ইসলামী

  • পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া

    বাণী

    		পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
    		যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।।
    		কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই
    		সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই)
    		মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।।
    (তোমার)	পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি
    		লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি।
    		নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।।
    		মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে
    আমার	সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!)
    		কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।
    
  • প্রিয় মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত

    বাণী

    প্রিয়	মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত
    		(প্রিয়) তারিতে উম্মত এলে ধরায়
    	মোহাম্মদ মোস্তফা, আমহদ মুরতজা
    		নাম জপিতে নয়নে আঁসু ঝরায়।।
    দিলে 	মুখে তক্‌বির, দিলে বুকে তৌহিদ
    দিলে 	দুঃখেরই সান্ত্বনা খুশির ঈদ
    দিলে 	প্রাণে ঈমান, দিলে হাতে কোরআন
    		শিরে শিরতাজ নাম মুসলিম আমায়।।
    তব	সব নসিহত মোরা গিয়াছি ভুলে
    শুধু	নাম তব আছে জেগে প্রাণের কূলে
    	ও-নামে এ প্রাণ-সিন্ধু তব দুলে
    		আমি ঐ নামে ত’রে যাব, আছি আশায়।।
    

  • ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস

    বাণী

    ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
    আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।।
    রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন!
    ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন;
    তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।।
    সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা,
    রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা,
    ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।
    

    নাটিকাঃ ‘ঈদল ফেতর’

  • ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল

    বাণী

    ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল!
    কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?
    ‌'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল,
    দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু।
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর,
    কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?
    কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর,
    তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু —
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা
    কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?'
    কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা
    মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায়
    কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়,
    যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়,
    নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    
  • ফোরাতের পানিতে নেমে

    বাণী

    ফোরাতের পানিতে নেমে 
    ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর নয়নে রে।।
    দু'হাতে তুলিয়া পানি 
    ফেলিয়া দিলেন অমনি — পড়িল কি মনে রে।।
    দুধের ছাওয়াল আসগর এই পানি চাহিয়ে রে,
    দুশ্‌মনের তীর খেয়ে বুকে ঘুমাল খুন পিয়ে রে;
    শাদীর নওশা কাশেম শহীদ এই পানি বিহনে রে।।
    এই পানিতে মুছিল রে হাতের মেহেদী সকিনার,
    এই পানিরই ঢেউয়ে ওঠে, তারি মাতম্‌ হাহাকার;
    শহীদানের খুন মিশে আছে, এই পানিরই সনে রে।।
    বীর আব্বাসের বাজু শহীদ হ'ল এরি তরে রে,
    এই পানির বিহনে জয়নাল খিয়াম তৃষ্ণায় মরে রে;
    শোকে শহীদ হ'লেন হোসেন জয়ী হয়েও রণে রে।। 
    
  • বক্ষে আমার কাবার ছবি

    বাণী

    বক্ষে আমার কাবার ছবি চক্ষে মোহাম্মদ রসুল।
    শিরোপরি মোর খোদার আরশ গাই তাঁরি গান পথ বেভুল।।
    লায়লী প্রেমে মজনু পাগল আমি পাগল লা-ইলা’র,
    প্রেমিক দরবেশ আমায় চেনে অরসিকে কয় বাতুল।।
    হৃদয়ে মোর খুশির বাগান বুলবুলি তায় গায় সদাই,
    ওরা খোদার রহম মাগে আমি খোদার ইশ্‌ক্‌ চাই।
    আমার মনের মস্‌জিদে দেয় আজান হাজার মোয়াজ্জিন
    প্রাণের ‘লওহে’ কোরান লেখা রুহ্‌ পড়ে তা রাত্রি দিন।
    খাতুনে জিন্নত মা আমার হাসান হোসেন চোখের জেল,
    ভয় করি না রোজ-কেয়ামত পুল সিরাতের কঠিন পুল।।
    
