বাণী

আও জীবন মরণ সাথী
তুমকো ঢুঁঢাতা হ্যায় দূর আকাশ মে
			মোহনী চাঁদনী রাতি।।
ঢুঁঢাতা প্রভাত নিত গোধূলি লগন মে
মেঘ হোকে ম্যয় ঢুঁঢাতা গগন মে।
ফিরত হুঁ রোকে শাওন পবন মে।
পাত্তে মে ঢুঁঢাতা তোড়ী পাপী
শ্যামা হোকে জ্বালা ম্যয় তোহারি আঁখমে
বুঝ গ্যয়া রাতকো হায় নিরাশ মে।
আভি ইয়ে জীবন হ্যায় তুমহারি পিয়াস মে।
গুল না হো যায়ে নয়ন কি বাতি।।

বাণী

(মা)		আয় মুক্তকেশী আয়
(মা)		বিনোদ-বেণী বোঁধ দোব এলোচুলে।
		প্রভাত রবির রাঙা জবা (মা) দুলিয়ে দোব বেণী মূলে॥
		মেখে শ্মশান ভস্ম কালি,
		ঢাকিস্ কেন রূপের ডালি
		তোর অঙ্গ ধুতে গঙ্গাবারি আনব শিবের জটা খুলে॥
		দেব না আর শ্মশান যেতে, সহস্রারে রাখব ধ’রে।
		খেলে সেথায় বেড়াবি মা রামধনু রং শাড়ি প’রে।
		ক্ষয় হলো চাঁদ কেঁদে কেঁদে
(তারে)	দেব মা তোর খোঁপায় বেঁধে
		মোর জীবন মরণ বিল্ব জবা দিব মা তোর পায়ে তুলে॥

বাণী

আমি যদি বাবা হতুম বাবা হ’ত খোকা
না হলে তার নাম্‌তা পড়া মারতাম মাথায় টোকা।।
	রোজ যদি হ’ত রবিবার!
	কি মজাটাই হ’ত গো আমার!
কেবল ছুটি! থাকত নাক’ নামতা লেখাজোঁখা
থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অঙ্কে ধর্‌ত পোকা।।

বাণী

আয় গোপিনী খেলবি হোরি ফাগের রাঙা পিচ্‌কারিতে
আজ শ্যামে লো করব ঘায়েল আবির হাসির টিট্‌কারিতে।।
রঙে রাঙা হয়ে শ্যাম আজ হবে যেন রাই কিশোরী
যমুনা জল লাল হবে আজ আবির ফাগের রঙে ভরি
কপালে কলঙ্ক মোদের ধুয়ে যাবে রঙ ঝারিতে।।
গুরুজনার গঞ্জনা আজ
সইব না লো মানব না লাজ
কূল ভুলে গোকুল পানে ভেসে যাব রাঙা গীতে।।

বাণী

আজি এ শ্রাবণ-নিশি		কাটে কেমনে।
গুরু দেয়া গরজন			কাঁপে হিয়া ঘনঘন
শনশন কাঁদে বায়ু			নীপ-কাননে।।
অন্ধ নিশীথ, মন			খোঁজে কারে আঁধারে,
অন্ধ নয়ন ঝরে			শাওন-বারিধারে।
ভাঙিয়া দুয়ার মম			এসো এসো প্রিয়তম,
শ্বসিছে বাহির ঘর			ভেজা পবনে।।
কার চোখে এত জল		ঝরে দিক্‌ প্লাবিয়া,
সহিতে না পারি’ কাঁদে		‘চোখ গেল’ পাপিয়া।
কাহার কাজল-আঁখি		চাহি’ মোর নয়নে
ঝুরেছিল একা রাতে		কবে কোন্‌ শাওনে,
আজি এ বাদল ঝড়ে		সেই আঁখি মনে পড়ে,
বিজলি খুঁজিছে তারে		নভ-আঙনে।।

