তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি হেরিতে
বাণী
তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি হেরিতে যে নিতি পাই তোমায়। তোমার রূপের আবছায়া ভাসে গগনে, সাগরে, তরুলতায়॥ চন্দ্রে তোমার মধুর হাসি, সূর্যে তোমার জ্যোতি প্রকাশ; করুণা সিন্ধু তব আভাস বারি-বিন্দুতে হিমকণায়॥ ফোটা ফুলে হরি, তোমার তনুর গোপী-চন্দন গন্ধ পাই, হাওয়ায় তোমার স্নেহের পরশ অন্নে তোমার প্রসাদ খাই। রাসবিহারী তোমার রূপ গোলে, দুঃখ শোকের হিন্দোলে, তুমি, ঠাঁই দাও যবে ধর কোলে মোর বন্ধু স্বজন কেঁদে ভাসায়॥
হে মোর স্বামী অন্তর্যামী
বাণী
হে মোর স্বামী, অন্তর্যামী, লহ সকলি আমার। লহ প্রীতি-প্রেম-পূজা লহ পায়ে গলার হার।। হে প্রিয়তম, সকলি লহ; মান-অভিমান ব্যথা-বিরহ। দুঃখের দাহ, সুখের মোহ লহ হে অশ্রু-ধার।। যাহা কিছু আপন, দিতে যা বাকি যাহা কিছু গোপন, লুকায়ে রাখি যাহা কিছু প্রিয় অঞ্চলে ঢাকি; লহ হে বঁধূ এবার।। তোমায় চাওয়ার পাওয়ার আশা, তোমায় না-পাওয়ার ব্যথা-নিরাশা, তোমারে দিলাম মোর ভালোবাসা বিফলতা হাহাকার।।
ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
বাণী
দ্বৈত : ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥ স্ত্রী : নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি, পুরুষ : রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥ স্ত্রী : যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্লি না রে তারে পুরুষ : তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে। স্ত্রী : জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে পুরুষ : দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥ স্ত্রী : স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায় পুরুষ : কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥
পথে কি দেখলে যেতে আমার
বাণী
পথে কি দেখলে যেতে আমার গৌর দেবতারে। যা’রে কোল যায় না দেওয়া, কোল দেয় সে ডেকে তারে।। নবীন সন্ন্যাসী সে রূপে তার পাগল করে আঁখির ঝিনুকে তা’র অবিরল মুক্তা ঝরে। কেঁদে সে কৃষ্ণের প্রেম ভিক্ষা মাগে দ্বারে দ্বারে।। জগতের জগাই-মাধাই মগ্ন যারা পাপের পাঁকে সকলের পাপ নিয়ে সে সোনার গৌর-অঙ্গে মাখে। উদার বক্ষে তাহার ঠাঁই দেয় সকল জাতে দেখেছ প্রেমের ঠাকুর সচল জগন্নাথে? একবার বললে হরি যায় নিয়ে সে ভবপারে।।