বাণী

ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ
তোমার হেরে হৃদয় সাগর আনন্দে উন্মাদ।।
তোমার রাঙা তশতরিতে ফিরদৌসের পরী
খুশির শিরনি বিলায় রে ভাই নিখিল ভুবন ভরি
খোদার রহম পড়ছে তোমার চাঁদনি রূপে ঝরি।
দুখ ও শোক সব ভুলিয়ে দিতে তুমি মায়ার ফাঁদ।।
তুমি আসমানে কালাম
ইশারাতে লেখা যেন মোহাম্মাদের নাম।
খোদার আদেশ তুমি জান স্মরণ করাও এসে
যাকাত দিতে দৌলত সব দরিদ্রেরে হেসে
শত্রুরে আজি ধরিতে বুকে শেখাও ভালবেসে।
তোমায় দেখে টুটে গেছে অসীম প্রেমের বাঁধ।।

বাণী

চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম আসিলে মোর জীবনে।
নীরব মনের উপবন মর্মরি’ উঠিল অধীর হরষণে।।
	যে মুকুল ঘুমায়ে ছিল পত্রপুটে
	অনুরাগে ফুল হয়ে উঠিল ফুটে,
তনুর কূলে কূলে ছন্দ উঠিল দুলে আকুল শিহরণে।।
অলকানন্দা হ’তে রসের ধারা তুমি আনিলে বহি’,
অশান্ত সুরে একি গাহিলে গান, হে দূর বিরহী।
	মায়ামৃগ তুমি হেসে চ’লে যাও
	তব কূলে যে কাঁদে তারে ফিরে নাহি চাও,
কত বন ভূমিরে আঁখি-নীরে ভাসাও —
			হে উদাসীন আনমনে।।

বাণী

মুছাফির! মোছ্ রে আঁখি-জল
		ফিরে চল আপনারে নিয়া
আপনি ফুটেছিল ফুল
		গিয়াছে আপ্‌নি ঝরিয়া।।
রে পাগল! একি দুরাশা,
জলে তুই বাঁধ্‌বি রে বাসা!
মেটে না হেথায় পিয়াসা
		হেথা নাই তৃষা-দরিয়া।।
বরষায় ফুটল না বকুল
পউষে ফুট্‌বে কি সে ফুল (রে)
এ পথে ঝরে সদা ভুল
		নিরাশার কানন ভরিয়া।।
রে কবি! কতই দেয়ালি
জ্বালিলি তোর আলো জ্বালি’
এলো না তোর বনমালী
		আধাঁর আজ তোরই দুনিয়া।।

বাণী

ব্রজ-দুলাল ঘন শ‍্যাম
মোর হৃদে কর বিহার হে।।
নব অনুরাগের জ্বালায়ে বাতি
অঙ্গে অঙ্গে রাখি তব শেজ পাতি’
গাঁথি অশ্রু-মোতিহার হে।।
আরতি-প্রদীপ আঁখিতে জ্বালায়ে রাখি
পথ-পানে চাহি বার বার হে।।
নিবেদন করি নাথ তব চরণে
নিত্য পূজা-উপচার হে
বিরহ-গন্ধ ধূপ বেদনা চন্দন
পূজাঞ্জলি আঁখি-ধার হে
দেবতা এসো, খোল দ্বার হে।।