে হরি হরি বলে
    	হেলে দুলে নেচে চলে
    নরনারী প্রেমে গলে ঢলে পড়ে রাঙা পায়॥
    ব্রজে নূপুর পরি নাচিত এমনি হরি
    কূল ভুলিয়া সবে ছুটিত এমন করি
    শচীমাতার রূপে কাঁদিছে মা যশোদা
    বিষ্ণু প্রিয়ার চোখে কাঁদে কিশোরী রাধা
    নহে নিমাই নিতাই ও যে কানাই বলাই
    শ্রীদাম সুদাম এলো জগাই মাধাই-এ হায়॥
    আজ এসেছে ভূবন ভুলাতে অসি নাই বাঁশি নাই
    ও ভাই এবারে শূন্য হাতে এসেছে ভুবন ভুলাতে।
    ও ভাই লীলা পাগল এলো প্রেমে মাতাতে
    ডুবু ডুবু নদীয়া বিশ্ব ভাসিয়া যায়॥
    
  • ওরে ভবের তাঁতি

    বাণী

    ওরে ভবের তাঁতি! হরিনামের এঁড়ে গরু কিনিস্‌নে।
    তুই মূলে শেষে হাবাত্ হবি ঠাকুরকে তুই চিনিস্‌নে।
    		রসিক ঠাকুরকে তুই চিনিস্‌নে।।
    তুই খাচ্ছিস্ বেশ ভবের তাঁত বু’নে
    চালিয়ে মাকু, ঘুরিয়ে টাকু, তাঁতের গান শু’নে
    (ও তুই) সুখে খাবি আয়েশ পাবি
    ঐ গরু কেনার টাকাতে তুই জরু আনার জিনিসনে।।
    পরমার্থের কিনলে এঁড়ে, অর্থ যাবে ছেড়ে
    তোর ঘাড়েরই লাঙল তোকে শেষে আসবে তেড়ে!
    কুল যাবে তোর, যাবে জাতি মান
    (এই গো-কুলের এঁড়ে এনে) যাবে জাতি মান,
    দুঃখ অভাব শোক এসে তোর ধরবে রে দুই কান
    শেষে কি কান খোয়াবি কানা হবি ভ’জে কানাই শ্রীকৃষ্ণে।।
    
  • ওহে রসিক রসাল কদলী

    বাণী

    ওহে রসিক রসাল কদলী।
    ভাবুকের তুমি ভাবের আধার পেটুকের প্রাণ-পুতলী।।
    আহা, তুমি যুগে যুগে বর্তমান
    বৃন্দাবনে মোহন বাঁশি বাঙলায় মর্তমান।
    বহুরূপী তুমি বহুনামধারী চম্প বীচে কাঁঠালি।।
    তোমার কাঁচকলা রূপের উপাসক পেট-রোগা যত ভক্ত,
    ঝোলে কি ভাজায় তোমারে সাজায় (তুমি) মজাও পলতা শুক্ত।
    নৈবেদ্যে ও আদ্য শ্রাদ্ধে দয়াময়, জগতের যত নর-বানর
    তোমার কৃপার কাঙালি।।
    

    কৌতুক নাটিকা : ‘পণ্ডিত মশায়ের ব্যাঘ্র শিকার’

  • কালো জাম রে ভাই

    বাণী

    কালো জাম রে ভাই! আম কি তোমার ভায়রা ভাই?
    লাউ বুঝি তোর দিদি মা, আর কুমড়ো তোর দাদা মশাই।।
    তরমুজ তোমার ঠাকুমা বুঝি কাঁঠাল তোমার ঠাকুরদা
    গোলাপজাম তোর মাসতুতো ভাই জামরুল কি ভাই তোর বোনাই।।
    পেয়ারা কি তোর লাটিম রে ভাই চিচিঙ্গে তোর লাঠি
    জাম্বুরা তোর ফুটবল আর লংকা চুষি কাঠি।
    টোপা কুল তোর বৌ বুঝি আর বৈচি লেবু তোর বেহাই।
    নোনা আতা সোনা ভাই তোর রাঙা দি তোর লাল মাকাল,
    ডাব বুঝি তোর পানি-পাঁড়ে ঢিল বুঝি ভাদুরে তাল।
    গেছো দাদা আয় না নেমে গালে রেখে চুমু খাই।।
    
  • কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে

    বাণী

    কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে
    হেসে নদীকুলে এলো হেলে দুলে!
    	নূপুর রিনিকি ঝিনি বাজে রে
    	পথ-মাঝে রে, বাজে রে।।
    দূরে মন উদাসি বাজে বাঁশের বাঁশি,
    	বকুল-শাখে পাপিয়া ডাকে —
    হেরিয়া বুঝি এই বন-বালিকায়
    	রঙিন সাজে রে, বাজে রে।।
    	এ বুঝি নদীর কেউ
    তাই অধীর হলো জলে ঢেউ।
    	চন্দন-মাখা যেন চাঁদের পুতলি,
    	যত চলে তত রূপ ওঠে উথলি
    মেঘে লুকালো পরী লাজে রে, বাজে রে
    	পথ-মাঝে রে, বাজে রে।।
    

  • কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো

    বাণী

    	কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো?
    	ইষৎ হাসিতে তোর ত্রিভুবন আলো, কে বলেছে কালো।।
    		কে দিয়েছে গালি তোরে, মন্দ সে মন্দ!
    		যে বলেছে কালি তোরে, অনধ সে অন্ধ!
    মোর	তারায় সে দেখে নাই তার নয়ন-তারা য়নাই আলো!
    		তাই তারায় সে দেখে নাই।।
    রাখে	লুকিয়ে মা তোর নয়ন-কমল (মাগো)
    		কোটি আলোর সহস্র দল
    তোর	রূপ দেখে মা লজ্জায় শিব অঙ্গে ছাই মাখালো।।
    তোর	নীল -কপোলে কোটি তারা, চন্দনেরি ফোটার পারা
    		ঝিকিমিকি করে গো —
    মা	তোর দেহলতায় অতুল কোটি রবি -শশীর মুকুল
    		ফোটে আবার ঝরে গো —
    তুমি	হোমের শিখা বহ্নি- জ্যোতি, তুমি স্বাহা দীপ্তিমতী
    	আঁধার ভুবন ভবনে মা কল্যাণ-দীপ জ্বালো
    		তুমি কল্যাণ-দীপ জ্বালা।।
    

  • কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া

    বাণী

    কেন		প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
    		কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া গো।
    আমি		যত ভুলি ভুলি করি, তত আঁকড়িয়া ধরি
    		শ্যামের সে রূপ ভোলা কি যায়, নিখিল শ্যামল যার শোভায়
    		আকাশে সাগরে বনে কান্তারে লতায় পাতায় সে রূপ ভায়।
    আমার		বঁধুর রূপের ছায়া বুকে ধরি’ আকাশ-আরশি নীল গো
    বহে		ভুবন প্লাবিয়া কালারে ভাবিয়া কালো সাগর-সলিল গো। সখি গো —
    		যদি ফুল হয়ে ফুটি তরু-শাখে, সে যে পল্লব হয়ে ঘিরে থাকে। সখি গো —
    আমি		যেদিকে তাকাই হেরি ও-রূপ কেবল
    সে যে		আমারি মাঝারে রহে করি’ নানা ছল
    সে যে		বেণী হয়ে দোলে পিঠে চপল চতুর।
    সে যে		আঁখির তারায় হাসে কপট নিঠুর।
    		তারে কেমনে ভুলিব, সখি কেমনে ভুলিব।
    থাকে		কবরী-বন্ধে কালো ডোর হয়ে কাল্‌ফণী কালো কেশে গো
    থাকে		কপালের টিপে, চোখের কাজলে কপোলের তিলে মিশে’ গো!
    আমার 	এ-কূল ও-কূল দু’কূল গেল।
    		কূলে সই পড়িল কালি সেও কালো রূপে এলো।
    রাখি		কি দিয়া মন বাঁধিয়া, বাঁধিয়া বাঁধিয়া বাঁধিয়া গো।।
    

  • কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে

    বাণী

    কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে কাল্‌ কালিন্দী-কূলে।
    (সে যে) বাঁশরির তানে সকরুণ গানে ডাকিল প্রেম-কদম্ব মূলে।।
    কেন কলস ভরিতে গেনু যমুনা-তীরে,
    মোর কলস সাথে গেল ভাসি, লাজ-কূল-মান আকুল নীরে।
    কলসির জল মোর নয়নে ভরিয়া সই আসিনু ফিরে।।
    সখি হে তোদের সে রাই নাই, গোকুলের রাই গোকুলে নাই।
    সে যে হারাইয়া গেছে শ্যামের রূপে লো নবীন নীরদে বিজলি প্রায়।
    সে রবি-শশী সম ডুবিয়া গেছে লো সুনীল রূপের গগন-গায়।।
    হরি-চন্দন-পঙ্কে লো সখি শীতল ক’রে দে জ্বালা,
    দুলায়ে দে গলে বল্লভ-রূপী শ্যাম পল্লব মালা।
    নীল কমল আর অপরাজিতার, শেজ্‌ পেতে দে লো কোমর বিথার
    পেতে দে শয্যা পেতে দে, নীল শয্যা পেতে দে পেতে দে!
    পরাইয়া দে লো সখি অঙ্গে নীলাম্বরী, জড়াইয়া কালো বরণ আমি যেন মরি।।
    
  • ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি

    বাণী

    ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি
    ধীরে চল গোরী ধীরে ধীরে
    টলে চিকন কাঁখে ভরা গাগরি
    	ভরে তায় ঘাঘরি।
    দেহ টুটে না যায় যেন নাগরি
    	নীল চোলি ভিজিয়া না যায় নীরে।।
    কঠিন ধরা হানে বেদনা কোমল পায়ে
    মুছায়ে দিব ব্যথা ব’স এ বকুল ছায়ে
    ‘না’বলি মুচকিয়া হেসো না ফিরে ফিরে।।
    দাঁড়ায়ে কত পথিক বহিতে সই ভার তব
    যদি চাহ গো সখি ভার তব আমি লব
    দাও আমারে ঠাঁই, তব ঐ তনুর তীরে।।
    
  • ক্ষ্যাপা হাওয়াতে মোর আঁচল উড়ে যায়

    বাণী

    ক্ষ্যাপা হাওয়াতে মোর আঁচল উড়ে যায়।
    খুলে পড়ে গো বাজুবন্দ ধরিতে আঁচল
    কোন ঘূর্ণি বাতাস এলো ছন্দ-পাগল
    লাগে নাচের ছোঁয়া দেহের কাঁচ মহলায়
    হয়ে পায়েলা উতলা সাধে ধরিয়া পায়।।
    খুলিয়া পড়ে খোঁপায়, কবরীর ফুলহার
    হাওয়ার এই রূপে গো এলো কি বঁধু আমার
    এমনি দুরন্ত আদর সোহাগ তার
    একি পুলক-শিহরেণে পরান মূরছায়।।
    

  • গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে

    বাণী

    গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে হেরে’ প্রেমময়ী রাধা।
    রাধারে ত্যজিয়া আঁধার নিশীথে চন্দ্রার সাথে বাঁধা।(শ্যাম-চাঁদ)
    যেন চাঁদের বুকে কলঙ্ক গো নির্মল শ্যাম-চাঁদের বুকে চন্দ্রা যেন কলঙ্ক গো।।
    অরুণ নয়ানে মলিন বয়ানে জাগিল অভিমানিনী
    (ভাবে) রাধার হৃদয় আধার যাহার সে কেন ভজে কামিনী।
    শ্রীরাধার মান ভয়হীন, তাই শ্রীরাধা অভিমানিনী,
    পরমশুদ্ধ প্রেম শ্রীরাধার, নির্ভয় অভিমানিনী।।
    কৃষ্ণকেও সে ভয় করে না, নির্ভয় অভিমানিনী রাধা বুঝতে নারে গো
    চির-সরল অমৃতময় গরল কেন হয় বুঝতে নারে গো
    কাঁপে থরথর সারা কলেবর, ভাবে রাধা একি বিপরীত।
    প্রেম ভিক্ষু কহে, বুঝি বুঝিবার নহে চঞ্চল শ্যামের রীত।।
    বোঝা যে যায় না চঞ্চল শ্যামের রীত
    অবুঝ মনের বোঝা যায় না তাতে তবু কখন সে রাধার, কখন সে চন্দ্রার।।
    

    গীতিচিত্র: ‘অভিমানিনী’