বাণী

আজ্‌কা হইবো মোর বিয়া কাল্‌কা আইমু বউ লইয়া,
থাইগ্‌বা তোমরা ফ্যাল-ফ্যালাইয়া বুঝ্‌ল্যা গোপ্‌লা মুকুন্দ্যা।।
তাইরে নাইরে নাইরে না, রইমু ঘরে বাইরে না
হকাল হইন্ধ্যা দুপইত্‌ত্যা চইল্যা যাইবো কোহান্ দ্যা।।
[আরে ও পরামানিকের পো, ক্ষুরবার লইয়া যাইতাছো কই?
আমারে বর কামান কামাইয়া দিয়া যাওছ্যান!
আইজগ্যা যে আমার বিয়া হইবো! [হ আরে আহো! আহো]
তাইরে নাইরে নাইরে না, রইমু ঘরে বাইরে না
হকাল হইন্ধ্যা দুপইত্‌ত্যা চইল্যা যাইবো কোহান্ দ্যা।।
[হউর হাউরী পাইমু কাল্‌, হুমুন্দী, আর হালার পাল
কইবো মোরে, হুনত্যাছ? ও-জামাই, কড়াকড়ির কী কাম আছে,
আর দুইডা দিন থাইক্যা যাও না ক্যা? অ্যা!]
আরে আমি উঠ্‌মু কি গাছত্ গিয়া, উৎকা মাইর্যা  ফাল দিয়া,
ভাইরে, হালার পরান ডা, (ভাইরে) নাইচ্যা উঠ্‌ছে এ্যাহন্ থ্যা।
তাইরে নাইরে নাইরে না, রইমু ঘরে বাইরে না
হকাল হইন্ধ্যা দুপইত্‌ত্যা চইল্যা যাইবো কোহান্ দ্যা।।
[আরে ও মুখুজ্যা ভাই, মুখুজ্যা ভাই, আরে যাও কই, হুইনা যাও।
হুইনা যাও। হক্‌কল দিনই তো বলদ লইয়া মাঠে চরাইবার যাও।
আজকা আমারে লইয়া মাইয়ার বাড়ি যাওন লাগ্‌বো,
খাওন-দাওন আছে খাওন-দাওন আছে! ঠইগ্‌বা না, ঠইগ্‌বা না!]
তাইরে নাইরে নাইরে না, রইমু ঘরে বাইরে না
হকাল হইন্ধ্যা দুপইত্‌ত্যা চইল্যা যাইবো কোহান্ দ্যা।।
[খাইমু কি কি আরে হুনছ — গোপ্‌লা, ও মুকুন্দ্যা!
আরে, মুকুন্দ্যা ঐ খানে যাইয়া খারাইয়া আছত্ কিল্ল্যাইগ্যা? আহো, হুনো!
মাংস খাইমু, লুচি খাইমু, পাত্‌ক্ষীর খাইমু, আর দইও খাইমু। আর তোমরা
অভাগ্যা, অভাগ্যার পাল! তোমরা তো খাইবা না, তোমরা চাইটবা! চুকা কাসুন্দ্যা চাইটবা।]
ফুচ্‌কি দিয়া তোমরা চোর, দেখ্‌বার চাইবা বউরে মোর,
রাখুম তারে লুকাইয়া, হোগলার বস্তা চাপুনদ্যা।।
তাইরে নাইরে নাইরে তাই, বউরে ছাইর্যা  যাইরে ভাই
থাক্‌তে পরান অসুম্ না, (ভাই) পইচ্যা হইমু ফাপুন্দ্যা।।
[আরে গোরা-চাঁন যে, অকালের গাড়িতে আইল্যা বুঝি?
তোমরা দুই ভাইয়েই তো কোলকাতায় আষ্ট বছর কাল
ঘরজামাই হইয়া আছো। বউর লগে ভাব ক্যামুন। চালতাছে ক্যামন? অ্যা?]