  • বহে শোকের পাথার আজি সাহারায়

    বাণী

    বহে শোকের পাথার আজি সাহারায়।
    নবীজী নাই-উঠ্‌ল মাতম মদিনায়।।
    	আঁখি-প্রদীপ এই ধরনীর
    	গেল নিভে ঘির্‌ল তিমির,
    দীনের রবি মোদের নবী চায় বিদায়।
    সইল না রে বেহেশ্‌তী দান দুনিয়ায়।।
    	না পূরিতে সাধ-আশা
    	না মিটিতে তৌহিদ-পিপাসা,
    যায় চ’লে দীনের শাহানশাহ্ — হায় রে হায়,
    সেই শোকেরি তুফান বহে ‘লু’ হাওয়ায়।।
    বেড়েছে আজ দ্বিগুণ পানি দজ্‌লা ফোরাত নদীতে,
    তূর ও হেরা পাহাড় ফেটে অশ্রু-নিঝর ব’য়ে যায়।
    ধরার জ্যোতি হরণ ক’রে উজল হ’ল ফের বেহেশত্
    কাঁদে পশু-পাখি ও তরুলতায়,
    সেই কাঁদনের স্মৃতি দোলে দরিয়ায়।।
    
  • বাজল কি রে ভোরের সানাই

    বাণী

    বাজ্‌ল কি রে ভোরের সানাই নিদ্‌-মহলার আঁধার-পুরে
    শুন্‌ছি আজান গগন-তলে আঁধার-রাতের মিনার-চূড়ে।।
    সরাই-খানার্‌ যাত্রীরা কি
    ‘বন্ধু জাগো’ উঠ্‌ল হাঁকি’?
    নীড় ছেড়ে ঐ প্রভাত-পাখি
    			গুলিস্তানে চল্‌ল উড়ে’।।
    তীর্থ-পথিক্‌ দেশ-বিদেশের
    আর্‌ফাতে আজ জুট্‌ল কি ফের,
    ‘লা শরীক আল্লহু’ মন্ত্রের
    			নাম্‌ল কি বান পাহাড় ‘তূরে’।।
    আজকে আবার কা’বার পথে
    ভিড় জমেছে প্রভাত হ’তে,
    নামল কি ফের্ হাজার স্রোতে
    			‘হেরার’ জ্যোতি জগৎ জুড়ে।।
    আবার ‘খালেদ’ ‘তারেক’ ‘মুসা’
    আনল কি খুন-রঙিন ভূষা,
    আস্‌ল ছুটে’ হাসীন ঊষা
    			নও-বেলালের শিঁরিন সুরে।।
    
  • ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে

    বাণী

    ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে।
    আসিলেন রসুলে-খোদা প্রথম যেখানে।।
    উঠিল যেখানে রণি’, প্রথম তকবির ধ্বনি
    লভিনু মণির খনি যথায় কোরানে।।
    যথা হেরা গুহার আঁধারে প্রথম
    ইসলামের জ্যোতি লভিল জনম,
    করে অঝোর ধারায় যথা খোদার রহম,
    ভাসিল নিখিল ভুবন যাহার তুফানে।।
    লাখো আম্বিয়া আউলিয়া বাদশা ফকির
    যথা যুগে যুগে আসি’করিল ভিড়
    তারি ধূলাতে লুটাবো আমি নোয়া’ব শির;
    নিশিদিন শুনি তাঁরি ডাক আমার পরানে।।
    
  • ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির

    বাণী

    ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির আল্লা-রসুল বোল্‌
    গাফ্‌লিয়াতি ভোল্ রে অলস্ আয়েশ আরাম্ ভোল্॥
    	এই দুনিয়ার সরাইখানায়
    	জনম্ গেল ঘুমিয়ে হায়
    ওঠ রে সুখ-শয্যা ছেড়ে মায়ার বাঁধন খোল্॥
    দিন ফুরিয়ে এলো যে রে দিনে দিনে তোর
    দীনের কাজে অবহেলা কর্‌লি জীবন ভোর।
    	যে দিন আজো আছে বাকি
    	খোদারে তুই দিস্‌নে ফাঁকি
    আখেরে পার হবি যদি পুল্ সেরাতের পোল্॥
    
