আমার প্রাণের দ্বারে ডাক দিয়ে
বাণী
আমার প্রাণের দ্বারে ডাক দিয়ে কে যায় বারে বারে। তাঁর নূপুর-ধ্বনি রিনি ঝিনি বাজে বন-পারে।। নিঝুম রাতে ঘুমাই যবে সে ডাকে আমায় বেণুর রবে, স্বপন কুমার আসে স্বপন-অভিসারে।। আমি জল নিতে যাই নদী তটে এক্লা নাম ধ’রে সে ডাকে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় বন-পথের বাঁকে। বিশ্ব-বধূর মনোচোরা ধরতে সে চায়, দেয় না ধরা, আমি তা’রি স্বয়ম্বরা, আমি সঁপেছি প্রাণ তারে।।
ওগো চৈতী রাতের চাঁদ যেয়ো না
বাণী
ওগো চৈতী রাতের চাঁদ, যেয়ো না সাধ না মিটিতে যেতে চেয়ো না।। হের তরুলতায় কত আশার মুকুল, ওগো মাধবী-চাঁদ আজো ফোটেনি ফুল, তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না — ঝরা মুকুলে বনবীথি ছেয়ো না তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না, ওগো যেয়ো না।। আজো ফুলের নেশায় পাগল দখিন হাওয়া আজো বোলেনি পাপিয়া 'পিয়া পিয়া' গাওয়া তুমি এখনি বিদায়-গীতি গেয়ো না তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না।।
যখন প্রেমের জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে
বাণী
(যখন) প্রেমের জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে, জুড়াই জ্বালা গজলে। ছাতা দিয়ে মারি খোঁচা যেন সুরের বগলে॥ সিঁড়ির ধারে পিঁড়ি পেতে বিড়ি বাঁধি হায় কলকাতায়, মিলন আশার তামাক ঠাসি হায় বিরহের শাল পাতায়, [‘‘আরে লুল্লু আট পয়সার বিড়ি কিনে লিস্রে হাঁ হাঁ”] জালিম বিবির দিলের ছিপি (দাদা) খুলি সুরের ফজলে॥ কার্ফা তালে চার পা তুলে (হায়) ছুটাই তালের লাল ঘোড়া, ভজুয়া নাত্নি ছুটে আসে হায় ফেলে দিয়ে হায় ঝালবড়া; সুরে-তালে লাগে লড়াই যেন পাঠান মোগলে॥
ভোল লাজ ভোল গ্লানি জননী
বাণী
ভোল লাজ ভোল গ্লানি জননী মুক্ত আলোকে জাগো। কবে সে ঘুমালি মরণ-ঘুমে মা আর তো জাগিলি না গো।। চরণে কাঁদে মা তেমনি জলধি বক্ষ আঁকড়ি কাঁদে নদ-নদী, ত্রিশ কোটি সন্তান নিরবধি — কাঁদে আর ডাকে মা গো।। যে তিতিক্ষা যে শিক্ষা ল’য়ে অতীতে ছিলি মা রাজরানী হয়ে, ল’য়ে সে-মহিমা পুন নির্ভয়ে — বিশ্ব-বুকে-দাঁড়া গো।। বিশ্বের এই খল কোলহলে তুই আয় কল্যাণ-দীপ জ্বেলে’, বিরোধের শেষে তুই শান্তি মা — মৃত্যু শেষে সুধা গো।।