বাণী

হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল
এনে দে এনে দে নৈলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।
কুস্‌মী-রঙ শাড়ি, চুড়ি বেলোয়ারি
কিনে দে হাট থেকে, এনে দে মাঠ থেকে
বাবলা ফুল, আমের মুকুল, নৈলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।।
তুর্‌কুট্‌ পাহাড়ে শাল-বনের ধারে বস্‌বে মেলা আজি বিকাল বেলায়,
দলে দলে পথে চলে সকাল হতে বেদে-বেদেনী নূপুর বেঁধে পায়
যেতে দে ওই পথে বাঁশি শুনে’ শুনে’ পরান বাউল
নৈলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।।
পলার মালা নাই কী যে করি ছাই,
খুঁজেএনে দে এনে দে রে সিঁয়া-কূল
নৈলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।।

সিনেমা: সাপুড়ে

বাণী

প্রণমামী শ্রীদুর্গে নারায়ণী গৌরী শিবে সিদ্ধি বিধায়িনী
মহামায়া অম্বিকা আদ্যাশক্তি ধর্ম-অর্থ-কাম মোক্ষ-প্রদায়িনী।।
শুম্ভ নিশুম্ভ বিমর্দিনী চন্ডী নমো নমঃ দশপ্রহরণ ধারিণী
দেবী সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-বিধাত্রী জয় মহিষাসুর সংহারিণী।
			জয় দুর্গে, জয় দুর্গে।।
যুগে যুগে দনুজ দলনী মহাশক্তি যোগনিদ্রা মধুকৈটভ নাশিনী
বেদ-উদ্ধারিণী মণি-দীপ বাসিনী শ্রীরাম অবতারে বরাভয় দায়িনী।
			জয় দুর্গে, জয় দুর্গে।।

বাণী

চক্র সুদর্শন ছোড়কে মোহন তুম ব্যনে বনওয়ারী।
ছিন লিয়ে হ্যয় গদা-পদম্‌ সব মিল করকে ব্রজনারী।।
	ছার ভুজা আব দো বনায়ে
	ছোড়কে বৈকুণ্ঠ ব্রিজ মে আয়ে,
রাস রচায়ে ব্রিজ্‌কে মোহন ব্যন্ গ্যয়ে মুরলী-ধারী।।
	সত্যভামাকো ছোড়কে আয়ে
	রাধা প্যারী সাথমে লায়ে,
বৈতরণী কো ছোড়কে ব্যন গ্যয়ে যমুনাকে তটচারী।।

বাণী

হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না।
আশা-তরী ডুববে কূলে দুখের স্রোতে ভাসবে না।।
	হয়তো তুমি এমনি ক'রে
	পথ চাওয়াবে জনম ভ'রে
রইবে দূরে চিরতরে সামনে এসে হাসবে না।।
কামনা মোর রইলো মনে রূপ ধ'রে তা উঠলো না;
বারে বারে ঝরলো মুকুল ফুল হয়ে তা ফুটলো না।
	অবুঝ এ প্রাণ তবু কেন
	তোমার ধ্যানেই বিভোর হেন
তুমি চির চপল নিঠুর - জানি, ভালোবাসবে না।।

বাণী

মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান (হে ধরণী)
স্নিগ্ধ শীতল মেঘ-চন্দনে জুড়াও তাপিত প্রাণ (হে ধরণী)।।
	তব বৈশাখী ব্রত শেষে
	শ্যাম সুন্দর বেশে
নব দেবতা এলো হেসে লহ আশিস বারি দান (হে তাপসী)।।
	তব ভূষণ-হীন উপবাস ক্ষীণ কায়
	হোক নবতর শ্যাম সমারোহে, পুষ্পিত সুষমায়।
	তীর্থ-সলিলে কৃষ্ণা
	দূর কর গো তৃষ্ণা
শ্যাম দরশ পরশ ব্যাকুলা হরষে গাহ গান (হে তপতী)।।

বাণী

আমি মদিনা মহারাজার মেয়ে সকলের জানা আছে।
নৌজোয়ান! তুমি কার ছেলে তুমি কেন এলে মোর কাছে।।
	আমি গান গাইতে জানি
	তুমি কি গান লিখতে জান?
তাহলে তুমি বাড়ি গিয়ে আমার তরে অনেক গান লিখে আন।
তাহলে তোমায় মালা গেঁথে দিব —
মোর গুল বাগানে অনেক ফুল ফুটেছে ফুলের গাছে।।
	তুমি মহারাজার, বাদশার ছেলে হও
	তাহলে আমার ঘরে এসে কথা কও,
	তব ভালো নাম কি হে কবি
	তাহলে আঁকব আমি তোমার ছবি,
আমি পর্দানশীন কুমারী, মোরে এখনো কেউ নাহি যাচে।।

নাট্যগীতি: ‌‘মদিনা’