বাণী

বিষাদিনী এসো শাওন সন্ধ্যায়
		কাঁদিব দুজনে।
দীপালির উৎসবে আঁধারের ঠাঁই নাহি
		কাহারো হাসি যদি নিভে যায়।
তোমারি মতো তাই ম্লান-মুখ চিরদিন
		লুকায়ে রাখি অবগুণ্ঠনে॥

বাণী

উঠুক তুফান পাপ-দরিয়ায় ওরে আমি কি তায় ভয় করি।
			ও ভাই আমি কি তায় ভয় করি।
পাক্কা ঈমান তক্তা দিয়ে গড়া যে আমার তরী।
			ও ভাই গড়া যে আমার তরী।।
‌‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু'র পাল তুলে,
ঘোর তুফানকে জয় ক'রে ভাই যাবই কূলে,
মোহাম্মদ মোস্তফা নামের (ও ভাই) গুণের রশি ধরি'।।
খোদার রাহে সঁপে দেওয়া ডুববে না মোর তরী,
সওদা ক'রে ভিড়বে তীরে সওয়াব-মাণিক ভরি'।
দাঁড় এ তরীর নামাজ, রোজা, হজ্ ও জাকাত,
উঠুক না মেঘ, আসুক বিপদ — যত বজ্রপাত,
আমি যাব বেহেশত্-বন্দরেতে রে এই সে কিশতিতে চড়ি'।।

বাণী

দেখে যারে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী।
বর্ণিতে সে রূপ মধুর হার মানে নিখিল কবি॥
আওলিয়া আর আম্বিয়া সব পিছে চলে বরাতি,
আসমানে যায় মশাল জ্বেলে গ্রহ তারা চাঁদ রবি॥
হুর পরী সব গায় নাচে আজ, দেয় ‘মোবারকবাদ্’ আলম্,
আর্‌শ কুর্শি ঝুঁকে পড়ে দেখতে সে মোহন ছবি॥
আজ আরশের বাসর ঘরে হবে মোবারক রুয়ৎ,
বুকে খোদার ইশ্ক নিয়ে নওশা ঐ আল-আরবি॥

বাণী

ওগো সুন্দর! তুমি আসিবে বলিয়া বনপথে পড়ে ঝরি’
				(রাঙা) অশোকের মঞ্জরি।
হাসে বনদেবী বেণীতে জড়ায়ে মালতীর বল্লরী,
				নব কিশলয় পরি’।।
	কুমুদী-কলিকা ঈষৎ হেলিয়া
	চাঁদেরে নেহারি হাস মুচিকিয়া,
মহুয়ার বনে ভ্রম-ভ্রমরী ফিরিতেছে গুঞ্জরি’।।
যাহা কিছু হেরি ভাল লাগে আজ লুকাইতে নারি হাসি,
কাজ করি আর শুনি যেন কানে মিঠে পাহাড়িয়া বাঁশি।
	এক শাড়ি খুলে পরি’ আর শাড়ি
	বারে বারে মুখ মুকুরে নেহারি,
দুরু দুরু হিয়া উঠে চমকিয়া, অকারণে লাজে মরি।।

বাণী

তোমার নূরের রওশনি মাখা নিখিল ভুবন, অসীম গগন।
তোমার অনন্ত জ্যোতির ইশারা গ্রহ-তারা-চন্দ্র-তপন।।
	তোমার রূপের ইঙ্গিত খোদা
	ফুটিছে বনের কুসুমে সদা,
তোমার নূরের ঝলক হেরি’ মেঘে বিজলি চমকে যখন।।
	প্রাণের খুশি শিশুর হাসি
	মধুর তোমার রূপ দেয় প্রকাশি’,
তোমার জ্যোতির সমুদ্রে খোদা আলোর ঝিনুক মোর এ দু’টি নয়ন।।
	ধানের খেতে নদী-তরঙ্গে
	দুলে তোমার রূপ মধুর ভঙ্গে,
নিতি দেখা দাও হাজার রঙ্গে অরূপ নিরাকার তুমি নিরঞ্জন।।

বাণী

ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস
কাঁচা বুকে ধরে ঘুণ, শ্বাস ওঠে ফোঁস ফাঁস।।
শিমুল ফুলের মত ফটাফট্‌ ফাটে হিয়া
প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে গো ছড়াইয়া,
সবে বালিশ ধরিয়া করে ছটপট হাঁসফাঁস।।
চিবুতে সজ্‌’নে খাড়া সজনীরা ভুলে যায়,
আনাগোনা করে প্রেম পরানের দরজায়,
হৃদয়ের ইঞ্জিনে গ্যাস্‌ ওঠে ভোঁস ভাঁস।।
কচি আম-ঝোল-টক খাইয়া গিন্নি মায়
বৌঝির সাথে করে টক্ষাই টক্ষাই।
আইবুড়ো আইবুড়ি জল গেলে ছ’ গেলাস।।
বিরহিণীদের আঁখি-কলসি হয়েছে ফুটো,
গাধাও আজ গাহে গান ফেলিয়া ঘাসের মুঠো,
নোনা-পাকা মন বলে, কবে আসে তালশাঁস।।