আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে
বাণী
আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে তালে তালে সোনার বুকে সোনার তাবিজ দোলে।। সে কাঁদিলে মুক্তা ঝরে হাসলে ঝরে মানিক ঈদের চাঁদে লেগে আছে সেই খুশির খানিক। তাঁর কচি মুখে খোদার কালাম আধো আধো বলে।। দেখেছিল লুকিয়ে সে নাচ কোটি গ্রহতারা আসমানে তাই ঘোরে তারা আজো দিশাহারা সেদিন নেচেছিল বিশ্বভুবন ইয়া মোহাম্মদ ব’লে।। কোরানের আয়াতে লেখা সেই নাচেরই ছন্দ তকবীরের ধ্বনিতে বাজে তাহারি আনন্দ আমি থাকলে সেদিন হতাম ধূলি তাঁহার পায়ের তলে।।
ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে
বাণী
ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে। বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায় পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা, শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম
এসো এসো তব যাত্রা-পথে
বাণী
এসো এসো তব যাত্রা-পথে শুভ বিজয়-রথে ডাকে দূর-সাথি। মোরা তোমার লাগি’, হেথা রহিব জাগি’ তব সাজায়ে বাসর জ্বালি’ আশার বাতি।। হের গো বিকীর্ণ শত শুভ চিহ্ন পথ-পাশে নগর-বাটে, স-বৎসা ধেনু গো-ক্ষুর-রেণু উড়ায়ে চলে দূর মাঠে। দক্ষিণ-আবর্ত-বহ্নি, পূর্ণ-ঘট-কাঁখে তম্বী, দোলে পুষ্প-মালা, ঝলে’ শুক্লা রাতি।। হের পতাকা দোলে দূর তোরণ-তলে, গজ তুরগ চলে। শুক্লা ধানের হের মঞ্জরী ঐ, এসো কল্যাণী গো, আনো নব-প্রভাতী।।
নাটক : ‘সাবিত্রী’
আমি বুকের ভিতর থাকি
বাণী
আমি বুকের ভিতর থাকি তবু ওরা ডাকে দেখা দাও ব’লে। ওরা চিনিতে পারে না কত রূপে আমি দেখা দিই কত ছলে।। চোর চোর খেলি মনে বসে, ওরা বনে যায় খুঁজিতে; কোলে থাকি আমি খোকা হয়ে, ওরা মন্দিরে যায় পূজিতে। মোরে পাষাণ করিয়া ফেলে রাখে, ওরা আঁধার দেউল তলে।। (ওরা ডাকিয়া লয় না কোলে গো আমি কোল্ যে বড় ভালবাসি।) কেশবে ডাকিয়া লয় না কোলে।। ওরা দেবতা ভাবিয়া পূজা দেয় যাহা, আমি তাহা নাহি খাই; লুকায়ে ভিখারি সাজিয়া ওদের পাতের অন্ন চাই। ওরা প্রভু ব’লে মোরে দূরে রাখে, তাই কেঁদে দূরে যাই চ’লে। (ওরা গোপাল বলিয়া ডাকে না মোরে, কেন বুকে বেঁধে রাখে না।) আমি তাই দূরে যাই চ’লে, কেশবে ডাকিয়া লয় না কোলে।।
নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’