ছয় লতিফার ঊর্ধ্বে আমার
বাণী
ছয় লতিফার ঊর্ধ্বে আমার আরফাত ময়দান। তারি মাঝে আছে কারা জানে বুজর্গান।। যবে হজরতেরি নাম জপি ভাই হাজার হজের আনন্দ পাই, জীবন মরণ দুই উঠে ভাই দেই সেথা কোরবান্।। আমি তুর পাহাড়ে সুর শুনে ভাই প্রেমানন্দে গলি, ফানাফির রসুলে আমি হেরার পথে চলি। হজরতেরি কদম চুমি হিজরে আসোয়াদ ইব্রাহিমের কোলে চ’ড়ে দেখি ঈদের চাঁদ, মোরে খোতবা শুনাব ইমাম হয়ে জিব্রাইল কোরআন।।
ছি ছি ছি কিশোর হরি
বাণী
ছি ছি ছি কিশোর হরি, হেরিয়া লাজে মরি সেজেছ এ কোন রাজ সাজে যেন সঙ্ সেজেছ, হরি হে যেন সঙ্ সেজেছ — ফাগ মুছে তুমি পাপ বেঁধেছ হরি হে যেন সঙ্ সেজেছ; সংসারে তুমি সঙ্ সাজায়ে নিজেই এবার সঙ্ সেজেছ। বামে শোভিত তব মধুরা গোপিনী নব সেথা মথুরার কুবুজা বিরাজে। মিলেছে ভাল, বাঁকায় বাঁকায় মিলেছে ভাল, ত্রিভঙ্গ অঙ্গে কুবুজা সঙ্গে বাঁকায় বাঁকায় মিলেছে ভাল। হরি ভাল লাগিল না বুঝি হৃদয়-আসন তাই সিংহাসনে তব মজিয়াছে মন প্রেম ব্রজধাম ছেড়ে নেমে এলে কামরূপ হরি, এতদিনে বুঝিলাম তোমার স্বরূপ তব স্বরূপ বুঝি না হে গোপাল রূপ ফেলে ভূপাল রূপ নিলে স্বরূপ বুঝি না হে। হরি মোহন মুরলী কে হরি’ নিল কুসুম কোমল হাতে এমন নিঠুর রাজদন্ড দিল মোহন মুরলী কে হরি। দন্ড দিল কে, রাধারে কাঁদালে বলে দন্ড দিল কে দন্ডবৎ করি শুধাই শ্রীহরি দন্ড দিল কে রাঙা চরণ মুড়েছে কে সোনার জরিতে খুলে রেখে মধুর নূপুর, হরি হে খুলে রেখে মধুর নূপুর। হেথা সবাই কি কালা গো ? কারুর কি কান নাই নূপুর কি শোনে নাই, সবাই কাল গো কালায় পেয়ে হল হেথায় সবাই কি কালা গো। তব এ রূপ দেখিতে নারি, হরি আমি ব্রজনারী, ফিরে চল তব মধুপুর সেথা সকলি যে মধুময়, অন্তরে মধু বাহিরে মধু সেথা সকলি যে মধুময় — ফিরে চল হরি মধুপুর।
ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা
বাণী
ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা চলে গিরি-কন্যা চঞ্চল ঝর্ণা নন্দন-পথ-ভোলা চন্দন-বর্ণা।। গাহে গান ছায়ানটে, পর্বতে শিলাতটে লুটায়ে পড়ে তীরে শ্যামল ওড়না।। ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ধীরি ধীরি বাজে তরঙ্গ-নূপুর বন-পথ মাঝে। এঁকেবেকে নেচে যায় সর্পিল ভঙ্গে কুরঙ্গ সঙ্গে অপরূপ রঙ্গে গুরু গুরু বাজে তাল মেঘ-মৃদঙ্গে তরলিত জোছনা-বালিকা অপর্ণা।।