বাণী

আমি অগ্নি-শিখা, মোরে বাসিয়া ভালো।
যদি চাও, তব অন্তরে প্রদীপ জ্বালো।।
মোর দহন-জ্বালা র’বে আমারি বুকে,
তব তিমির রাতে হ’ব রঙিন আলো।।
হ’ব তোমার প্রেমে নব উদয়-রবি,
আমি মুছাব প্রাণের তব বিষাদ-কালো।।
ল’য়ে বহ্নি-দাহ, প্রিয়! করো না খেলা,
কবে লাগিবে আগুন, হায়! ভাঙিবে মেলা।
শেষে আমার মতো কেন মরিবে জ্ব’লে,
তুমি মেঘের মায়া, শুধু সলিল ঢালো।।
মোরে আঁচলে ঢেকে’ তুমি বাঁচালে ঝড়ে,
আজ তুমিই আবার তা’রে নিভায়ো না লো।।

বাণী

আজি আকাশ মধুর বাতাস মধুর, মধুর গানের সুর
			আজি ভুবন লাগে মধুর।
পরানের কাছে যেন আসিয়াছে হারানো প্রিয়া সুদূর।।
	একি মাধুরী জড়িত লতায় পাতায়,
	যাহা হেরি তাই পরান মাতায়,
অবনি ভরিয়া ঝরিছে লাবনি মাধুরীতে ভরপুর।।
আগেও ফুটেছে এ গাঁয়ের মাঠে পথপাশে ভাঁটফুল,
এই পথ বেয়ে জলে যেত বধূ পিঠভরা এলোচুল।
	আজ মনে হয় নতুন সকলি
	মধুময় লাগে বিহগ কাকলি
আজি অকারণ নেচে ফেরে মন যেন বনের ময়ূর।।

বাণী

ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর।
বদনসীব আয়, আয় গুনাহগার নূতন করে সওদা কর।।
জীবন ভ'রে করলি লোকসান আজ হিসাব তার খতিয়ে নে;
বিনিমূলে দেয় বিলিয়ে সে যে বেহেশতী নজর।।
কোরানের ঐ জাহাজ বোঝাই হীরা মুক্তা পান্নাতে,
লুটে নে রে, লুটে নে সব, ভরে তোল তোর শূন্য ঘর।
কেয়ামতের বাজারে ভাই মুনাফা যে চাও বহুৎ —
এই ব্যাপারীর হও খরিদ্দার লও রে ইহার সিল-মোহর।।
আরশ হতে পথ ভুলে এ এলো মদিনা শহর,
নামে মোবারক মোহাম্মদ — পুঁজি 'আল্লাহু আকবর'।।

বাণী

কত কথা ছিল বলিবার, বলা হ’ল না।
বুকে পাষাণ সম রহিল তারি বেদনা।।
	মনে রহিল মনের আশা
	মিটিল না প্রাণের পিপাসা,
বুকে শুকালো বুকের ভাষা — মুখে এলো না।।
	এত চোখের জল, এত গান
	এত আদর সোহাগ অভিমান,
কখন সে হ’ল অবসান — বোঝা গেল না।।
	ঝরিল কুসুম যদি হায়!
কেন স্মৃতির কাঁটাও নাহি যায়,
বুঝিল না কেহ কাহারো মন বিধির ছলনা।।

বাণী

সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে কোথায় গেলি?
আমি অসহায় শিশুর মত ডাকি মা দুই বাহু মেলি’।।
	অন্য শক্তি নাই মা তারা
	‘মা’ বুলি আর কান্না ছাড়া,
তোরে না দেখলে কেঁদে উঠি, আবার কোল পেলে মা হাসি খেলি।।
(ও মা) ছেলেকে তোর তাড়ন করে মায়ারূপী সৎমা এসে।
আবার ছয় রিপুতে দেখায় মা ভয় পাপ এলো পুতনার বেশে।১
	মরি ক্ষুধা তৃষ্ণাতে মা
	শ্যামা আমার কোলে নে মা।
আমি ক্ষণে চমকে উঠি ভাবি দয়াময়ী মা কি এলি।।

১. পাপবর্গী এলো দেশে।

বাণী

	এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ।
	সারা বছর যে ঈদের আশায় ছিল নাক’ নিদ।।
	রোজা রাখার ফল ফ’লেছে দেখ রে ঈদের চাঁদ,
	সেহরী খেয়ে কাটল রোজা, আজ সেহেরা বাঁধ,
			ওরে বাঁধ আমামা বাঁধ।
	প্রেমাশ্রুতে ওজু ক’রে চল্ ঈদগাহ মসজিদ।।
(আজ)	ছিটায় মনের গোলাব-পাশে খুশির গোলাব-পানি
(আজ)	খোদার ইস্কের খুশবু-ভরা প্রাণের আতরদানি,
	ভরল হৃদয়-তশ্‌তরিতে শিরনি তৌহিদ।।
(দেখ্)	হজরতের হাসির ছটা ঈদের চাঁদে জাগে
	সেই চাঁদেরই রং যেন আজ সবার বুকে লাগে,
(এই)	দুনিয়াতেই মিটল ঈদে বেহেশ্‌তী উমিদ।।

নাটিকা : ‘ঈদ’ (বিদৌরার গান)