  • মদিনায় যাবি কে আয় আয়

    বাণী

    	মদিনায় যাবি কে আয় আয়।
    উড়িল নিশান দিনের বিষাণ বাজিল যাহারে দরওয়াজায়।।
    	হিজরাত ক’রে যে দেশে
    	ঠাঁই পেলেন হজরত এসে
    	খেলিতেন যথায় হেসে 
    	হাসান হোসেন ফাতেমায়।।
    হজরতের চার আসহাব যথা করলেন খেলাফত,
    মসজিদে যাঁর প্রিয় মোহাম্মদ করতেন এবাদত;
    ফুটল যথায় প্রথম ধীর খালেদের হিম্মত,
    খোশ এলেহান দিতেন আজান বেলাল যথায়।।
    	যার পথের ধূলির মাঝে
    	নবীজীর চরণের ছোঁয়া বাজে,
    	তৌহিদেরি ধ্বনি বাজে
    	যার আসমানে, যার লু হাওয়ায়।।
    
  • মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী

    বাণী

    মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী
    মোহাম্মদ মোস্তফা নবুয়তধারী॥
    আল্লার প্রিয় সখা, দুলাল মা আমেনার
    খাদিজার স্বামী, প্রিয়তম আয়েশার
    আস্‌হাবের হাম্‌দম্‌, ওয়ালেদ ফাতেমার,
    বেলালের আজান, খালেদের তলোয়ার,
    কেয়ামতে উম্মত শাফায়ত-কারী॥
    তৌহিদ-বাণী মুখে, আল-কোরআন হাতে
    খোদার নূর দেখি যাঁর হাসির ইশারাতে
    যাঁর কদমের নীচে দুলে কত জিন্নাত,
    যে দু’হাতে বিলালো দুনিয়ায় খোদার মোহাব্বত
    হো মেরাজের দুলহা আল্লার আর্শচারী॥
    নয়নে যাঁর সদা খোদার রহমত ঝরে
    সংসার মরুবাসী পিয়াসার তরে
    আনিল যে কওসর সাহারা নিঙাড়ি’॥
    
  • মরু সাহারা আজি মাতায়োরা

    বাণী

    মরু সাহারা আজি মাতায়োরা — হলেন নাজেল তাহার দেশে খোদার রসুল।
    যাঁহার নামে যাঁহার ধ্যানে সারা দুনিয়া দীওয়ানা, প্রেমে মশগুল।।
    		যাঁহার আসার আশাতে অনুরাগে
    		নীরস খর্জুর তরুতে রস জাগে,
    তপ্ত মরু’পরে খোদার রহম্‌ ঝরে, হাসে আকাশ পরিয়া চাঁদের দুল।।
    		ছিল এ ত্রিভুবন যাঁহার পথ চাহি’
    		এলে রে সেই নবী ‘ইয়া উম্মতি’ গাহি’,
    যতেক গুম্‌রাহে নিতে খোদার রাহে এলো ফুটাতে দুনিয়াতে ইসলামি ফুল।।
    
  • মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে

    বাণী

    মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে
    বুলবুলিরা উঠলো গেয়ে মক্কার গুলবাগে।।
    	খোদার প্রেমের কোন দিওয়ানা
    	দ্বারে দ্বারে দেয় রে হানা,
    নবীন আশার আলোক পেয়ে, ঘুমন্ত সব জাগে।।
    এ কোন তরণ প্রেমিক এলো কা'বার অঙ্গনে
    সবুজ পাতার নিশান দোলায় শুকনো খেজুর বনে।
    	এলো নব দীনের নকীব
    	চির-চাওয়া খোদার হাবীব
    নিখিল পাপী-তাপী যাঁহার পায়ের পরশ মাগে।।
    

  • মসজিদে ঐ শোন্ রে আজান চল নামাজে চল্

    বাণী

    	মসজিদে ঐ শোন্ রে আজান, চল নামাজে চল্ ।
    	দুঃখে পাবি সান্ত্বনা তুই বক্ষে পাবি বল।।
    	ময়লা-মাটি লাগবে যা তোর দেহ-মনের মাঝে —
    	সাফ হবে সব, দাঁড়াবি তুই যেম্‌নি জায়নামাজে;
    (চল্)	রোজগার তুই করবি যদি আখেরের ফসল।।
    	হাজার কাজের অছিলাতে নামাজ করিস কাজা
    	খাজনা তারি দিলি না, যে দ্বীন-দুনিয়ার রাজা
    তাঁরে	পাঁচ বার তুই করবি মনে, তাতেও এত ছল্।।
    	কার তরে তুই মরিস খেটে; কে হবে তোর সাথী
    	বে-নামাজীর আঁধার গোরে কে জ্বালাবে বাতি
    (চল্)	খোদার নামে শির লুটায়ে জীবন কর্‌ সফল।।
    
  • মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই

    বাণী

    	মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
    	যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্‌তে পাই।।
    	আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
    	পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
    	গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্‌গার পাইবে রেহাই।।
    কত	পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত,
    	ঐ মস্‌জিদে করে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ।
    	সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
    কত	দরবেশ ফকির রে ভাই মস্‌জিদের আঙিনাতে
    	আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে।
    আমি	তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্‌তে চাই
    	আল্লার নাম জপ্‌তে চাই।।
    
  • মাঠে আমার ফল্‌ল ফসল

    বাণী

    মাঠে আমার ফল্‌ল ফসল মনের ফসল কই
    শূন্য মনে আল্লা তোমার পানে চেয়ে রই।।
    আরব মরুভূমে নবীজীরে পাঠাইলে
    আমার মনের মরুভূমি বিফল রাখিলে,
    গরীব ব’লে আমি কি গো বান্দা তব নই।।
    চাই না যশ মান আমি চাহি না দৌলৎ,
    আমি চাহি শুধু — তোমার নামেরি সরবত
    যে যাহা চায় তুমি নাকি তারে তাহাই দাও
    আমার মানত পূর্ণ ক’রে পরান বাঁচাও,
    আমি যেন আল্লা নামের তস্‌বি শুধু বই।।
    
  • মোহররমের চাঁদ এলো ঐ

    বাণী

    মোহররমের চাঁদ এলো ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়।
    ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা তারি মাতম শোনা যায়।।
    কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহোশ হল কারবালায়
    বেহেশ্‌তে লুটিয়ে কাঁদে আলী ও মা ফাতেমায়।।
    কাশেমের ঐ লাশ লয়ে কাঁদে বিবি সাকিনা।
    আস্‌গরের ঐ কচি বুকে তীর দেখে কাঁদে খোদায়।।
    কাঁদে বিশ্বের মুসলিম আজি গাহে তারি মর্সিয়া।
    ঝরে হাজার বছর ধরে অশ্রু তারি শোকে হায়।।
    
  • মোহাম্মদ মোর নয়ন-মণি

    বাণী

    মোহাম্মদ মোর নয়ন-মণি মোহাম্মদ নাম জপমালা।
    ঐ নামে মিটাই পিয়াসা ও নাম কওসারের পিয়ালা।।
    	মোহাম্মদ নাম শিরে ধরি,
    	মোহাম্মদ নাম গলায় পরি,
    ঐ নামের রওশনীতে আঁধার এ মন রয় উজালা।।
    	আমার হৃদয়-মদিনাতে
    	শুনি ও নাম দিনে-রাতে,
    ও নাম আমার তস্‌বি হাতে, মন-মরুতে গুলে-লালা।।
    	মোহাম্মদ মোর অশ্রু চোখের
    	ব্যথার সাথী শান্তি শোকের,
    চাইনে বেহেশ্‌ত যদি ও নাম জপ্‌তে সদা পাই নিরালা।।
    
  • মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা

    বাণী

    মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা
    তুমি বাদ্‌শারও বাদ্‌শাহ্ কম্‌লিওয়ালা।।
    পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
    হ’ল পুণ্য বেহেশ্‌তী নূরে উজালা।।
    গুনাহ্‌গার উম্মত লাগি’ তব
    আজো চয়ন্‌ নাহি, কাঁদিছ নিরালা।।
    কিয়ামতে পিয়াসি উম্মত লাগি’
    দাঁড়ায়ে রবে ল’য়ে তহুরার পিয়ালা।।
    জ্বলিবে রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি
    কাঁদিবে নফ্‌সি ব’লে সকল নবী
    য়্যা উম্মতী য়্যা উম্মতী, একেলা তুমি
    কাঁদিবে খোদার পাক আরশ চুমি’ —
    পাপী উম্মত ত্রাণ তব জপমালা ধ্যান
    তব গুণ গাহিল খোদ্ আল্লাহতা’লা।।