তুমি যখন এসেছিলে তখন আমার ঘুম ভাঙেনি
বাণী
তুমি যখন এসেছিলে তখন আমার ঘুম ভাঙেনি মালা যখন চেয়েছিলে বনে তখন ফুল জাগেনি।। আমার আকাশ আঁধার কালো তোমার তখন রাত পোহালো তুমি এলে তরুণ-আলো তখন আমার মন রাঙেনি।। ওগো রুদ্ধ ছিল মোর বাতায়ন পূর্ণ শশী এলে যবে, আঁধার-ঘরে একেলা জাগি হে চাঁদ আবার আসবে কবে। আজকে আমার ঘুম টুটেছে বনে আমার ফুল ফুটেছে ফেলে যাওয়া তোমারি মালায় বেঁধেছি মোর বিনোদ-বেনী।।
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা চির-আনন্দিতা
বাণী
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা, চির-আনন্দিতা। যেন প্রথম কবির প্রথম লেখা কবিতা ॥ তব চরণের নূপুরধ্বনি মধুকর গুঞ্জর তোলে যে রণি, মন মোর ভোলে হেরি তোমারে যে গো ঐ যে যৌবন-গর্বিতা ॥ দোলায় দোদুল দুল তব নৃত্য আবেশে আকুল হয় মোর চিত্ত, নৃত্যশেষে তব পায়ের নূপুর গ্রহ তারকায় রয় আকাশের সুদূর, সুরলোক উর্বশী তুমি যে আমার রও চির-অনিন্দিতা ॥
প্রিয়তম হে আমি যে তোমারি
বাণী
প্রিয়তম হে, আমি যে তোমারি চির-আরাধিকা। তব নাম গেয়ে প্রেম-বৃন্দাবনে ফিরি ব্রজ-বালিকা।। মম নয়ন দুটি তব দেবালয়ে জ্বলে নিশিদিন আরতি-প্রদীপ হয়ে নাম-কলঙ্ক তব হরি-চন্দন মোর গলার মালিকা।। মোরে শরণ দাও তব চরণে কর অবনমিতা, জনমে জনমে হয়ো প্রভু তুমি, আমি হব দয়িতা। শুধু নাম শুনি, নাথ মনে মনে আমি স্বয়ম্বরা হয়েছি গোপনে, বড় সাধ প্রাণে র’ব তোমারি ধ্যানে হব শ্যাম-সাধিকা।।
আমায় নহে গো ভালবাস শুধু
বাণী
আমায় নহে গো – ভালবাস শুধু ভালবাস মোর গান। বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হ’লে অবসান।। চাঁদেরে কে চায় – জোছনা সবাই যাচে, গীত শেষে বীণা প’ড়ে থাকে ধূলি মাঝে; তুমি বুঝিবে না বুঝিবে না — আলো দিতে পোড়ে কত প্রদীপের প্রাণ।। যে কাঁটা-লতার আঁখি-জল, হায়, ফুল হ’য়ে ওঠে ফুটে — ফুল নিয়ে তায় দিয়েছ কি কিছু শূন্য পত্র-পুটে! সবাই তৃষ্ণা মিটায় নদীর জলে, কী তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া-তলে — বেদনার মহাসাগরের কাছে কর সন্ধান।।
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই
বাণী
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই নিত্য নূতন রূপে আবার আসবো এই হেথাই।। চাঁদনী রাতের বাতায়নে, রইবে চেয়ে উদাস মনে বলবো আমি হারাইনি গো, নাই ভাবনা নাই আকাশ থেকে তারার চোখে তোমার পানে চাই।। তুমি আকুল হয়ে ফিরবে কেঁদে যে বনপথ বেয়ে' ঝরা মুকুল হয়ে আমি সে পথ দেব ছেয়ে। তোমায়ভালোবেসে সাধ মেটেনি স্বামী মরেও মরতে পারব না তাই আমি দূরে গিয়ে দেখবো তোমায় কাছে যদি পাই।।