বাণী

আমরা পানের নেশার পাগল, লাল শারাবে ভর গেলাস
পান-বেহুশে আয় রেখে ঐ সাকির বিলোল্ আঁখির পাশ।।
চাঁদ পিয়ালায় রবির কিরণ ঢালার মতো শারাব ঢাল,
ছায় না যেন দিনের আনন কস্তূরী-কেশ খোঁপার ফাঁস।।
শারাবখানার সদর-ঘরে বসো খানিক ধর্মাধিপ,
এই আনন্দ-ধারায় নেয়ে নাও ধুয়ে সব পাপের রাশ।।
মোমের বাতির মতো, সুফী কেঁদে গলাও আপনাকে!
এই বিষাদ এই ব্যথার পারে দাও আনন্দ ভর্‌-আকাশ।।
নূতন দিনের বধূ যদি আসে তোমার, খোশ-নসিব!
যৌতুক তায় দিও লিখে হাফিজের এই প্রেম-বিলাস।।

বাণী

আকাশে ভাই চাঁদ উঠেছে
(আহা) দেখবি যদি আয় না!
রূপে পরান পাগল করে,
তারে হাতে ধরা যায় না।
হাতে ধরা যায় না – 
আমার সাধের ‘আয়না’ –
আমার বুকে ফুট্‌লো রে ভাই
কোন্ বাগিচার ফুল
কোন্ সে দেশের হাসনুহানা
কোন্ বসোরার গুল্,
ওরে গন্ধে পরান পাগল করে,
তারে গলায় পরা যায় না।।

নাটিকা : ‘কাফন-চোরা’

বাণী

আল্লার নাম লইয়া বান্দা রোজ ফজরে উঠিও
আল্লা নামের আহলাদে ভাই ফুলের মতন ফুটিও।।
কাজে তোমার যাইয়ো বান্দা আল্লারি নাম লইয়া
ঐ নামের গুণে কাজের ভার যাইবে হাল্কা হইয়া।
শুনলে আজান কাজ ফেলিয়া মসজিদে শির লুটিও।।
আল্লার নাম লইয়া রে ভাই কইরো খানাপিনা
হাটে মাঠে যাইয়ো না ভাই আল্লারই নাম বিনা।
ওয়াজ নসিহত হইলে মজলিসে আইসা জুটিও।।
স্ত্রী পুত্র কন্যা তোমার খোদায় সঁপে দিও
আল্লার নাম জিকির কইরা নিশীথে ঘুমিও।
এই নাম শুইনা জন্মেছ ভাই এই নাম লইয়া মরিয়ো।।

বাণী

আজকে না হয় একটি কথা কইলে আবার মোর সাথে।
ওগো একটু না হয় বসলে এসে এই পাথরের পৈঠাতে।।
	শুধুই কি গো আমার আঁখি
	ঝিমায় মদির স্বপ্ন মাখি’,
ওগো তোমার কি চোখ ধরে নাকো ঢুলতে নেশার মৌতাতে।।
আজকে তোমার নয়ন আমার নয়ন হেরি’ লজ্জা পায়,
আজকে তোমার মুখের কথা শুধু্ই কি গো মুখ রাঙায়?
	ফাগুন হাওয়ার দোদুল দোলায়
	এই যে এসে দোল দিয়ে যায় —
ওগো মোরাই কি গো দুল্‌ব শুধু মান বিরহের দোল্‌নাতে।।

বাণী

	আমার মালায় লাগুক তোমার মধুর হাতের ছোঁওয়া
	ঘিরুক তোমায় মোর আরতি পূজা-ধূপের ধোঁওয়া।।
		পূজায় ব'সে দেব-দেউলে
		তোমায় দেখি মনের ভুলে
প্রিয়	তুমি নিলে আমার পূজা হবে তারই লওয়া
		হবে দেবতারই লওয়া।।
		তুমি যেদিন প্রসন্ন হও ঠাকুর চাহেন হেসে
	কাঁদলে তুমি, বুকে আমার দেবতা কাদেঁন এসে।
		আমি অন্ধকারে ঠাকুর পুজে
		ঘরের মাঝে পেলাম খুজেঁ
	সে যে তুমি, আমার চির অবহেলা-সওয়া।।

বাণী

আমার	আপনার চেয়ে আপন যে জন
			খুঁজি তারে আমি আপনায়॥
আমি		শুনি যেন তার চরণের ধ্বনি
			আমারি তিয়াসী বাসনায়॥
		আমারি মনের তৃষিত আকাশে
		কাঁদে সে চাতক আকুল পিয়াসে,
		কভু সে চকোর সুধা-চোর আসে
			নিশীথে স্বপনে জোছনায়॥
আমার মনের পিয়াল তমালে হেরি তারে স্নেহ-মেঘ-শ্যাম,
অশনি-আলোকে হেরি তারে থির-বিজুলী-উজল অভিরাম।
		আমারি রচিত কাননে বসিয়া
		পরানু পিয়ারে মালিকা রচিয়া
		সে-মালা সহসা দেখিনু জাগিয়া
			আপনারি গলে দোলে হায়॥